নজরে: পাক বোলিং সামলানোর পরীক্ষা প্রিয়মদের। ফাইল চিত্র
বড়দের বিশ্বকাপে কখনওই ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। কিন্তু অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ছবিটা অন্য। এখানে দু’বার ভারতকে হারিয়েছে পাকিস্তান। আবার গত অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ২০৩ রানে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। ফলে ইতিহাস দু’দলের সঙ্গেই কিছুটা হলে আছে। এই পরিস্থিতিতে আজ, মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার পোচেস্ট্রুমে যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত এবং পাকিস্তান।
এই ম্যাচ ঘিরে কতটা চাপে দু’দল? একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটের খবর অনুযায়ী, দু’দলের ক্রিকেটাররা মুখে কিছু না বললেও চাপা টেনশনে আক্রান্ত। এও জানা গিয়েছে, দু’দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে বিশেষ কথাবার্তাও নাকি হচ্ছে না।
অধিনায়ক প্রিয়ম গর্গের ভারত কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। যেখানে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছিলেন পেসার কার্তিক ত্যাগী। ত্যাগী এবং আর এক পেসার আকাশ সিংহের দাপটে হেরে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। যে ম্যাচের পরে আত্মবিশ্বাসী ত্যাগী বলেছিলেন, ‘‘সেমিফাইনালে আমরা কাদের পাব, জানি না। কিন্তু যারাই আসুক, আমরা তাদের হারিয়ে ফাইনালে যেতে তৈরি।’’
পাকিস্তান শিবির আবার ভারতের সঙ্গে ম্যাচকে আর পাঁচটা ম্যাচের মতোই দেখতে চায়। কোয়ার্টার ফাইনালে আফগানিস্তানকে হারানোর পরে তাদের ওপেনার হুরাইরা বলেছিলেন, ‘‘আমরা জানি, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে দারুণ উত্তেজক পরিস্থিতি তৈরি হয়। কিন্তু আমরা সে সব মাথায় রাখতে চাই না। এই ম্যাচটাকে আমরা আর পাঁচটা ম্যাচের মতোই দেখছি।’’
সেমিফাইনালের ভাগ্য ঠিক করে দিতে পারে পাকিস্তানি পেসার বনাম ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের লড়াই। এই লড়াইয়ে ভারতের সেরা বাজি হলেন ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। যিনি চার ম্যাচে তিনটি হাফসেঞ্চুরি করেছেন। তবে বাকি ব্যাটসম্যানরা এখনও সে ভাবে দাগ কাটতে পারেননি। অথর্ব আঙ্কোলেকর এবং রবি বিষ্ণোই সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৬১ রানের জুটি করে দলকে লড়াইয়ের জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন। ভাঙা আঙুল নিয়ে ব্যাট করেন আঙ্কোলেকর। এখন দেখার, সেমিফাইনালে তিনি শেষ পর্যন্ত খেলতে পারেন কি না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy