দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংস ভাঙলেন দুই পেসার শামি ও উমেশ। দু’জনে মিলে দ্বিতীয় ইনিংসে নিলেন পাঁচ উইকেট। সোমবার।—ছবি এপি।
রাঁচীর উইকেট দেখে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি টেস্ট শুরুর আগে মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘খুবই শুকনো উইকেট। স্পিনাররা সাহায্য পাবে।’’ বাস্তবে দেখা গেল, স্পিনাররা আসার আগেই ভারতীয় পেসারদের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ধরাশায়ী হয়ে গিয়েছে ডুপ্লেসির দল।
সোমবার, টেস্টের তৃতীয় দিনে মোট ১৬টি উইকেট পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। যার মধ্যে দু’ইনিংসে পাঁচটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন ভারতের দুই পেসার— মহম্মদ শামি এবং উমেশ যাদব। উমেশের বাউন্সারে আহত হয়ে আবার মাঠ ছাড়তে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার ডিন এলগারকে। ভারতের প্রথম ইনিংসের জবাবে এ দিন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ১৬২ রানে। শামি দুটো, উমেশ তিনটে উইকেট পান। ফলো-অন করে দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান আট উইকেটে ১৩২। এ বার শামি তিনটে, উমেশ দুটো উইকেট পেয়েছেন। আর মাত্র দুটো উইকেট পেলেই টেস্ট সিরিজ ৩-০ ফলে জিতে যাবে বিরাট কোহালির ভারত। শামি ও উমেশের প্রশংসা করে প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক সুনীল গাওস্কর বলেছেন, দুই ভারতীয় পেসার ব্যাটসম্যানদের চাপে রেখে গিয়েছেন, যাতে সহজে রান না তুলতে পারে বিপক্ষ।
পেসারদের দেখানো পথে দাপট দেখিয়েছেন স্পিনাররাও। হঠাৎ করে টেস্ট খেলার সুযোগ পাওয়া শাহবাজ নাদিম প্রথম ইনিংসে তুলে নেন দু’উইকেট। জীবনের প্রথম টেস্ট খেলতে নামার সময় কি নার্ভাস ছিলেন? বিশেষ করে যখন আপনি একেবারে শেষ মুহূর্তে দলে এসেছেন? দিনের শেষে সাংবাদিক বৈঠকে এসে বাঁ-হাতি স্পিনার নাদিম বলে যান, ‘‘অবশ্যই টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়ে উত্তেজিত ছিলাম। একটু আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু তার পরে নিজের কাজটায় মনঃসংযোগ করি। সত্যি কথা বলতে কী, রান আপ নেওয়ার সময় আর প্রথম তিনটে বল করার সময় একটু নার্ভাস ছিলাম। চার নম্বর বল থেকে কোনও সমস্যা হয়নি।’’
উচ্ছ্বাস: জয়ের কাছাকাছি ভারত, উল্লসিত ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি। সোমবার।—ছবি টুইটার।
প্রায় ১৫ বছর আগে রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক ঘটে নাদিমের। আর ‘টেস্ট ক্যাপ’ পেলেন ৩০ বছর বয়সে এসে। টেস্ট অভিষেকের মুহূর্তে কী রকম অনুভূতি হচ্ছিল? নাদিম বলেছেন, ‘‘এত দিনের পরিশ্রমের মূল্য পেলাম, দারুণ লাগছে। তার উপরে ঘরের মাঠে অভিষেক ঘটল। ঘরের মাঠে টেস্ট ক্যাপ পাচ্ছি, এই মুহূর্তটা জীবনেও ভুলব না।’’ আর অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাডেজার মতো অভিজ্ঞ স্পিনারের পাশে বল করার সুযোগ পাওয়ায় খুশি নাদিম। তিনি বলেছেন, ‘‘ওরা এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা দুই স্পিনার। ওদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। কখন কী করা উচিত, কখন কী করা উচিত না, এ সবই বোঝা যায় ওদের দেখে।’’
প্রথম ইনিংসে নাদিমের দুই শিকারের এক জন হলেন টেম্বা বাভুমা। যাঁর উইকেটটা তৃপ্তি দিয়েছে নাদিমকে। ভারতীয় দলের নতুন সদস্য বলেছেন, ‘‘এক জন বাঁ-হাতি স্পিনার যখন কোনও ব্যাটসম্যানকে স্টাম্প আউট করাতে পারে, তখন সেটা নিঃসন্দেহে তার ঝুলিতে সেরা উইকেট হয়। বাভুমার ক্ষেত্রেও তাই হল। সাধারণত বল যখন নতুন আর শক্ত থাকে, তখন ঘোরে। পুরনো হয়ে গেলে নরম হয়ে যায়, টার্নও অতটা পাওয়া যায় না। পিচে কিছু ফাটল দেখা দিয়েছিল, সেগুলোকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy