ভারতকে জেতালেন খবন। ছবি পিটিআই
সিরিজ শুরুর আগে শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটার অর্জুন রণতুঙ্গা অনুযোগ করেছিলেন যে, দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়ে তাঁদের অপমান করেছে ভারত। রবিবার দেখা গেল, শ্রীলঙ্কার প্রথম দলের জন্য ভারতের দ্বিতীয় দলই যথেষ্ট। এমনকী, তৃতীয় কোনও দল থাকলে তারাও অনায়াসে হারিয়ে দিত এই শ্রীলঙ্কাকে।
জীবনে প্রথম বার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে অধিনায়কত্ব করতে নেমে দিনটা স্মরণীয় করে রাখলেন শিখর ধবন। দল তো জিতলই, তিনি সেই জয়ে সব থেকে বড় অবদান রাখলেন। ক্রিকেটীয় ভাষায়, অধিনায়কোচিত ইনিংস খেললেন ধবন। একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ১-০ এগিয়ে গেল ভারত।
টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কলম্বো প্রেমদাসা স্টেডিয়াম বরাবরই স্পিনারদের সাহায্য করে। রবিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রথম দিকে ধবন পেসারদের দিয়ে বল করালেও সাফল্য পাননি। দশম ওভারে স্পিনার আনতেই ঘুরে গেল খেলা। প্রথম বলেই মারমুখী আবিষ্কা ফার্নান্ডোকে ফিরিয়ে দিলেন যুজবেন্দ্র চহাল। এর কিছুক্ষণ পরে জোড়া উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে আরও বিপদে ফেলে দিলেন কুলদীপ যাদব।
A comprehensive 7-wicket win for #TeamIndia to take 1-0 lead in the series🙌
— BCCI (@BCCI) July 18, 2021
How good were these two in the chase! 👏👏
8⃣6⃣* runs for captain @SDhawan25 👊
5⃣9⃣ runs for @ishankishan51 on ODI debut 💪
Scorecard 👉 https://t.co/rf0sHqdzSK #SLvIND pic.twitter.com/BmAV4UiXjZ
২০১৯ বিশ্বকাপের পর এই প্রথম একসঙ্গে খেলতে নেমেছিল ‘কুল-চা’ জুটি। প্রত্যাবর্তনে দু’জনেই সফল। দু’জনেই দুটি করে উইকেট পেয়েছেন। তবে তার থেকেও বড় ব্যাপার, শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের আগাগোড়া চাপে রাখতে পেরেছেন তাঁরা। ৪২ ওভার হয়ে গেলেও শ্রীলঙ্কার স্কোরবোর্ডে ২০০ ওঠেনি। তবু তারা আড়াইশোর গন্ডি পেরোল শেষ দিকে চামিকা করুণারত্নের ঝোড়ো ইনিংসের সৌজন্যে।
দীর্ঘদিন বাদে বোলিং করতে দেখা গেল হার্দিক পাণ্ড্যকেও। তবে ৫ ওভারের বেশি বল করেননি তিনি। শেষ দিকে তিনি ইসুরু উদানার উইকেটও নেন।
ব্যাট করতে নেমে এক সময় ভারতকে দেখে মনে হচ্ছিল তারা টি২০ ম্যাচ খেলতে নেমেছে। শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে ব্যাট করছিলেন পৃথ্বী শ। দুষ্মন্ত চামিরা, উদানা কারওকেই রেয়াত করেননি তিনি। ৪৩ রানে ফিরে যাওয়ার পর তাঁর জায়গায় নামা ঈশান কিশানও একই রকম দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নেমেছিলেন। শুরু থেকে চার-ছক্কা দেখা যাচ্ছিল তাঁর ব্যাট থেকেও।
উল্টোদিক থেকে পুরোটাই দেখছিলেন ধবন, জাত নেতার মতোই। তরুণ এই ক্রিকেটারদের মনোভাবে বদল আনতে বলেননি তিনি। অর্ধশতরান করে ঈশান ফেরার পরেই দায়িত্ব তুলে নেন নিজের কাঁধে। উল্টোদিকে প্রথম মণীশ পান্ডে এবং পরে সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় ম্যাচ বের করে নেন।
দুটি নজিরও হয়ে গেল তাঁর। দশম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে একদিনের ক্রিকেটে ৬০০০ রানের গন্ডি পেরোলেন তিনি। পাশাপাশি দ্বাদশ ভারতীয় হিসেবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১০০০ রান হল তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy