প্রস্তুত: শেষ চারের লড়াইয়ের আগে অধিনায়ক ফিঞ্চ। এএফপি
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ, বৃহস্পতিবার মুখোমুখি দুই শক্তিশালী দল। এই দুই দলেরই শক্তি এক। দুর্বলতাও প্রায় একই। হয়ত ইংল্যান্ডের দর্শকেরা এই ম্যাচটা চেয়েছিলেন রবিবারের ফাইনালে। কিন্তু তার আগেই সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে সেই দুই দল—ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। দু’টো দলেই দুই বিধ্বংসী ওপেনার রয়েছে। তার উপরে দুই দলেই রয়েছে নতুন বলে বোলিং করার কমপক্ষে এমন একজন বোলার, যে নিজের দিনে যে কোনও বিপক্ষকে চূর্ণ করে দিতে জানে।
অস্ট্রেলিয়া এ বারের বিশ্বকাপে ফেভারিট ছিল না। এ রকম ঘটনা বহু বছর পরে হতে দেখলাম। কিন্তু বিশ্বকাপে ওরা নিজেদের সেরা খেলাটাই তুলে ধরেছে। অস্ট্রেলিয়া জানে এই ধরনের বড় মঞ্চে কী ভাবে ঝলসে উঠে বিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিতে হয়। জানে নকআউটে বাজিমাত করার কৌশল। ভারতের কাছে হার আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আত্মতুষ্ট হয়ে শেষ ম্যাচে হার ছাড়া এই অস্ট্রেলিয়া দলকে কখনও নড়বড়ে মনে হয়নি। নকআউটে অস্ট্রেলিয়া সব সময়েই ভয়ঙ্কর।
যদিও ইংল্যান্ড কাগজ-কলমে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ভারসাম্যে এগিয়ে। ভারত ও নিউজ়িল্যান্ড, দুই দলকেই হেলায় হারিয়েছে ওরা। ইংল্যান্ড দলের অন্যতম বড় ভরসা ওদের দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও জেসন রয়। পাশাপাশি অধিনায়ক অইন মর্গ্যান এবং জো রুটও নিজেদের দিনে ভয়ঙ্কর। আশা করছি, সেমিফাইনালে ওরা নিজেদের সেরা ছন্দেই খেলবে। তবে অস্ট্রেলিয়ার দুই আগুনে বোলার মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সের সামনে ইংল্যান্ড ব্যক্তিগত দক্ষতার উপর নির্ভর করে ফাইনালের অঙ্ক কষতে গেলে মুশকিলে পড়বে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বরং রুটদের দলবদ্ধ ভাবে খেলতে হবে।
আদিল রশিদ ও মইন আলি থাকায় মাঝের দিকের ওভারগুলোতে বৈচিত্র যোগ করতে পারবে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার স্পিনের বিরুদ্ধে অনেক সময় ছন্দ পায় না। তাই ইংল্যান্ড শুরুতে স্পিনার এনে চমক দিতেই পারে। অন্য দিকে, অস্ট্রেলিয়ার মাঝের দিকের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অ্যালেক্স ক্যারি দুর্দান্ত। এই প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়ার ত্রাতা হয়ে দেখা গিয়েছে ক্যারিকে।
ম্যাচটা হবে বার্মিংহামে। যেখানে তিনশো রান ওঠাটা স্বাভাবিক। পাশাপাশি সিমাররাও এই মাঠে সুবিধা পায়। তাই দুর্দান্ত একটা ব্যাট ও বলের দ্বৈরথ দেখতে মুখিয়ে রয়েছি। একই সঙ্গে টস জেতাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, টসে জিতে এই মাঠে সব অধিনায়কই শুরুতে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে বড় রান চাপিয়ে দিতে চাইবে। তার পরে স্কোরবোর্ডের চাপ আর আক্রমণাত্মক বোলিং তো রয়েছেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy