ঋষভ পন্থ এবং ঈশান কিষাণ।
পরিসংখ্যান বলছে ছন্দে রয়েছেন ঋষভ পন্থ। সেই পরিসংখ্যানই বলছে, যতই তিনি ছন্দে থাকুন, তাঁর ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন ঈশান কিষাণ। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুজনেই হয়ত ভারতীয় দলে থাকবেন। কিন্তু প্রথম একাদশে কোন উইকেটরক্ষক খেলবেন, তা নিয়ে জোর লড়াইয়ের ইঙ্গিত।
২০১৬-র জানুয়ারি। বিভিন্ন দেশের উঠতি ক্রিকেটাররা ছটফট করছিলেন দাদাদের দলে জুতো গলানোর জন্য। কারণ, আর কয়েক দিন পরেই ছিল অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তারকা হয়ে ওঠার মঞ্চ। এই মঞ্চই নায়ক হওয়ার রাস্তা তৈরি করে দিয়েছিল যুবরাজ সিংহ (২০০০), মহম্মদ কাইফ (১৯৯৮, ২০০০), বীরেন্দ্র সহবাগ (১৯৯৮), হরভজন সিংহ (১৯৯৮), ইরফান পাঠান (২০০২), শিখর ধওয়ন (২০০৪), রোহিত শর্মা (২০০৬), বিরাট কোহলী (২০০৮), রবীন্দ্র জাডেজা (২০০৬, ২০০৮), কে এল রাহুলদের (২০১০) জন্য।
সেবারের ছোটদের বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব ছিল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির রাজ্য ঝাড়খণ্ডেরই এক উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের ওপর। ঈষান কিষাণের ওপরেই সবার নজর ছিল। কিন্তু দলের ভেতরেই প্রবল প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল কিষাণকে। কারণ সেই দলে ছিলেন দিল্লির উইকেটরকক্ষক-ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থও। তাঁর মারকাটারি ব্যাটিংয়ের জন্য তিনি তখনই সংবাদের শিরোনামে। সেবার ৬ ম্যাচে একটি শতরান, ২টি অর্ধশতরান-সহ ২৬৭ রান করেছিলেন। উল্টোদিকে অধিনায়ক কিষাণ ৬ ম্যাচে করেছিলেন মাত্র ৭৩ রান। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তাঁর গড়ই সবথেকে খারাপ ছিল।
পরবর্তীতে এটাই প্রথা হয়ে গিয়েছিল। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের পরেই তরুণদের জন্য সেরা ম়ঞ্চ আইপিএল। সেখানেও দিল্লির হয়ে ঋষভ ভাল খেলেন। উল্টোদিকে কিষাণ সেবারও তেমন সাফল্য পাননি। ফলে ভারতীয় দলে ধোনি, কে এল রাহুলের পাশে জায়গা করে নিতে অসুবিধে হয়নি ঋষভের। ধোনির অবসরের পর তিনিই জাতীয় দলে নিয়মিত জায়গা করে নিয়েছেন। অন্যদিকে কিষাণকে পরিবর্ত হিসেবেও ভাবা হয়নি।
চাকা ঘোরা শুরু গত বছর থেকে। ২০২০ আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ৫১৬ রান করেন তিনি। গড় ৫৭.৩৩, স্ট্রাইক রেট ১৪৫.৭৬। সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় পাঁচ নম্বরে জায়গা করে নেন। গত আইপিএলে যে ছয়জন ৫০০-র ওপর রান করেছিলেন, কিষাণ তাঁদের মধ্যে অন্যতম। অন্যদিকে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে ঋষভ করেছিলেন ৩৪৩ রান। গড় ৩১.১৮, স্ট্রাইক রেট ১১৩.৯৫। ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন কিষাণ-ঋষভ। শেষ হাসি হেসেছিলেন কিষাণই।
কিন্তু এরপর অস্ট্রেলিয়া সফরেও ব্রাত্য থেকে যান কিষাণ। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের মূল নায়ক ছিলেন ঋষভই। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুজনেই ভারতীয় দলে রয়েছেন। কিষাণ অভিষেকেই ৩২ বলে ৫৬ রান করে ম্যাচের সেরা হয়েছেন। এই সিরিজে তাঁর সামনে সুযোগ রয়েছে ঋষভের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম একাদশে নিজের জায়গা পাকা করার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy