পূজারা কি আগের সফরের মতোই ভরসা জোগাবেন ভারতকে? ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
টেস্ট সিরিজে স্লেজিংয়ের জন্য ভারতকে তৈরি থাকতে বলে সদ্য হমকি দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার প্যাট কামিন্স। কিন্তু, স্লেজিং দিয়ে যে তাঁকে বিব্রত করা যাবে না, পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন চেতেশ্বর পূজারা।
৩ নম্বরে যাঁর কাছ থেকে ভরসা চাইছে ভারতীয় শিবির, সেই পূজারা সাফ বলেছেন, “আমার মনে হয় স্লেজিংকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এটা একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। স্লেজিং দিয়ে খুব বেশি যুদ্ধ জেতা যায় বলে মনে করি না। আর আমি যখন নিজের খেলার মধ্যে ঢুকে যাই তখন কে কী বলল তা মাথাতেই রাখি না।”
পূজারা নিজের খেলায় ঢুকে গেলে কী হয়, তা ভারতের গত অস্ট্রেলিয়া সফরেই দেখা গিয়েছে। ২০১৮-১৯ মরসুমে সেই সফরে ১১৩৫ বল খেলে ৫২১ রান করেছিলেন তিনি। হয়েছিলেন সিরিজের সেরা। এবং বিরাট কোহালির দল অস্ট্রেলিয়াতে টেস্ট সিরিজ জিতে গড়েছিল ইতিহাস। কামিন্স এ বার সিরিজ শুরুর আগে তাই বলেছেন, “ওকে ফেরানোর একটা রাস্তা খুঁজে বের করতেই হবে।”
আরও পড়ুন: শেষকৃত্যের সময় পাওলো রোসির বাড়ির তালা ভেঙে বড় ডাকাতি
পূজারার মাথাতেও দু’বছর আগের সফরের স্মৃতি ভাসছে। তবে তা আত্মতুষ্ট করছে না। তিনি সাফ বলেছেন, “অবশ্যই গত বারের পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি করতে চাইব। তবে আমি অতীত গৌরব আঁকড়ে ধরে রেখে বাঁচি না। হ্যাঁ, গত সফর দুর্দান্ত ছিল। তবে এ বার নতুন করে সব শুরু হবে। নিজের জোনে থাকতে হবে আমাকে। এমন নয় যে আগের বার সব ঠিকঠাক হয়েছিল বলে এ বারও হবে। প্রত্যেক ইনিংসেই মনঃসংযোগ করতে হবে।”
পূজারার রুটিনে তাই থাকছে ধ্যান, প্রার্থনা ও যোগব্যায়াম। যা তাঁকে শান্ত ও ইতিবাচক থাকতে সাহায্য করে।
করোনা অতিমারীর কারণে দীর্ঘদিন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন পূজারা। গত মার্চে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালের পর ১৭ ডিসেম্বর থেকে অ্যাডিলেড ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্ট ধরলে ২৭৮ দিন পর এই পর্যায়ের ক্রিকেটে নামছেন তিনি। পূজারা বলেছেন, “এটা নিয়ে অভিযোগের কিছু নেই। অতিমারীর শিকার হতে হয়েছে। তবে রাজকোটে লকডাউন তত কড়া ছিল না। ফলে আমি ব্যাটিং করতে পেরেছে নেটে।”
আরও পড়ুন: ঋষভের শতরানে প্রথম টেস্টে ঋদ্ধির নির্বাচন অনিশ্চিত
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আসন্ন সিরিজ কেমন হতে চলেছে? পূজারা বলেছেন, “গত বার রান করেছিলাম, এ বার তাই আমার দিকে বাড়তি নজর থাকবে। ওরা নিশ্চয়ই আমার খেলা খুঁটিয়ে দেখেছে। এগুলোকে অবশ্য সামলাতে শিখতে হয়। আমার মনে হয় নিজের শক্তির জায়গা অনুসারে খেললেই চলবে। বলের গুণ অনুসারে খেললে অধিকাংশ সময়েই সাফল্য আসে।”
টেস্ট সিরিজ জেতার জন্য কী করা দরকার? পূজারা বলেছেন, “যদি ৩০০-৩৫০ রান করতে পারি, তবে আমাদের যা বোলিং লাইন আপ, তাতে আত্মবিশ্বাসী হওয়াই যায়। বিপক্ষকে আউট করার ক্ষমতা ধরে বোলাররা। আমাদের জোরে বোলার ও স্পিনাররা সবাই ভাল। গত সফরে দেখা গিয়েছে যে আমাদের জোরে বোলাররা কী করতে পারে। যদি নিজেদের ক্ষমতা অনুসারে খেলতে পারি তবে ফের সিরিজ জেতার দারুণ সুযোগ রয়েছে। যদিও কাজটা সহজ নয়। অস্ট্রেলিয়া শক্তিশালী দল। তার উপরে স্মিথ, ওয়ার্নার ফেরায় ব্যাটিং আরও শক্তিশালী হয়েছে। দারুণ লড়াই হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy