বিশ্বকাপে বল নিয়ে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক আইসিসি। সোমবার ইংল্যান্ড বনাম পাকিস্তান ম্যাচে ক্রিকেটারদের তাই ফিল্ডিং করার সময় একাধিক বার সতর্ক করে দিচ্ছিলেন আম্পায়ারেরা। বল মাটিতে না ছোড়ার জন্য। বেশি মাটিতে ছুড়লেই বলের এক দিক খড়খড়ে হয়ে উঠতে পারে, যাতে রিভার্স সুইং হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
মাঠে উপস্থিত দুই আম্পায়ার মারিয়াস এরাসমাস এবং সুন্দরম রবি পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ এবং ইংল্যান্ডের অধিনায়ক অইন মর্গ্যানের সঙ্গেও ম্যাচ চলার সময় কথা বলছিলেন এই ব্যাপারে। ‘‘দুটো ইনিংস জুড়েই এই নিয়ে কথা হচ্ছিল। আম্পায়ারেরা ইনিংসের মাঝে আমার কাছে এসেছিলেন। ওরা হয়তো ভাবছিলেন আমরা ফিল্ডিং করার সময় মাটিতে বল বেশি ছুড়ছি বা হয়তো এই নিয়ে একটু বেশিই ভাবা হচ্ছিল,’’ বলেছেন মর্গ্যান। একটি ক্রিকেট ওয়াবসাইট তাই জানাচ্ছে।
অবশ্য গোটা ম্যাচে চোখে পড়ার মতো রিভার্স সুইং দেখা যায়নি। তবে ১০৩ রান করার পরে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান জস বাটলারকে অবশ্য বল পরীক্ষা করতে দেখা গিয়েছিল। যে ব্যাপারে ব্যখ্যা দিতে গিয়ে ইংল্যান্ড অধিনায়ক বলেন, ‘‘বিজ্ঞাপনের এলইডি বোর্ডগুলোয় ধাক্কা খেলেই বলের এক দিক অসমান হয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছিল। তাই জস দেখছিল বলের এক দিক বেশি অসমান হয়ে উঠেছে কি না।’’
পাকিস্তানের অলরাউন্ডার মহম্মদ হফিজও বলেছেন, তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল ফিল্ডিং করার সময় এক বারের বেশি বাউন্স না দিয়ে বল ছুড়তে। না হলে শাস্তির কবলে পড়তে হবে। ‘‘আম্পায়াররা তাদের কাজটাই করছিলেন। দুই দলের ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রেই এমন কয়েক বার হয়েছে যে বল এক বারের বেশি বাউন্স দিয়ে পাঠানো হয়েছে। ২০ ওভারের পরে আমাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল, দু’বার বাউন্স দিয়ে বল ছুড়লে শাস্তি পেতে হবে। তবে আমার মনে হয় ওরা ঠিকই করছিলেন। এটাই তো তাদের কাজ,’’ বলেন মহম্মদ হাফিজ। ইংল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটার জো রুট অবশ্য কিছু বলতে চাননি। ‘‘এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। করলে বিতর্কে পড়ে যেতে পারি,’’ বলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy