পিটি ঊষা। —ফাইল চিত্র।
ক্ষুব্ধ পিটি ঊষা। সমালোচনা সহ্য করতে পারছেন না তিনি। ভারতের অলিম্পিক্স দলে রয়েছেন ১১৭ জন ক্রীড়াবিদ ও ১৪০ জন সাপোর্ট স্টাফ। ক্রীড়াবিদদের থেকে বেশি সাপোর্ট স্টাফ রেখেও সমালোচনার মুখে ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থা। সেটাই মানতে পারছেন না ঊষা।
একটি বিবৃতিতে ঊষা বলেন, “ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থা ক্রীড়াবিদদের কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে অলিম্পিক্সে ভারত ভাল ফল করে তার জন্য কোনও ফাঁক রাখা হয়নি। আগে ক্রীড়াবিদ ও সাপোর্ট স্টাফের অনুপাত থাকত ৩:১। আমরা সেটা বদলে দিয়েছি। ক্রীড়াবিদের থেকে বেশি সাপোর্ট স্টাফ যাচ্ছে।”
ঊষা জানিয়েছেন, ক্রীড়াবিদদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, সাপোর্ট স্টাফ হিসাবে কাদের কাদের তাঁদের দরকার। ক্রীড়াবিদদের প্রয়োজন অনুযায়ী সাপোর্ট স্টাফ দেওয়া হয়েছে। ১৪০ জনের মধ্যে ৬৮ জন কোচ। মনোবিদ থেকে শুরু করে স্পোর্টস সায়েন্স দলও পাঠানো হচ্ছে। তার পরেও কেন সমালোচনা হচ্ছে বুঝতে পারছেন না ঊষা।
ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থার সভাপতি বলেন, “ক্রীড়া মন্ত্রক, জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা, ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থা ও কিছু বাণিজ্যিক সংস্থা মিলে এই অভূতপূর্ব কাজ করা হয়েছে। তার পরেও অনেকে অন্ধ হয়ে থাকছে। অলিম্পিক্স সংস্থার সমালোচনা করছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।”
বক্সার অমিত পাঙ্ঘাল যদিও এখনও সমস্যায় রয়েছেন। তাঁর কোচ ভগত সিংহ, ফিজিয়ো হীরা ও অনুশীলনের সহযোগী বিকাশ এখনও প্যারিসে যাওয়ার ভিসা পাননি। এই সমস্যার দায় অবশ্য অ্যাড হক কমিটির উপর চাপিয়েছেন ঊষা। তিনি বলেন, “অ্যাড হক কমিটি যে তালিকা তৈরি করেছিল সেখানে পাঙ্ঘালের তিন জন সাপোর্ট স্টাফের নাম ছিল না। তাই তাঁদের ভিসা পেতে সমস্যা হচ্ছে। পাঙ্ঘালের বাবা কয়েক দিন আগে আমার কাছে অভিযোগ করার পর আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমি ক্রীড়া মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করছি তাড়াতাড়ি ওই তিন জন ভিসা পেয়ে যাবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy