শতরানের পরে রোহিত শর্মা। ছবি: এপি।
হারের হ্যাটট্রিক দক্ষিণ আফ্রিকার। শতরানের হ্যাটট্রিক হল না বিরাট কোহালির।
বিশ্বকাপে টানা তিনটি ম্যাচ আগে কখনও হারেনি প্রোটিয়া-বাহিনী। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৯২ বিশ্বকাপে অজিদের মাটি ধরানোর পরে নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মুখ থুবড়ে পড়েছিলেন অ্যালান ডোনাল্ডরা।
অন্যদিকে বিরাট কোহালি ২০১১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ) ও ২০১৫ (পাকিস্তানের বিরুদ্ধে) বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে শতরান হাঁকালেও সাউদাম্পটনে ব্যর্থ হলেন। ভারত অধিনায়ক এদিন তিন অঙ্কের রানে পৌঁছতে না পারলেও রোহিত শর্মা (১২২ নট আউট) সেঞ্চুরি করে দলকে জেতালেন। ১৫ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে দু’ প্লেসিদের হারিয়ে বিশ্বকাপের শুরুটা দামামা বাজিয়েই করল টিম ইন্ডিয়া।
‘চোকার্স’ বদনাম আগেই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার! মোক্ষম সময়ে ভেঙে পড়তেন তাঁরা। এ বারের ফ্যাফ দু’ প্লেসির দল খুবই দুর্বল। চলতি বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচ খেলে ফেলল প্রোটিয়া-বাহিনী অথচ এখনও নিজেদের গুছিয়ে নিতে পারল না। ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে অসহায় দেখাল হাসিম আমলাদের। শুরুতে যশপ্রীত বুমরা, পরে যুজবেন্দ্র চহাল এবং ভুবনেশ্বর কুমারের দৌরাত্ম্যে দক্ষিণ আফ্রিকা থেমে গেল ২২৭ রানে। ক্রিস মরিস (৪২) ও কাগিসো রাবাডা (৩১) চোয়াল শক্ত করে লড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা ভদ্রস্থ রান করে।
রান তাড়া করতে নেমে শিখর ধওয়নের উইকেট দ্রুত হারালেও ম্যাচ জিততে সমস্যা হয়নি ভারতের। ইনিংস গড়ার কাজ করে গেলেন রোহিত। কোহালি (১৮) ও লোকেশ রাহুল (২৬) ফিরে গেলেও সমস্যা হয়নি ম্যাচ বের করতে। পার্টনারশিপ গড়ার কাজ ‘হিটম্যান’ করে গেলেন কখনও কোহালি, কখনও রাহুল আবার কখনও অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ ধোনির (৩৪) সঙ্গে। ব্যাটসম্যানদের কাজটা সহজ করে দেন ভারতীয় বোলাররাই। চহাল ধাঁধা সমাধান করতে পারলেন না দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা। অবশ্য শুরুর ধাক্কাটা দিয়েছিলেন বুমরাই। দিনকয়েক আগে মজা করেই দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ককে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘‘আপনার দলের যা পরিস্থিতি, তাতে কাকে দলে নিতে চাইবেন?’’ উত্তরে দু’ প্লেসি বলেছিলেন, ‘‘আমার যা অবস্থা, তাতে বুমরাকেই দরকার ছিল।’’ ভুল কিছু বলেননি দু’ প্লেসি। আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলা বুমরাকে শুরুতে দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন, লম্বা রেসের ঘোড়া তিনি নন। বিচিত্র বোলিং অ্যাকশানের জন্য শুনতে হয়েছিল কটাক্ষ। কিন্তু, সময় যত এগিয়েছে বুমরা ততই পরিণত হয়েছেন। এখন তো অন্যতম সেরা বোলার। ডেথ ওভারে যেমন ইয়র্কার দিতে পারেন, তেমনই শুরুতে ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নিতে পারেন।
এ দিন দক্ষিণ আফ্রিকার দু’ ওপেনারের বিরুদ্ধে তিনটি স্লিপ রেখে বল করে গেলেন বুমরা। দুই দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার আমলা (৬) ও ডি’ কক (১০) ধরা পড়লেন স্লিপে। আগুনে পেসে যে বল করছেন তিনি, তা নয়। কিন্তু, যে জায়গায় বল রেখেছেন, তাতে তাঁকে খেলতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা।
বুমরা গতির হেরফের করে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং ভেঙেছেন। আর চহালের ঘূর্ণিতে ঠকে যান ভ্যান ডার ডুসেন (২২) ও দু’ প্লেসি (৩৮), ডেভিড মিলার (৩১) ও আন্দিল ফেলুকায়ো (৩৪)। ডুসেন কেন যে চহালকে রিভার্স সুইপ মারতে গেলেন, তা বোধগম্য হয়নি ক্রিকেটভক্তদের। চহালের বল বুঝতে না পেরে বোল্ড হলেন প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন দু’ প্লেসি। চহালের হাতে ক্যাচ তুলে ফিরলেন মিলার (৩১)। চহালকে মারতে গিয়ে স্টাম্পড হন আন্দিল। কুলদীপ ফেরান অভিজ্ঞ ডুমিনিকে (৩)। শেষের দিকে ভুবি তুলে নেন মরিস ও ইমরান তাহিরকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy