Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Hardik Pandya

মঙ্গলবার কোহলীদের সাজঘরে ছিলেন ক্রুণাল, হার্দিকের প্রয়াত বাবা

অভিষেক একদিনের ম্যাচে মারকুটে মেজাজে করা অর্ধ শতরান প্রয়াত হিমাংশু পাণ্ড্যকে উৎসর্গ করলেন পরিবাররে বড় ছেলে।

প্রয়াত বাবাকে স্মরণ করে দুই ভাইয়ের আলিঙ্গন।

প্রয়াত বাবাকে স্মরণ করে দুই ভাইয়ের আলিঙ্গন। ছবি - টুইটার

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২১ ১৬:২২
Share: Save:

দুই ভাইয়ের কাছে যেমন দিনটা গর্বের ছিল। তেমনই ছিল ভীষণ কষ্টের। কারণ ক্রুণাল পাণ্ড্যহার্দিক পাণ্ড্যর কাছে ওঁদের প্রয়াত বাবা ছিলেন ‘প্রিয় বন্ধু’র মতো। তাই অভিষেক একদিনের ম্যাচে মারকুটে মেজাজে করা অর্ধ শতরান প্রয়াত হিমাংশু পাণ্ড্যকে উৎসর্গ করলেন পরিবাররে বড় ছেলে। সেটা শুনলেন হার্দিক। বিসিসিআইয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া দুই ভাইয়ের এমন আবেগপ্রবণ সাক্ষাৎকার আনন্দবাজার ডিজিটালের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল।

হার্দিক পাণ্ড্য: একদিনের ‘ক্যাপ’ হাতে পাওয়ার পর প্রথম অনুভূতি কেমন ছিল?

ক্রুণাল পাণ্ড্য: অবশ্যই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এত বছরের লড়াই ও কঠিন পরিশ্রম অবশেষে সফল হল। দেশের হয়ে একদিনের ম্যাচ খেলতে পারব সেটাই ছিল মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কতটা লড়াই করতে হয়েছে সেটা তো তুমি জানো। তাছাড়া গত দেড় মাস আমাদের পরিবার খুবই যন্ত্রণার মধ্যে কাটিয়েছে। বাবার চলে যাওয়া আমরা কেউই মানতে পারিনি। তাই এই অর্ধ শতরান আমার ‘ওল্ড ম্যান’কে উৎসর্গ করলাম। তাছাড়া এই ম্যাচে খেলতে নামার আগে তোমার কাছ থেকে ‘ক্যাপ’ পেয়েছিয়াম। এটাও আমার কাছে বিশাল বড় পাওনা।

হার্দিক: তোমার লড়াই আমি জানি। তাই এ বার আউট হয়ে যাওয়ার পরেও আমার মন খারাপ হয়নি। কারণ আমি জানতাম বাইশ গজে কিছু একটা দারুণ ব্যাপার ঘটবে। সেটা সবাইকে বলেছিলাম।

ক্রুণাল: ফলাফল নিয়ে চিন্তা করলেই ম্যাচে খারাপ প্রভাব পরে। তাই সেটা নিয়ে একদম চিন্তা করতে চাই না। বরং যখন যেখানে থাকি সেই মুহূর্তগুলো উপভোগ করি। সবসময় নিজের খেলার উন্নতি করার সঙ্গে মানুষ হিসেবে কীভাবে আরও ভাল হওয়া যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করি।

হার্দিক: অনেকেই জানেন না যে আমাদের বাবা কিন্তু দলের ড্রেসিংরুমে ছিলেন! কারণ ক্রুণাল বাবার ব্যবহার করা ব্যাগ এখানে নিয়ে এসেছিল।

ক্রুণাল: ১৬ জানুয়ারি ভোর ৪টে নাগাদ বাবা প্রয়াত হন। সেই দিন আবার আমাদের সৈয়দ মুস্তাক আলির ম্যাচ ছিল। বাবা রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পরের দিনের জন্য নিজের জামা, প্যান্ট, জুতো, টুপি একটা ব্যাগে গুছিয়ে রাখতেন। এটাই ওঁর অভ্যাস ছিল। সেই রাতেও নিশ্চয়ই জিনিসপত্র গুছিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য ওঁ চলে গেলেন। তবে আমি তো ওঁর স্মৃতি নিয়েই বাঁচতে চাই। তাই একদিনের দলে সুযোগ পেতেই ওঁর সেই ব্যাগ এখানে নিয়ে চলে আসি। যেন মনে হয় বাবা না থাকলেও যেন আমাদের সঙ্গেই আছেন। ব্যাগে থাকা এই জামাকাপড় গায়ে চাপিয়ে তাঁর দুই সন্তানকে এক সঙ্গে খেলতে দেখছেন।

হার্দিক: বাবা তুমি সবসময় আমাদের মধ্যে ছিলে, আছো, থাকবে। ক্রুণালের জন্মদিনের আগে এমন একটা অর্ধ শতরান যেন তুমি ওর হাতে পুরস্কারের মতো তুলে দিলে। ভাল থেকো বাবা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy