ব্যর্থ: হাফিজ়ের ক্যাচ ফস্কাচ্ছেন জেসন রয়। ভুগল দল। ফাইল চিত্র
বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট তারা। ওয়ান ডে ক্রিকেটে আইসিসি-র ক্রিকেট র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে রয়েছে ইংল্যান্ডই।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৪ রানে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে ছিল অইন মর্গ্যানের দলে। কিন্তু সোমবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৪ রানে হারের পরে ইংল্যান্ড অধিনায়ক মর্গ্যান দায়ী করেছেন দলের দুর্বল ফিল্ডিংকেই।
অন্য দিকে, হারলেও তা নিয়ে চিন্তিত হতে নারাজ ইংল্যান্ডের অন্যতম ব্যাটিং ভরসা জো রুট। তিনি বলছেন, ‘‘একটা ম্যাচ হেরেছি বলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’’
ইংল্যান্ড অধিনায়ক জানিয়েছেন, প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জো রুটদের ফিল্ডিং যতটা ভাল হয়েছিল, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সোমবার ট্রেন্ট ব্রিজে ততটাই খারাপ হয়েছে ফিল্ডিং। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ওভার থেকেই ফিল্ডিংয়ে ভুলভ্রান্তি হচ্ছিল ইংল্যান্ডের। হচ্ছিল ওভার থ্রোও। তার পরে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ইংল্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ ফিল্ডার জেসন রয় ফেলেছিলেন মহম্মদ হাফিজ়ের ক্যাচ। ১৪ রানে সেই ক্যাচ পড়ার পরে ৮৪ রান করে যান ম্যাচের সেরা ৩৮ বছরের পাক অলরাউন্ডার।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হারের পরে ইংল্যান্ড অধিনায়ক তাই বলছেন, ‘‘ব্যাটে ও বলে আমাদের পারফরম্যান্স পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খারাপ হয়নি। কিন্তু ফিল্ডিং অত্যন্ত খারাপ হয়েছে।’’
ইংল্যান্ডের পরের ম্যাচ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। যারা গত বিশ্বকাপে হারিয়েছিল ইংল্যান্ডকে। কার্ডিফে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নামার আগে তাই দলের ফিল্ডিং নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত ইংল্যান্ড শিবির। মর্গ্যান বলছেন, ‘‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিজেদের সেরা ফিল্ডিং প্রদর্শন থেকে দূরে সরে গিয়েছিল দল। তার মূল্য চোকাতে হয়েছে। জানি না সেটা কত রান! ৫০ না ৬০!’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘ব্যাটে বা বলে একদিন খারাপ পারফরম্যান্স হতে পারে। কিন্তু সেটা কখনও ফিল্ডিংয়ে হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। ব্যাখ্যাতীত কিছু ভুল ফিল্ডিংয়ে হয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। যা সচরাচর আমরা করি না।’’ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জো রুট (১০৭) ও জস বাটলার (১০৩) শতরান করেছিলেন। ইংল্যান্ড জিতলে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার নজির তৈরি হত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হাসি মুখে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান।
রুট ও বাটলার আউট হতেই ম্যাচে জাঁকিয়ে বসে পাকিস্তান। যে প্রসঙ্গে ইংল্যান্ড অধিনায়ক বলছেন, ‘‘এটা ব্যাটসম্যানদের দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়। আমাদের সেই ভয়হীন ক্রিকেট খেলার মানসিকতা ফিরিয়ে আনতে হবে। ম্যাচটা প্রায় জেতার কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু তার পরে যদি দেখা যায় ফিল্ডিংয়ের ভুলত্রুটি ম্যাচে ফারাক গড়ে দিচ্ছে, তখন খুব হতাশ লাগে।’’ মর্গ্যান সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘বিশ্বকাপের মতো লম্বা প্রতিযোগিতায় ব্যাটিং বা বোলিং কোনও দিন ভাল হবে, কোনও দিন খারাপ হবে। কিন্তু ফিল্ডিং একটা নির্দিষ্ট উচ্চতায় রাখতেই হবে। ফিল্ডিংয়ের মান পড়লেই কিন্তু মাশুল গুণতে হবে। যেমন গুণতে হল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।’’
হারের হতাশা উগরে দিয়ে মর্গ্যান আরও বলছেন, ‘‘মাত্র ১৪ রান দূরে থেমে যেতে হল! ট্রেন্ট ব্রিজের উইকেটে রান আছে। আউটফিল্ডে বল দ্রুত যায়। তাই আত্মবিশ্বাস ছিল, যদি আমাদের ভাল জুটি গড়ে ওঠে, তা হলে ৩৫০ রান তোলা অস্বাভাবিক নয়। জো ও জস খেলাটাকে আমাদের দিকে নিয়ে আসছিল। কিন্তু ওরা আউট হতেই সমস্যা শুরু হয়ে যায়।’’ বিশ্বকাপের আগে এই পাকিস্তানকেই ৪-০ সিরিজ হারিয়েছিল পাকিস্তান। সেই দলের কাছেই অপ্রত্যাশিত হারের পরে গোটা ইংল্যান্ড হতাশ হলেও, আশঙ্কায় ভুগতে নারাজ জো রুট। তিনি বলছেন, ‘‘ গোটা দলকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে, একই ভুল যেন ফের না হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy