রাহানের স্টাম্প ছিটকে দিয়ে অ্যান্ডারসন। ছবি: পিটিআই
জেমস অ্যান্ডারসনের একটা ওভারেই যেন ম্যাচ বাঁচানোর সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছিল ভারতের। চেন্নাইয়ের মাঠে মঙ্গলবার ২৭তম ওভারে বল করতে আসেন ইংরেজ পেসার। রিভার্স সুইং করতে শুরু করেছিল বল। এমন সময় ৩৮ বছরের ইংরেজ পেসার এক ওভারেই ফিরিয়ে দিলেন শুভমন গিল এবং অজিঙ্ক রাহানেকে। তাঁদের আউট করার ধরনে আপ্লুত অ্যান্ডারসন নিজেও।
মঙ্গলবার দিনের শুরুতেই চেতেশ্বর পূজারাকে হারায় ভারত। বিরাট কোহালি এবং তরুণ ওপেনার শুভমন সেই ধাক্কা সামলে দিয়েছিলেন। অর্ধশতরান করেছিলেন শুভমন। ৯২ রানে ২ উইকেট থেকে এক ওভারেই হয়ে যায় ৯২/৪, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ১১৭ রানে ৬ উইকেট হারায় ভারত। এক ওভারে ২ উইকেট নেওয়া অ্যান্ডারসন বলেন, “আমাদের পরিকল্পনার বাইরে গিয়ে কিছু করার চেষ্টা করিনি। ভাগ্য ভাল ছিল যে উইকেটের ভাঙা জায়গায় বলগুলো রাখতে পেরেছিলাম। ভেবেছিলাম এলবিডবলু হবে। তবে স্টাম্প ছিটকে গিয়ে পাক খাচ্ছে, এটা দেখতে খারাপ লাগে না। এই বয়সে খুব বেশি এমন দেখতে পাই না।”
ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজে এগিয়ে যেতে পেরেও বেশ খুশি ইংরেজ পেসার। অ্যান্ডারসন বলেন, “৫ দিন ধরে খুব ভাল লড়াই হল। গোটা দল দারুণ ছন্দে ছিল।” ভারতের বিরুদ্ধে আরও ৩টি টেস্ট বাকি। সেই ম্যাচগুলোতেও জিততে চাইবেন অ্যান্ডারসনরা। তার জন্যও যে তৈরি হয়েই এসেছেন তাঁরা, বুঝিয়ে দিয়েছেন সেটাও। ৩০ বছরের বেশি বয়সী পেসারদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি উইকেটের মালিক বলেন, “আবহাওয়া, পরিবেশ ও পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে পেরেছিলাম আমরা। ফিল্ডিং সাজানো, রান রেট বাড়তে না দেওয়া সব কিছুই আমরা দুর্দান্ত ভাবে করতে পেরেছি।”
অ্যান্ডারসন এবং স্টুয়ার্ট ব্রডকে এক সঙ্গে খেলায় না ইংল্যান্ড। একজন খেললে অন্যজনকে বিশ্রামে রাখতেই দেখা যায় তাদের। আগামী ম্যাচে হতেই পারে ব্রড নামলেন। সেই ক্ষেত্রে মাঠের বাইরে বসতে হতে পারে অ্যান্ডারসনকে। মাঠে নামতে হলে তিনি যে তৈরিই থাকবেন সেই কথা জানাতে ভোলেননি জিমি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy