সিরিজ শুরু হওয়ার আগে ধওয়ন ও হার্দিককে নিয়ে অহেতুক বিতর্ক।
তা হলে কি সত্যিই রাহুল দ্রাবিড়ের সংসারে অশান্তি লেগে গেল? হার্দিক পাণ্ড্যর ছোটবেলার প্রশিক্ষকের দাবি, তাঁর ছাত্র ও শিখর ধওয়নের সম্পর্ক নাকি মোটেও আগের মতো নেই। ওঁদের মধ্যে নাকি ঠান্ডা লড়াই চলছে! তাঁর আরও দাবি, হার্দিকও নাকি মনে করেন এ বারের শ্রীলঙ্কা সফরে তিনিই অধিনায়ক হওয়ার যোগ্য ব্যক্তি ছিলেন!
অনুশীলন থেকে শুরু করে সাজঘরে বসে রণনীতি তৈরি করা, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বাইশ গজের যুদ্ধে নামার আগে সফরের অধিনায়ক ধওয়নকে সব রকম সাহায্য করছেন হার্দিক। তবে সেটা পেশার তাগিদে। ধওয়নের অধিনায়ক হয়ে যাওয়া নাকি একেবারেই মানতে পারছেন না এই অলরাউন্ডার।
সিরিজ শুরু হওয়ার আগে এমনই খোলাখুলি এমন মন্তব্য করে বসলেন তাঁর ছোটবেলার প্রশিক্ষক জীতেন্দ্র সিংহ। তিনি বলেন, “বিসিসিআই-এর সিদ্ধান্তে আমি খুবই হতাশ। আমার ধারণা, হার্দিকও কষ্ট পেয়েছে। আর সেটা পাওয়া স্বাভাবিক। ও সীমিত ওভারের দলে অপরিহার্য অঙ্গ। ওর বয়স কম। ফিটনেস সর্বোচ্চ পর্যায়ের। হার্দিক এখনও অনায়াসে সাত-আট বছর দাপটের সঙ্গে খেলতে পারবে। মাঠে ওর উপস্থিতি দেখার মতো। তাই আমার মতে হার্দিকই শ্রীলঙ্কা সফরে অধিনায়ক হওয়ার যোগ্য ব্যক্তি ছিল।”
আসন্ন সিরিজে তাঁকে সহ-অধিনায়ক হিসেবেও বিবেচনা করেনি বোর্ড। সেই দায়িত্ব পেয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ধওয়নের নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিনটি একদিনের ম্যাচ ও সম সংখ্যক টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারত।
পিঠের চোট সারিয়ে উঠে গত বছর অস্ট্রেলিয়া সফরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে এসেছিলেন হার্দিক। তবে তাঁকে আগের মতো নিয়মিত বল করতে দেখা যাচ্ছে না। এটাই কি পিছিয়ে যাওয়ার কারণ? তাঁর প্রশিক্ষক অবশ্য এই যুক্তি মানতে নারাজ। বরং বলছেন, “আইপিএল-এ বোলিং না করলেও এই সফর থেকে ওকে পুরোদমে বোলিং করতে দেখা যাবে। কারণ আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ও নিজেকে উজাড় করে দিতে চায়। কোনও খামতি রাখতে চায় না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy