অবশেষে জয় ভারতের। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া
একদিনের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ বাঁচিয়ে দিলেন ভারতীয় বোলাররা। প্রথম দুই ম্যাচে ভরাডুবির পর তৃতীয় ম্যাচে ১৩ রানে জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। ক্যানবেরায় প্রথমে ব্যাট করে ভারত করে ৫ উইকেটে ৩০২ রান। জবাবে ২৮৯ রানে থেমে যায় অস্ট্রেলিয়া।
৭ ম্যাচ পর জয় পেল ভারতীয় দল। শেষ জয় এসেছিল নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ ম্যাচে এই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি। তাই অস্ট্রেলিয়ার মাঠে তাদের হারিয়ে এই জয় স্মরণীয় হয়ে থাকবে বিরাট কোহালিদের।
বলা হয়, ক্যানবেরার মাঠে টস যার ম্যাচ তার। বুধবার সেটাই প্রমাণিত হল। টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বিরাট। শুরুতেই শিখর ধওয়নকে (২৭ বলে ১৬ রান) হারালেও ইনিংস গড়ার কাজ করেন তরুণ পঞ্জাব তনয় শুভমন গিল (৩৯ বলে ৩৩ রান) এবং বিরাট। তাঁদের ৫৬ রানের পার্টনারশিপ লড়ার জমি তৈরি করে দেয় ভারতের জন্য। শ্রেয়াস আইয়ার (২১ বলে ১৯ রান) এবং লোকেশ রাহুল (১১ বলে ৫ রান) খুব বেশি রান করতে না পারলেও ভারতের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান বিরাট (৭৮ বলে ৬৩ রান)। রেকর্ড বুকে নাম তোলেন তিনি। কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকরকে টপকে সব চেয়ে কম ইনিংস (২৪২) খেলে একদিনের ক্রিকেটে ১২ হাজার রান পূর্ণ করেন তিনি। নিজের ৬০তম হাফ সেঞ্চুরিটাও করে ফেলেন বুধবারই।
আরও পড়ুন: ৩ ম্যাচে ৩ বার! সিরিজে হ্যাজেলউডের বলেই প্রতি বার আউট কোহালি
শেষ দিকে ভারতীয় ইনিংসের নায়ক হার্দিক পাণ্ড্য (৭৬ বলে ৯২ রানে অপরাজিত) এবং রবীন্দ্র জাদেজা (৫০ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত)। এই সিরিজে ব্যাটসম্যান হার্দিককে অনেক বেশি করে পেল ভারত। সিরিজে ২বার ৯০য়ের ঘরে শেষ করলেন তিনি। জাদেজাকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রেকর্ড ১৫০ রানের পার্টনারশিপ খেলে গড়ে ভারতকে পৌঁছে দেন ৩০২ রানে। এই দু’জন লড়াই করার মতো রান তুলে দেন বোলারদের হাতে।
আরও পড়ুন: ভাঙল সচিনের রেকর্ড, ৫৮ ইনিংস কম খেলে বিশ্বে দ্রুততম ১২ হাজার রান বিরাটের
বল হাতে প্রথম ধাক্কাটা দেন অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা টি নটরাজন (১০ ওভারে ৭০ রান দিয়ে ২ উইকেট)। এই বাঁহাতি পেসার পাওয়ার প্লে-তে মারনাস লাবুশানের (১৩ বলে ৭ রান) উইকেট তুলে নেন । স্টিভ স্মিথের (১৫ বলে ৭ রান) উইকেট নেন শার্দূল ঠাকুর (১০ ওভারে ৫১ রান দিয়ে ৩ উইকেট)। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে লড়াই চালিয়ে যান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ (৮২ বলে ৭৫ রান)। মজেস এনরিকে (৩১ বলে ২২ রান), ক্যামেরন গ্রিনরা (২৭ বলে ২১ রান) ভাল শুরু করলেও শেষ অবধি টিকে থাকতে পারেননি। ফিঞ্চের পর দলের দায়িত্ব নেন অ্যালেক্স ক্যারি (৪২ বলে ৩৮ রান) এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৩৮ বলে ৫৯ রান)। তাঁদের পার্টনারশিপ এক সময় ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় শিবিরে। রান আউট হয়ে ফেরেন ক্যারি। ঝড় তুলতে শুরু করেন ম্যাক্সওয়েল। তাঁকে থামাতে বিরাট শরণাপন্ন হন যশপ্রীত বুমরার (৯.৩ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ২ উইকেট)। তাঁর বিষাক্ত ইয়র্কারে ছিটকে যায় ম্যাক্সওয়েলের উইকেট। ম্যাচে ফিরে আসে ভারত।
আরও পড়ুন: দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট, রেকর্ডের সামনে থাকলেও বাদ পড়লেন শামি
এর পর জয় ছিল শুধুই সময়ের অপেক্ষা। সামনে টি২০ সিরিজ, যার প্রথম ম্যাচ ক্যানবেরাতেই। ৪ ডিসেম্বর সেই ম্যাচের আগে এই জয় আত্মবিশ্বাস দেবে বিরাট বাহিনীকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy