প্রশ্নে: স্টার্কের এই ডেলিভারি নো ডাকেননি আম্পায়ার। টুইটার
অস্ট্রেলিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাট করার সময় চারটি ক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানকে আউট দেওয়া হয়। তার প্রত্যেকটি রিভিউ ব্যাটসম্যানের পক্ষে যায়। কিন্তু সব চেয়ে বেশি আম্পায়ারের যে সিদ্ধান্ত নজর কাড়ে, তা নিয়ে সরব বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং মিডিয়া।
৪.৪ ওভারে ক্রিস গেলকে একটি দুরন্ত ইয়র্কার দেন মিচেল স্টার্ক। যে হেতু সেই বলে কোনও রান অথবা আবেদন হয়নি, তাই টিভি আম্পায়ারের সাহায্যও নেওয়া হয়নি। কিন্তু পরে দেখা যায় পপিং ক্রিজ থেকে স্টার্কের পা অনেকটা বেরিয়ে গিয়েছিল। সাধারণত যা চোখ এড়ানোর কথা নয়। কিন্তু উপস্থিত আম্পায়ার ক্রিস গাফনির চোখ এড়িয়ে যায় সেই বল।
সবচেয়ে বড় কথা, তার পরের বলেই আউট হন গেল। যদি আগের বলটি নো দেওয়া হত, তা হলে নিয়ম অনুযায়ী ‘ফ্রি-হিট’ হত পরের বল। সে ক্ষেত্রে গেলও হয়তো আউট হতেন না। টুইটারে এ বিষয়ে একাধিক মন্তব্য উড়ে আসে। এক জন লেখেন, ‘‘বিশ্বকাপে এ ধরনের আম্পায়ারিং সহ্য করা যায় না। বলটি নো দেওয়া হলে, পরের বলে গেল আউট হয় না। তার উপর চারটি রিভিউ ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে গিয়েছে।’’
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আম্পায়ারিং নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে শোনা যায়নি ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক জেসন হোল্ডারকে। তিনি অবশ্য বলেন, ‘‘দায়িত্বহীন শট নেওয়ার ফল পেলাম। ম্যাচটি আমাদের হাতের মুঠোয় ছিল। কিন্তু তার সদ্ব্যবহার করতে পারিনি। সব চেয়ে বড় ভুল হয়েছে কুল্টার-নাইলের ক্যাচ ফেলা। তখন ৬০ রানে ব্যাট করছিল ও। তার পরে আরও ৩০ রান যোগ করে।’’
আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৬০ বলে ৯২ রান করেন নেথান কুল্টার-নাইল। বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত আট নম্বর ব্যাটসম্যানের এটাই সর্বোচ্চ স্কোর। ওয়ান ডে ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তাঁর আগে রয়েছেন ক্রিস ওকস। ২০১৬ সালে নটিংহ্যামে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অপরাজিত ৯৫ রান করেন তিনি। কুল্টার-নাইল কি ভেবেছিলেন এত রান করার ক্ষমতা তাঁর রয়েছে? অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডারের উত্তর, ‘‘একেবারেই ভাবিনি। প্রস্তুতি ম্যাচে স্মিথের সঙ্গে একটি ম্যাচে একই ভূমিকা আমাকে পালন করতে হত। স্মিথ তখন ৮০ রানে ব্যাট করছিল। কিন্তু আমি ওকে সঙ্গ দিতে পারিনি। তাই এ দিন স্মিথের সঙ্গে ক্রিজে সময় কাটাতে চেয়েছিলাম। তার জন্যই সফল হয়েছি।’’
কুল্টার-নাইলের প্রশংসা করে গেলেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চও। তাঁর কথায়, ‘‘নেথানের ইনিংস অনবদ্য। ভাবতেই পারিনি ওই পরিস্থিতি থেকে আমাদের বার করে নিয়ে আসবে। তবে স্মিথ ও অ্যালেক্স ক্যারির জুটি খেলাটা না ধরলে আমরা হয়তো ঘুরে
দাঁড়াতে পারতাম না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy