নজরে: আদিল খান (উপরে) ও সুব্রত পালের দ্বৈরথ নিয়ে আকর্ষণ।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে খেলা দেশের সব চেয়ে সিনিয়র গোলকিপার সুব্রত পাল মনে করেন, এখনও জাতীয় দলে সুযোগ পেলে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য তিনি প্রস্তুত।
আজ, মঙ্গলবার টাটা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে সুব্রত পালের দল জামশেদপুর এফসি মুখোমুখি হচ্ছে হায়দরাবাদ এফসি-র সঙ্গে। খেলতে নামার আগে জামশেদপুর থেকে ফোনে দেশের হয়ে ৬৭ টি ম্যাচ খেলা সুব্রত বলে দিলেন, ‘‘আমি জীবনে কখনও আশা ছাড়ি না। সব সময় চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নামি। যদি আবার ভারতীয় দলে ডাক পাই, তা হলে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’’ দশ বছরেরও বেশি সময় যিনি ছিলেন ভারতীয় দলের ‘শেষ ডিফেন্ডার’, সেই সুব্রত বাদ পড়েন স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন জমানায়। তাঁর জায়গা নিয়ে নেন গুরপ্রীত সিংহ সাঁধু, কর্ণজিৎ সিংহ, অমরিন্দর সিংহরা। আজ সুব্রত পালের উল্টোদিকে হায়দরাবাদের গোলে খেলবেন কর্ণজিৎ। সেই কর্ণজিৎ, যিনি এটিকের কাছে পাঁচ গোল খেয়েছিলেন যুবভারতীতে।
আপনি বাদ পড়েছেন জাতীয় দল থেকে। এটা কী আপনার একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করবে? প্রশ্ন শুনে সুব্রত বলে দেন, ‘‘সব খেলাতেই সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। নিজেকে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ম্যাচের পরে প্রশ্ন করি, আমি সেরা খেলাটা খেলতে পেরেছি তো! উল্টোদিকে কে আছে, এটা বড় ব্যাপার নয়। আমার সঙ্গেই আমার চ্যালেঞ্জ। তবে এটুকু বলছি, স্তিমাচ যে ভাবে এগোচ্ছেন সেটা খুব ভাল। শুনেছি উনি ঘুরে ঘুরে সব ম্যাচ দেখবেন। আমাদের খেলাও নিশ্চয়ই দেখবেন। তাঁর মনে হলে ডাকবেন। আমি সব সময় তৈরি।’’
ওড়িশা এফসিকে প্রথম ম্যাচে হারিয়েছে জামশেদপুর। আর এটিকের কাছে পাঁচ গোলে হেরে নামছে হায়দরাবাদ এফসি। এটা কী আপনাদের পক্ষে সুবিধা? সুব্রত বলে দিলেন, ‘‘এটা একেবারেই নতুন ম্যাচ। কী ভাবে খেলব, সেটা কোচ ঠিক করবেন। তবে আমার মনে হয় ওরা ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য মরিয়া হবে। আমাদের দল এখনও দারুণ খেলছে বলব না। তবে পাঁচ-ছ’টা ম্যাচ না গেলে বলা যাবে না, কেমন তৈরি হয়েছে আমাদের দল।’’
সুব্রতদের কোচ আন্তোনিয়ো ইরিয়োন্দো বলে দিয়েছেন, ‘‘আমাদেরর দল এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। বরং বলা যায় দল গড়ার কাজ চলছে। তবে প্রথম ম্যাচে ছেলেদের খেলায় আমি খুশি। ফলও ভালই হয়েছে। তবুও বলব আমরা আরও ভাল খেলতে পারি। মাঝমাঠের দখল প্রথম ম্যাচে সে ভাবে নিতে পারিনি। ওটা নিতে পারলে ম্যাচের দখলও আমাদের হাতে চলে আসবে। সেই চেষ্টা করব আমরা। ’’ লালকার্ড দেখায় এই ম্যাচে খেলতে পারবেন না জামশেদপুরের বিকাশ জাইরু। চোটের জন্য নেই সি কে বিনীতও। এই অবস্থায় মাঝমাঠের স্তম্ভ স্পেনীয় ফ্রান্সিসকো মেদিনা লুনা বা পিটির উপর অনেকখানি নির্ভর করছেন ইরিয়োন্দো। স্পেনীয় কোচের অন্যতম ভরসা সের্খিয়ো কাস্তেল।
অন্যদিকে ইগর স্তিমাচের দলের স্টপার আদিল খানকে ডিফেন্সিভ পর্দা করেও এটিকের ঝড় সামাল দিতে পারেননি হায়দরাবাদ কোচ পল ব্রাউন। তার উপরে তিনি এই ম্যাচেও খেলাতে পারছেন না দলের দুই সেরা বিদেশি নেস্তর গার্দিলো এবং বোবোকে। ব্রাউন বললেন, ‘‘আমার হাতে ভাল ফুটবলার অনেক আছে। কিন্তু চোটের জন্য তাদের অনেককেই দলে পাচ্ছি না। আমরা পাঁচ গোল খেয়েছি ঠিক। কিন্তু তা অতীত। ছেলেরা সব ভুলে গিয়ে পয়েন্ট পেতে ঝাঁপাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy