শেষ ম্যাচে জিতল শ্রীলঙ্কা। ছবি রয়টার্স
প্রথম দল ইংল্যান্ডে সিরিজ খেলতে ব্যস্ত। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলতে তাই দ্বিতীয় দল পাঠিয়েছিল ভারত। শুক্রবার তৃতীয় ম্যাচে সেই দলেও ছ’টি বদল। ফলে ভারতের কার্যত তৃতীয় দলকে হারিয়ে সিরিজে প্রথম বার জয়ের মুখ দেখল শ্রীলঙ্কা।
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ পকেটে চলে আসায় কথা রেখেছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। ভারত থেকে রওনা হওয়ার আগেই জানিয়েছিলেন সুযোগ পেলে ক্রিকেটারদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলাবেন। কথামতো শুক্রবারের দলে পাঁচজন ক্রিকেটারের একসঙ্গে অভিষেক হয়। শেষ বার এই ঘটনা ঘটেছিল ১৯৮০ সালে। এ ছাড়া, সিরিজে প্রথম বার সুযোগ পান নবদীপ সাইনি। অর্থাৎ ছ’টি পরিবর্তন।
তাতেও যথেষ্ট লড়াই দিয়েছে ভারত। শুরুতে অধিনায়ক শিখর ধবনকে হারালেও পৃথ্বী শ এবং সঞ্জু স্যামসন মিলে দুর্দান্ত জুটি তৈরি করেছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত দু’জনেই অর্ধশতরান থেকে বঞ্চিত হন। সঞ্জু ভারতের জার্সি গায়ে প্রথম ম্যাচে নেমেছিলেন। মিডল অর্ডারে সূর্যকুমার ৪০ করেন।
মাঝে বৃষ্টি নামায় এক ঘণ্টার উপর বন্ধ ছিল খেলা। এই সময়টাই ভারতীয় ক্রিকেটারদের ছন্দ নষ্ট করে দেয়। বৃষ্টির পর নেমে সেই ঝাঁজ দেখা যায়নি তাঁদের খেলায়। লোয়ার অর্ডার অবদান রাখতে ব্যর্থ।
শ্রীলঙ্কাও শুরুতে হারিয়েছিল মিনোদ ভানুকাকে। কিন্তু আবিষ্কা ফার্নান্ডো এবং ভানুকা রাজাপক্ষ মাথা ঠান্ডা রেখে দ্বিতীয় উইকেটে ১০৯ রান যোগ করেন। ওখানেই শ্রীলঙ্কার জয়ের ভিত তৈরি হয়ে যায়। বাকি ব্যাটসম্যানরা মাথা ঠান্ডা রেখে দলকে জিতিয়ে দেন।
হারের পিছনে দায়ী ভারতের ফিল্ডিং ব্যর্থতাও। শুক্রবার অন্তত দু’টি ক্যাচ পড়েছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রান দিয়েছেন ফিল্ডাররা। উইকেটকিপার হিসেবে খুব একটা ভাল দিন যায়নি সঞ্জুরও। তিনি স্টাম্পিং মিস করেছেন।
তবে দিনের শেষে দ্রাবিড়ের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলার পরিকল্পনা সফল। যে পাঁচজন খেলতে নেমেছিলেন, প্রত্যেকেই নিজেদের মতো অবদান রেখেছেন। রাহুল চাহার যেমন দুটি উইকেট নিয়েছেন, তেমনই ব্যাট হাতে সঞ্জু খেলেছেন ৪৬ রানের অনবদ্য ইনিংস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy