সংশয়: অ্যান্ডারসনকে কি শেষ টেস্টে পাবে ইংল্যান্ড? ফাইল চিত্র
রিভার্স সুইং এবং স্পিন। যে দুই অস্ত্রে ঘায়েল হয়েছিল ইংল্যান্ড, সিরিজ়ের শেষ টেস্টে সেই জোড়া ফলাকেই হাতিয়ার বানিয়ে প্রত্যাঘাতের স্বপ্ন দেখছে জো রুটের দল।
শুক্রবার থেকে ম্যাঞ্চেস্টারে শুরু হচ্ছে ভারত-ইংল্যান্ডের পঞ্চম টেস্ট। খোঁজ নিয়ে জানা যাচ্ছে, ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের পিচ থেকে ঘাস উধাও হয়ে গিয়েছে। সাদাটে এবং খরখরে বাইশ গজে হবে সিরিজ়ের চূড়ান্ত দ্বৈরথ। যে দ্বৈরথে এখনও পর্যন্ত ভারত এগিয়ে ২-১। গত কয়েক দিন ধরে ম্যাঞ্চেস্টারে বেশ গরম পড়ায় পিচ শুকনো হয়ে যাবে বলেও ইংল্যান্ড ক্রিকেটমহলের ধারণা। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের পিচ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মহলের মত হল, খেলা গড়ালে পিচ আরও শুকনো, খরখরে হবে। যে কারণে বল রিভার্স করবে, স্পিনও করবে।
সিরিজ়ের শুরুতে ইংল্যান্ডের অস্ত্র ছিল সুইং বোলিং। জিমি অ্যান্ডারসন, অলি রবিনসন এবং পরের দিকে দলে আসা ক্রিস ওক্স— সবাই মূলত প্রথাগত সুইং বোলার। কিন্তু ওভালে এসে সেই সুইং ভোঁতা হয়ে গিয়েছে। ইংল্যান্ড বোলাররা উপলব্ধি করেন, দ্বিতীয় ইনিংসে বল সুইং করছে না। এবং, ভারতীয় পেসারদের মতো রিভার্স সুইংও করাতে পারছেন না তাঁরা। চতুর্থ টেস্টে হারার পরে ইংল্যান্ড দল পরিচালন সমিতি ঠিক করেছে, এ বার রিভার্স সুইং করানোর ব্যাপারে মনোযোগ দিতে হবে। এবং, বলটাও সে ভাবে তৈরি করতে হবে।
বুধবার ম্যাঞ্চেস্টার থেকে ভিডিয়ো কলে ভারতের বাছাই করা কিছু সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলার মার্ক উড বলেন, ‘‘ওভালে শেষ দিনে ভারতীয় পেসাররা খুব ভাল রিভার্স সুইং পেয়েছে। বিশেষ করে যশপ্রীত বুমরা। এক জন ফাস্ট বোলার হিসেবে বুমরার প্রতি আমার শ্রদ্ধা অনেক বেড়ে গিয়েছে। এটাও বলব, ভারতীয়রা বলটাকে রিভার্স সুইংয়ের জন্য ভাল তৈরি করে দিয়েছিল। আমরা পরিস্থিতি অনুযায়ী চাল দিতে পারিনি। ড্রেসিংরুমে এই নিয়ে কথাও হয়েছে।’’
ঠিক কী ভাবে ভারতীয় দল রিভার্স সুইংয়ের জন্য বলটাকে তৈরি করেছে? দুটো পদ্ধতিতে। এক, একটা দিকের পালিশ চকচকে রেখে গিয়েছে। দুই, রবীন্দ্র জাডেজা ধারাবাহিক ভাবে পিচের ক্ষতে বলের একটা দিক ফেলে সেই দিকটা খরখরে করে দিয়েছেন। উড বলছিলেন, ‘‘জাডেজা প্রায় ৩০ ওভার বল করে ওই কাজটা করেছে। আমরা আবার চেষ্টা করেছিলাম, বলটা যাতে প্রথাগত সুইং করে, সেটা দেখার। যে কৌশলটা কাজে দেয়নি। এ বার আমাদের দেখতে হবে, রিভার্স সুইংকে কী ভাবে কাজে লাগানো যায়।’’
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের উইকেটের কী অবস্থা? আপনি কি দেখেছেন? উডের জবাব, ‘‘আমি এখনও দেখিনি। অনুশীলনে গিয়ে দেখব। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এই পিচে স্পিনাররাও সাহায্য পায়। তা ছাড়া পিচ বেশ শুকনো, খরখরে হয়। এ বার দেখা যাক, কী হয়।’’ উড না দেখলেও এর পরে পিচ সম্পর্কে যা জানা গিয়েছে, তা হল, ঘাস একদমই নেই। গরমের জন্য বেশ শুকনো হয়ে গিয়েছে। ফলে বলের পালিশ খুব তাড়াতাড়ি উঠে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যে কারণে বাঁ-হাতি স্পিনার জ্যাক লিচকে প্রথম একাদশে দেখার যথেষ্ট ভাল সম্ভাবনা আছে। লিচ খেললে জোড়া স্পিনার নিয়ে নামবে ইংল্যান্ড।
সিরিজ়ের প্রথম চারটি টেস্টেই খেলেছেন বর্ষীয়ান পেসার জিমি অ্যান্ডারসন এবং সঙ্গী অলি রবিনসন। অ্যান্ডারসনকে কি তা হলে বিশ্রাম দেওয়া হবে শেষ টেস্টে? এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে এসে ইংল্যান্ড অধিনায়ক রুট পরিষ্কার করে দিয়েছেন, তাঁরা আরও দু’দিন দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। ইংল্যান্ড অধিনায়কের কথায়, ‘‘বোলারদের ফিটনেস এবং সুস্থতার ব্যাপারটার উপরে আমাদের নজর দিতেই হবে। আমরা চাই না, খেলতে নেমে মাঝপথে কেউ চোট পেয়ে গেল এবং আর বলই করতে পারল না। টেস্টের এখনও দু’দিন বাকি আছে। দেখা যাক, পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়।’’
শেষ টেস্টে দুই স্পিনার খেলানোর কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না রুট। তবে জানিয়েছেন, এক স্পিনার খেললে মইন আলিই তাঁর প্রথম পছন্দ। ‘‘মইন আমাদের এক নম্বর স্পিনার। তবে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের পিচ স্পিনারদেরও সাহায্য করে। সেক্ষেত্রে লিচ আমাদের কাছে একটা ভাল বিকল্প,’’ বলেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy