জুটি: যুবভারতীতে বেইতিয়ার (বাঁ-দিকে) সঙ্গে গঞ্জালেস। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
আই লিগের শীর্ষে থাকা মোহনবাগানকে কী ভাবে আটকানো যায়, তার টোটকা দিতে ইন্ডিয়ান অ্যারোজ শিবিরে ডাক পড়ল সুভাষ ভৌমিকের।তিন বারের আইলিগ জয়ী কোচ সুভাষকে ফুটবলারদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য ড্রেসিংরুমে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অ্যারোজ কোচ সম্মুগম বেঙ্কটেশ ও সহকারী মহেশ গাউলি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরে নেমে কল্যাণী চলে যান জাতীয় দলের যুব ফুটবলাররা। যাঁরা এ বার খেলছেন অ্যারোজের জার্সিতে। আজ, বুধবার কল্যাণীতেই যাচ্ছেন সুভাষ। দেশের অন্যতম সফল কোচ বলছিলেন, ‘‘বেঙ্কটেশ ও মহেশ দু’জনেই আমার কোচিংয়ে খেলেছে। ওরা চার্চিল ম্যাচের পর থেকেই আমাকে অনুরোধ করছিল একবার ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলতে। ওরা ডাকলে তো যেতেই হবে।’’ মোহনবাগান ম্যাচের আগের দিন যাচ্ছে। কিবু ভিকুনার দলকে কী ভাবে হারানো যায়, তার পথ কি বাতলে দেবেন? প্রশ্ন শুনে সুভাষ বলেন, ‘‘জানি না, কী বলতে ওরা আমাকে ডেকেছে। আগে তো যাই।’’
রিয়াল কাশ্মীরের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয়ের পরে এ দিন প্রথম অনুশীলন ছিল মোহনবাগানের। পুরো দলকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা নানা ধরনের অনুশীলন করান সবুজ-মেরুনের স্পেনীয় কোচ। তিন দিকে তিনটি গোল পোস্টে তিন গোলকিপারকে দাঁড় করিয়ে অভিনব পাসিং ফুটবল খেলতে দেখা যায় জোসেবা বেইতিয়াদের। কাঁধে সামান্য চোট পাওয়া গঞ্জালেস এবং বেইতিয়াকে দলের ফিজিয়োর কাছে দেখা যায় প্রস্তুতির শেষ দিকে। দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা গঞ্জালেস অবশ্য বলে দিলেন, ‘‘কাঁধে সামান্য ব্যথা থাকলেও শুরু থেকে খেলতে সমস্যা নেই। আমি তৈরি। তবে কোচ খেলাবেন কি না জানি না।’’
মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ শিবিরের সব ফুটবলারই অনূর্ধ্ব কুড়ি বয়সি। কোনও বিদেশি নেই। কিন্তু চার্চিলের মতো দলকে হারিয়ে আলোড়ন ফেলে এখানে এসেছে বেঙ্কটেশের কোচিংয়ে থাকা অ্যারোজ ফুটবলাররা। কিবুর দলের ভিডিয়ো বিশ্লেষকরা প্রতিপক্ষ সম্পর্কে যে ধারণা দিয়েছেন, তাতে অ্যারোজের দৌড়কেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সে জন্য সম্ভবত এ দিন পাসিং এর সঙ্গে ‘ওয়ান টাচ’ ফুটবল অনুশীলন করিয়েছেন কিবু। যার অর্থ বল পজেশন নিজেদের মুঠোয় রেখে খেলার গতি কমিয়ে দেওয়া।
ফ্রান গঞ্জালেসকে খেলাবেন কি না, তা বলতে চাননি কিবু। তবে তাজিকিস্তান থেকে আসা নতুন বিদেশি কোমোরান তুর্সুনভকে সই করানো হলেও খেলাবেন না ঠিক করে ফেলেছেন। কাশ্মীরের মাটি থেকে জিতে এলেও উচ্ছ্বাসে ভাসতে রাজি হননি কিবু। বলেছেন, ‘‘সব দিক বিচার করলে হয়তো কাশ্মীরের বিরুদ্ধে জয়টাই সেরা। কিন্তু এটা ফুটবল। আজ শীর্ষে আছি বলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাব তা ভাবার কোনও কারণ নেই। ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘কাশ্মীরে ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। তাই তিন দিন ধরে ফুটবলারেরা নিজেদের মধ্যে কথা বলেছে। তা দলীয় সংহতি বাড়িয়েছে।’’ নতুন আসা সেনেগাল স্ট্রাইকার পাপা বাবাকর জিওয়াহার খেলায় খুশি কিবু বলেন, ‘‘ও গোল না পেলেও খুব ভাল থেলেছে কাশ্মীরে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy