পরিকল্পনা: সুনীলদের শিবির হতে পারে কলকাতায়। ফাইল চিত্র।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ড্র করে এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের তৃতীয় পর্যায়ের ছাড়পত্র আদায় করে নিয়েছে ভারতীয় দল। জাতীয় কোচ ইগর স্তিমাচের পাখির চোখ আগামী বছর চিনে মূল পর্বে খেলা নিশ্চিত করা। তাই প্রস্তুতিতে কোনও রকম ফাঁক রাখতে রাজি নন তিনি। অগস্টে কলকাতায় আবাসিক শিবিরের পাশাপাশি, সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে ছ’টি আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি খেলারও পরিকল্পনা রয়েছে ভারতীয় দলের। সব ঠিক থাকলে কয়েক দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে কাদের বিরুদ্ধে খেলবেন সুনীল ছেত্রীরা।
কাতারে বিশ্বকাপ ও এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে দ্বিতীয় পর্যায়ের বাকি তিনটি ম্যাচের জন্য কলকাতায় প্রস্তুতি নেওয়ার কথা ছিল সুনীলদের। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের ধাক্কায় সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। দোহাতেই সপ্তাহ দু’য়েক অনুশীলন করে খেলতে নেমেছিল ভারতীয় দল। প্রথম ম্যাচে কাতারের বিরুদ্ধে ৭৩ মিনিট দশ জনে দুর্দান্ত লড়াই করেও হেরে গিয়েছিলেন মনবীর সিংহেরা। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ২-০ হারান তাঁরা। শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করে ভারত।
এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের তৃতীয় পর্যায়ের ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। মাঝের এই সময়ে ফিফা ফ্রেন্ডলিতে দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চান জাতীয় কোচ। ভারতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ইগর বারবার জানিয়েছেন, ফুটবলারেরা আন্তর্জাতিক ম্যাচ যত বেশি খেলবেন, তত উন্নতি করবেন। বুধবার দিল্লি থেকে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সচিব কুশল দাস ফোনে আনন্দবাজারকে বললেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলির জন্য ফিফা যে তারিখ চূড়ান্ত করেছে, তার সব কটিই কাজে লাগানোর। অর্থাৎ, এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের তৃতীয় পর্যায়ের আগে যত বেশি সম্ভব আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি খেলার চেষ্টা করা হবে।” তিনি যোগ করেন, “কোচের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত আলোচনা চলছে। আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলির আগে কলকাতায় জাতীয় দলের শিবির করার কথা ভাবা হয়েছে। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে কোভিড পরিস্থিতির উপরে।”
ছ’টি আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলিতে ভারতের প্রতিপক্ষ কারা? জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছুই হয়নি। কারণ, করোনার কারণে কোনও কোনও দেশ হয়তো ভারতের মাটিতে খেলতে রাজি নয়। আবার তারা নিজেদের দেশেও ম্যাচ আয়োজন করতে পারবে না। এই পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ কেন্দ্রে অর্থাৎ অন্য কোনও দেশে খেলা হতে পারে। যদি সেই দেশের ফুটবল ফেডারেশন রাজি হয়। সমস্যা এখানেই শেষ হচ্ছে না। যে দেশের সঙ্গে খেলার ব্যাপারে আলোচনা চলছিল, তারা যদি শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ায়, তা হলে সব পরিকল্পনাই ভেস্তে যাবে। এই কারণেই ভারতীয় দল যাদের বিরুদ্ধে খেলবে, তাদের নাম সরকারি ভাবে ঘোষণা করা হচ্ছে না। ফেডারেশন সচিব জানালেন, জাতীয় কোচকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রতিপক্ষ চূড়ান্ত করার। তিনি আশাবাদী, ভারতের মাটিতেও কয়েকটি আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি আয়োজনের ব্যাপারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy