ছবি পিটিআই।
পরপর দু’টেস্টে ক্রিস ওকস, ওলি রবিনসন, জিমি অ্যান্ডারসনদের সামনে কার্যত কোনও প্রতিরোধই গড়তে পারলেন না ভারতের উপরের সারির ব্যাটসম্যানেরা। যা দেখে বিস্মিত কিংবদন্তি ভারতীয় ক্রিকেটার সুনীল গাওস্কর।
ওভালে চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিন চা-এর সময় ভারতের স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ১২২! তার উপরে প্রথম তিন জন ফিরে যান মাত্র ৩৯ রানের মধ্যে। এমন অবিশ্বাস্য ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে বসে গাওস্কর সমালোচনা করলেন রোহিত শর্মা, কে এল রাহুল, চেতেশ্বর পুজারার। বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ওপেনার ভেবেই পাচ্ছেন না, রোহিতদের পিছনের পায়ে খেলতে কেন সমস্যা হচ্ছে। ‘‘বলের লেংথ সকলে দেখতে পাচ্ছেন। একইসঙ্গে দেখছেন কোথায় দাঁড়িয়ে ব্যাটসম্যানেরা ব্যাট করছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ওরা সামনের পায়ে খেলছে। যার ফলে ব্যাট সরিয়ে আনা আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে ওদের পক্ষে। অথচ যদি আপনি কিছুটা হলেও পিছনের পায়ে খেলেন, তা হলে সামান্য হলেও কব্জিটা নামিয়ে আনার সময় পাওয়া যায়। সঙ্গে দরকারে ছেড়েও দেওয়া যায় বলটা,’’ সম্প্রচারকারী চ্যানেলের অনুষ্ঠানে বলেছেন গাওস্কর।
সানিকে সবচেয়ে বেশি অবাক করেছে চেতেশ্বর পুজারার আউটের ধরন। অ্যান্ডারসনের বাইরের দিকে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারি তাড়া করে পুজারা অফস্টাম্পের বাইরে ব্যাট এগিয়ে দেন। বল ব্যাটের কানায় লেগে সোজা চলে যায় উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোর গ্লাভসে। গাওস্কর বলেছেন, ‘‘কেউ বোকার মতো খেললে বা অসাধারণ ব্যাটিং করলে তা স্কোরবোর্ড দেখে বোঝা যায় না। আসল ব্যাপার আপনি কত রান করলেন। যখন আপনি পুজারার মতো সামনের পায়ে খেলে বল তাড়া করবেন, তখন বিপদে তো পড়তেই হবে।’’
এ দিকে, হেডিংলে টেস্টের মতো ওভাল টেস্টও ক্রমশ বিতর্কিত হয়ে উঠছে। আগের টেস্টে উইকেটের বাইরে এসে ব্যাটিং করে আম্পায়ারের সতর্কবার্তা শুনতে হয়েছিল ঋষভ পন্থকে। অথচ বৃহস্পতিবার ওভালে সেই একই কাণ্ড করে দিব্যি পার পেয়ে গেলেন ইংরেজ ওপেনার হাসিব হামিদ। তাও ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহালি সরাসরি আম্পায়ারের কাছে ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর পরেও। এ ক্ষেত্রে আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থের যুক্তি, হামিদ নাকি আদৌ বিপজ্জনক অঞ্চলে গার্ড নেননি!
ক্রিকেটে নিয়মটা হচ্ছে, ব্যাটসম্যান ক্রিজ়ের বাইরে দাঁড়িয়ে গার্ড বা স্টান্স নিলে তাতে কোনও সমস্যাই নেই। শুধু দেখতে হয়, পপিং ক্রিজ় থেকে পাঁচ ফুটের মধ্যে তিনি দাঁড়াচ্ছেন কি না। তার থেকে বেশি কিন্তু কিছুতেই এগনো যায় না। হেডিংলেতে যেটা করে নিয়ম ভেঙেছিলেন পন্থ। আর ওভালে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটালেন হামিদ। যা দেখে ‘আগ্রাসী’ কোহালি প্রতিবাদ জানাতে দেরি করেননি। এমনকি বেশ খানিকক্ষণ তাঁকে আম্পায়ারের সঙ্গে আলোচনাও করতে দেখা যায়। অথচ হামিদকে আদৌ সতর্ক করা হয়নি। হামিদ ক্রিজ়ের বাইরে গার্ড নিয়ে বুটের স্পাইক দিয়ে পিচে রীতিমতো ক্ষত তৈরি করেন।
এ দিকে ওভাল টেস্টে প্রথম দিনের নায়ক শার্দূল ঠাকুর বলেছেন, ‘‘সবাই জানে, ইংল্যান্ডে বল খুব বেশি সুইং করে। সেটা এখানকার আবহাওয়ার জন্যেও। আমার মনে হয়েছে, এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল হচ্ছে সোজা ব্যাটে খেলে যাওয়া।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy