Advertisement
০৪ জানুয়ারি ২০২৫
দাবা থেকে গল্‌ফ, ভারতীয়দের নজিরের দিন

মা হওয়ার পরেই বিশ্বজয়ী হাম্পি, অভিনন্দন ভিশির

বিশ্বনাথন আনন্দ ওপেন বিভাগে ২০১৭ সালে র‌্যাপিড বিভাগে বিশ্ব খেতাব জিতেছিলেন। তার পরে হাম্পি দ্বিতীয় ভারতীয় দাবাড়ু হিসেবে র‌্যাপিডে সোনা জিতলেন।

তৃপ্ত: প্রত্যাবর্তনের এক বছরের মধ্যেই খেতাব কনেরু হাম্পির। টুইটার

তৃপ্ত: প্রত্যাবর্তনের এক বছরের মধ্যেই খেতাব কনেরু হাম্পির। টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৪৫
Share: Save:

মা হওয়ার জন্য দু’বছর দাবা প্রতিযোগিতার বাইরে ছিলেন। ২০১৮ সালে প্রত্যাবর্তনের এক বছরের মধ্যেই অধরা খেতাব মুঠোয় পুরলেন কনেরু হাম্পি। ভারতের তারকা মহিলা দাবাড়ু মস্কোয় বিশ্ব র‌্যাপিড দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে মেয়েদের বিভাগে সেরা হলেন।

বিশ্বনাথন আনন্দ ওপেন বিভাগে ২০১৭ সালে র‌্যাপিড বিভাগে বিশ্ব খেতাব জিতেছিলেন। তার পরে হাম্পি দ্বিতীয় ভারতীয় দাবাড়ু হিসেবে র‌্যাপিডে সোনা জিতলেন। যে সাফল্যের পরে হাম্পিকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দের টুইট, ‘‘বিশ্ব র‌্যাপিড চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য অভিনন্দন হাম্পি। দারুণ পারফরম্যান্স।’’

৩২ বছর বয়সি হাম্পি ১২তম অর্থাৎ শেষ রাউন্ডে চিনের তাং ঝংগেইর বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় পান। যে জয়ের পরে তাঁকে খেতাবের জন্য টাইব্রেকে লড়তে হত আর এক চিনা খেলোয়াড় লেই তিংজিয়ের বিরুদ্ধে। টাইব্রেকে হাম্পি চিনা খেলোয়াড়কে হারিয়ে বিশ্বসেরা হন। ‘‘তৃতীয় দিন যখন আমি প্রথম গেমটা শুরু করেছিলাম, আশা করিনি শীর্ষে শেষ করতে পারব। মনে হয়েছিল, প্রথম তিন জনের মধ্যে থাকতে পারব। ভাবিনি টাইব্রেক খেলতে হবে,’’ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে বিশ্ব দাবা সংস্থা ফিডে-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন হাম্পি। তিনি আরও বলেছেন, ‘‘সময়ের চাপে টাইব্রেকে প্রথম গেমটা হেরে গিয়েছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয় গেমে ঘুরে দাঁড়াই। যে কেউ জিততে পারত দ্বিতীয় গেমটায়। ফল আমার পক্ষেই যায় শেষ পর্যন্ত। তৃতীয় গেমে শুরু থেকেই আমি প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে পেরেছিলাম। তাই সহজেই জিতে যাই।’’

সব মিলিয়ে প্রথমে হাম্পি নয় পয়েন্ট পান। প্রথম পাঁচ রাউন্ডে হাম্পি পান সাড়ে চার পয়েন্ট। কিন্তু এর পরেই রাশিয়ার ইরিনা বুলমাগার বিরুদ্ধে হেরে পিছিয়ে পড়েন। খেতাবি দৌড়ে থাকতে তাঁকে শেষ দু’রাউন্ডে জিততেই হত। সেটাই করে দেখান। এই সময় তিংজিয়ের পাশাপাশি তুরস্কের একাতেরিনা আতালিকও খেতাব জেতার লড়াইয়ে ছিলেন। তবে হাম্পিকে টাইব্রেকে যেতে হলে তিংজিয়েকে হারতে হত আতালিকের কাছে। সেটাই হয়।

নাটক এখানেই শেষ হয়নি। টাইব্রেকের প্রথম রাউন্ডে হাম্পি হেরে বসেন। দ্বিতীয় গেমে ঘুরে দাঁড়ান। তখন গেম যায় ‘আরমাগেডনে’। সেখানে কালো ঘুঁটিতে খেলতে হত ভারতীয় তারকাকে। অর্থাৎ ড্র করলেও তাঁর খেতাব নিশ্চিত। চিনা প্রতিপক্ষকে এক সময় ড্র করতে বাধ্য করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত হাম্পির সোনা জেতার পাশাপাশি রুপো জেতেন তিংজিয়ে এবং ব্রোঞ্জ পান আতালিক।

ওপেন বিভাগে এ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ম্যাগনাস কার্লসেন। সম্ভাব্য পনেরো রাউন্ডের মধ্যে সাড়ে এগারো পয়েন্ট পেয়ে নরওয়ের তারকা সেরার খেতাব জেতেন। ইরানের ফিরৌজা আলিরেজা রুপো পান, ব্রোঞ্জ আমেরিকার হিকারু নাকামুরার। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে কার্লসেন বলেছেন, ‘‘এই ধরনের প্রতিযোগিতায় জিততে হলে আগ্রাসী মানসিকতা নিয়ে খেলাটা খুব জরুরি। অনেক খেলোয়াড়ই এখানে ভাল খেলেছে। হয়তো আগ্রাসী হলে ওরা

ভাল খেলত।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Koneru Humpy Sports Chess
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy