Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Ravi Sashtri

কেন অধিনায়ক বিরাট কোহলীতে মজে রয়েছেন কোচ রবি শাস্ত্রী?

গত ৪ টেস্ট মাত্র ১৭২ রান করেছেন কোহলী। গড় মাত্র ২৮.৬৭।

অধিনায়কের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রবি শাস্ত্রী।

অধিনায়কের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রবি শাস্ত্রী। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২১ ১৬:৩৮
Share: Save:

দেশে-বিদেশে ভারতীয় দলের সাফল্যের জন্য বিরাট কোহলীর অবদান সবচেয়ে বেশি। এমনটাই মনে করেন দলের প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাঁর অধিনায়কত্বে দল সাফল্য পেলেও টেস্ট ক্রিকেটে দাপট দেখানোর মজাই আলাদা। সেটাও জানেন প্রাক্তন অলরাউন্ডার। গত ছয় বছর টেস্ট ক্রিকেটে ‘কিং কোহলী’-র নেতৃত্বে একাধিক সাফল্য পেয়েছে দল। এর শেষতম সংযোজন হল অস্ট্রেলিয়ার পর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সিরিজ জয়। যদিও এ বার কিন্তু বিরাটের ব্যাট থেকে বড় রান আসেনি। গত ৪ টেস্ট মাত্র ১৭২ রান করেছেন কোহলী। গড় মাত্র ২৮.৬৭।

যদিও দলের প্রধান কোচ কিন্তু বিরাটের রানের খরা নিয়ে চিন্তিত নন। বরং সাংবাদিক সম্মেলনে অধিনায়কের প্রশংসা করে বলেন, “সবাই বিরাটের ব্যাটে রান দেখতে চায়, এতে ভুলের কিছু নেই। কিন্তু দলের উন্নতির জন্য বিরাটের অবদান ভুলে গেলে চলবে না। নিজের ব্যাটিং ছাড়াও ওকে অনেক কিছু বিষয় নিয়ে ভাবতে হয়। ওর জমানায় দলে পেশাদারিত্ব ও ফিটনেস অনেক গুণ বেড়েছে। বিরাট একদম অজুহাত পছন্দ করে না। সবার সঙ্গে সমানভাবে মিশতে পারে। তাই ও সবার কাছ থেকে বিশ্বাস ও ভরসা আদায় করতে পেরেছে। আর এতেই দল পরপর সাফল্য পাচ্ছে। তাই ছেলেদের জন্য গর্বিত।”

ভারত শুরুতে পিছিয়ে পড়ে শুধু ৩-১ ব্যবাধানে টেস্ট সিরিজ জিতেছে, তা নয়, একই সঙ্গে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা আদায় করেছে। আগামী ১৮ জুন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে বিরাট বাহিনী। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলা নিয়ে শাস্ত্রী বলেছেন, “আবার বলছি এই দল নিয় আমি গর্বিত। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যাওয়ার তাগিদ আমাদের সবার মধ্যেই ছিল। ছেলেদের লড়াইয়ের জন্য সেটা সফল হল। প্রতিবার পিছিয়ে থেকেও দল পাল্টা আঘাত দিয়েছে। এটাই আমাদের দলের বৈশিষ্ট্য।”

বিরাটের কাছে তাগিদ ও পরিশ্রম শেষ কথা। ছবি - টুইটার।

বিরাটের কাছে তাগিদ ও পরিশ্রম শেষ কথা। ছবি - টুইটার।

বাইশ গজের যুদ্ধে শুধু ভাল পারফরম্যান্স নয়, গত আইপিএলের পর থেকে এক টানা জৈব বলয়ে ছিল টিম ইন্ডিয়া। তারপরেও ছেলেরা মাথা নত করেনি। বরং চাপে থাকলেও লড়াই করেছেন। একাধিক মাস জৈব বলয়ে থাকা নিয়ে শাস্ত্রী বলছেন, “জৈব বলয়ে থাকা নিয়ে নেতিবাচক বিষয় খুঁজতে এলেই কিন্তু সমস্যা বাড়বে। তাই ছেলেরা সময় পেলেই নিজেদের মধ্যে আড্ডা দিত। দেদার খাওয়া-দাওয়া করত। এভাবেই আমরা গত কয়েক মাস ছেলেরা নিজেদের তৈরি করেছে।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy