সফল: কমনওয়েলথের ছাড়পত্র পেলেন হরমনপ্রীতরা। ফাইল চিত্র।
২০২২ কমনওয়েলথ গেমস মহিলা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল ভারতীয় দল। ভারত-সহ মোট ছয়টি দেশ যোগ্যতা অর্জন করেছে বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে।
এই টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় আয়োজক দেশ হিসেবে ইংল্যান্ডের সঙ্গে রয়েছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজ়িল্যান্ড, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে একটি দেশ। সোমবার আইসিসি জানিয়েছে, ১ এপ্রিল পর্যন্ত ফলাফলের ভিত্তিতে দলগুলির যে র্যাঙ্কিং তালিকা তৈরি হয়েছে, তারাই কমনওয়েলথ গেমসে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এক বিবৃতিতে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা জানিয়েছে, “যোগ্যতা অর্জনের যে মাপকাঠি তৈরি করা হয়েছে, সেখান থেকেই ঠিক হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বাপপুঞ্জের কোন দেশ কমনওয়েলথ মহিলা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অংশ নেবে। ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি একটি যোগ্যতা অর্জন পর্বের প্রতিযোগিতা হবে। সেখানেই নিশ্চিত হয়ে যাবে শেষ দল হিসেবে কোন দেশ অংশ নেবে।”
কমনওয়েলথ গেমসে এই প্রথম বার মহিলাদের ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত হল। তবে এই মঞ্চে ক্রিকেট আগেও একবার যুক্ত হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে কুয়ালা লামপুরে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ছেলেদের ক্রিকেট। একদিনের ক্রিকেটে সেই মঞ্চে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে মহিলাদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সমস্ত ম্যাচ আয়োজিত হবে এজবাস্টন স্টেডিয়ামে। চলতি বছরের শেষের দিকে ম্যাচগুলির টিকিট অনলাইনে বিক্রি হবে বলে এখনও পর্যন্ত ঠিক রয়েছে।
সোমবার আইসিসির ঘোষণায় খুশির আবহ তৈরি হয় ভারতীয় ক্রিকেটমহলে। ভারতীয় দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর বলেছেন, “কমনওয়েলথ গেমসের মতো মঞ্চে খেলার সুযোগ পাওয়াটা দারুণ এক প্রাপ্তি। গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে আমরা উঠেছিলাম। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, কমনওয়েলথ গেমসেও দল আশাব্যঞ্জক ফলই করবে।” তিনি আরও বলেছেন, “সার্বিক ভাবে মহিলা ক্রিকেটের বিকাশ এবং জনপ্রিয়তা অর্জনের সেরা মঞ্চ হতে চলেছে এই কমনওয়েলথ গেমস। এই দুর্দান্ত সুযোগকে কাজে লাগাতেই হবে। আমরাও সুন্দর স্মৃতি নিয়ে দেশে ফিরতে চাই।”
আইসিসির কার্যকারী চিফ এগজিকিউটিভ জিওফ অ্যালার্ডিস বলেছেন, “২০২২ বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে মহিলাদের ক্রিকেট যুক্ত করতে পেরে গর্বিত এবং আনন্দিত। বিশ্বব্যাপী মহিলা ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির অন্যতম সেরা মঞ্চ হতে চলেছে আসন্ন কমনওয়েলথ গেমস।” তিনি আরও যোগ করেন, “গত বছর মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে ৮৬হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন মেলবোর্নে। আশা করি, এজবাস্টনে সেই ছবিই আবার দেখা যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy