পারলেন না সুনীলরা।
ওমান — ২ ভারত— ১
(আল মান্দার ২) (সুনীল)
এএফসি এশিয়ান কাপের ছায়া বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বেও। এশিয়ান কাপে রক্ষণাত্মক নীতির জন্য ডুবতে হয়েছিল স্টিভেন কনস্ট্যানটাইনের ভারতকে। এ দিন গুয়াহাটিতেও সেই রোগে ম্যাচটা হারতে হল ইগর স্টিম্যাচের দলকে। ব্যর্থ হয়ে গেল সুনীল ছেত্রীদের মরিয়া লড়াই।
অ্যাওয়ে ম্যাচ রীতিমতো কঠিন। হোম ম্যাচ থেকেই তাই পয়েন্ট ছিনিয়ে নিতে হত ভারতকে। জিততে না পারলে অন্তত একটা পয়েন্ট। বৃহস্পতিবার শূন্য হাতেই মাঠ ছাড়তে হল ভারতকে। ঠিকঠাকই এগোচ্ছিলেন স্টিম্যাচের ছেলেরা। প্রথমার্ধ জুড়ে শুধু নীল জার্সির দাপট। বড়-ছোট পাসের বৈচিত্র্যে আক্রমণের মালা তৈরি করছিলেন সুনীল-আশিকরা। ১৫ মিনিটে ওমান গোলকিপারের ভুলে গোল করার মতো জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিলেন উদান্ত সিংহ। সুনীলের ঠিকানা লেখা পাস ধরে উদান্ত ওমানের গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন। বল বারে আছড়ে পড়লেও, সেই যাত্রায় গোল হয়নি। ২৩ মিনিটে আশিকের গতির কাছে হার মেনে তাঁকে ফাউল করে বসেন ওমানের ফুটবলার। ফ্রি কিক থেকে সুনীল ছেত্রী গোল করে এগিয়ে দেন। ওমানের গোলকিপারকে নড়ার সুযোগ দেননি ভারত অধিনায়ক।
ফ্রি কিকের মুভমেন্টটা ছিল দেখার মতো। এরকম মুভমেন্ট দীর্ঘদিন দেখা যায়নি ভারতীয় ফুটবলে। দীর্ঘ অনুশীলনের যে ফসল এই ফ্রি কিক তা বোঝা গেল ম্যাচে। তখন ভারতের নিয়ন্ত্রণেই ম্যাচ। বিরতির ঠিক আগে চিত্রনাট্যে পরিবর্তন। ওমান খেলায় ফেরে। ভারতের উপরে চাপ বাড়াতে শুরু করে। ৪৩ মিনিটে ওমানের আল মাজেইদির হেড এক হাতে বাঁচান গুরপ্রীত। বিরতির পরে একই দৃশ্য। ভারত হঠাৎই নিজেদের গুটিয়ে নেয়। এক গোলে এগিয়ে থাকা অবস্থায় কেন যে রক্ষমাত্মক নীতি অবলম্বন করতে গেলেন স্টিম্যাচ, সেটা অনেকেরই বোধগম্য হয়নি। এর পিছনে অবশ্য একাধিক কারণ থাকতে পারে। কিন্তু, রক্ষণাত্মক নীতি অবলম্বন করার জন্যই এদিন ম্যাচে ফিরল ওমান। ভারতের বারের নীচে গুরপ্রীত সেই সময়ে দেওয়াল তুলে দিয়েছিলেন। একের পর এক ওমানের আক্রমণ এসে থেমে যাচ্ছিল দীর্ঘ গোলকিপারের হাতে।
আরও পড়ুন: যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত সাঁতার কোচের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির ঘোষণা রিজিজুর
সময় যত গড়াতে থাকে মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ হারাতে থাকে ভারত। ৬০ মিনিটে ব্র্যান্ডনকে তুলে নামানো হয় লালিয়ানজুয়ালাকে চাংটেকে নামানো হয়। ভারত কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর খেলতে শুরু করে। ৮২ মিনিটে আল মান্দার সমতা ফেরান। মাঝমাঠ থেকে তাঁর উদ্দেশে বল ভাসানো হয়েছিল। গোলের মুখ ছোট করে বেরিয়ে এসেছিলেন গুরপ্রীত। আল মান্দার গুরপ্রীতের মাথার উপর দিয়ে বল পাঠান জালে। ৮৪ মিনিটে ভারত এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। সুনীলের ব্যাক হিল থেকে উদান্তের পাসে পা ছোঁয়ালেই গোল পেতেন চাংটে। তিনি বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি। ওমান ৮৬ মিনিটে গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। সে যাত্রায় সন্দেশ ঝিঙ্গান বল বিপন্মুক্ত করেন। ৯০ মিনিটে গুয়াহাটির দর্শকদের হৃদয় ভাঙেন আল মান্দার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy