Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

সেমিফাইনালে হারানো কঠিন হবে আমাদের, হুঙ্কার রুটের

২০১৬-র সেই ফাইনালের দশ জন ক্রিকেটার এ বারের ইংল্যান্ড দলেও আছেন। এমনিতে ইংল্যান্ড ২০১০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন।

সেফিফাইনালের আগে অনুশীলনে জো রুট। ছবি: রয়টার্স

সেফিফাইনালের আগে অনুশীলনে জো রুট। ছবি: রয়টার্স

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৯ ০৫:৩৪
Share: Save:

এজবাস্টনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সাফল্যের জন্য ইংল্যান্ড অনেকটাই নির্ভর করে আছে তাদের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান জো রুটের উপরে। আর রুট নিজে মনে করেন, তাঁরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। তাই ১৯৯২ সালের পরে প্রথম বিশ্বকাপে (ওয়ান ডে-র) সেমিফাইনালে খেলে শেষ হাসি হাসতেও পারেন। রুটের মনে হচ্ছে, ২০১৬-র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতাটা এ ক্ষেত্রে তাঁদের দারুণ কাজে আসবে।

ইংল্যান্ডের এক প্রচারমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুট বলেছেন, ‘‘বহু দিন পরে আমরা বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে সেমিফাইনালে খেলব। নিঃসন্দেহে এটা একটা বিরাট ব্যাপার আমাদের কাছে। এ রকম সুযোগ বারবার আসে না। তা ছাড়া এই দলের অনেকেই ২০১৬-র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলেছিল। সেই ফাইনালের অভিজ্ঞতাটাও আমাদের এজবাস্টনে দারুণ কাজে দেবে বলে আমার বিশ্বাস।’’

২০১৬-র সেই ফাইনালের দশ জন ক্রিকেটার এ বারের ইংল্যান্ড দলেও আছেন। এমনিতে ইংল্যান্ড ২০১০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন। ২০০৪ এবং ২০১৩— দু’বার ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু শেষ ২৭ বছরে বিশ্বকাপে নকআউট পর্বে কোনও ম্যাচ জিততে পারেনি। অতীতে দু’বার তারা সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কাছে পরাজিত হয়। এই দুই দেশ ন’বারের মধ্যে সাত বার এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন।

জো রুট মনে করেন, গ্রুপ লিগে ভারত ও নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদের জয় ইংল্যান্ডের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। এই দু’টি ম্যাচই এ বার সেমিফাইনালে খেলার জন্য রুটদের কাছে অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যে সাফল্যের সুবাদেই তাদের খেলতে দেখা যাবে এজবাস্টনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার। রুট বলেছেন, ‘‘বেশ ভাল ছন্দেই আমরা টুর্নামেন্টে খেলা শুরু করেছিলাম। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে দলের মনোবল চিড় খেয়েছিল। এটা স্বীকার করতেই হবে। সেখান থেকে দারুণ ভাবে নিজেদের ফিরে পেয়ে ভারত আর নিউজ়িল্যান্ডকে কিন্তু আমরা হারিয়েছি। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও আমাদের ভাল লড়াই না করার কোনও কারণ নেই। আমরা বৃহস্পতিবার নিজেদের সেরা খেলাটা খেলার লক্ষ্যেই কিন্তু মাঠে নামব। আশা করি, এজবাস্টনের পিচে সফলও হব।’’

গত শনিবার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘বারবার বড় মঞ্চে অস্ট্রেলিয়া আর ভারতই নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। অতীতে দেখা গিয়েছে, বড় ম্যাচে ওরাই জেতে। আমরা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছি ঠিকই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ওরা বেশির ভাগ সময়ই সফল হয়। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপও অনেক বার জিতেছে। তাই আমার নিশ্চিত ভাবেই মনে হচ্ছে, এ বার কাপ নিয়ে যাবে অস্ট্রেলিয়া আর ভারতের মধ্যে যে কোনও একটা দেশ।’’

দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়কের এ রকম মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রুটের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমার তো মনে হয় ও খুব ভুল কিছু বলেনি। পরিসংখ্যানই বলে দেয়, অস্ট্রেলিয়া বারবার সফল হয়েছে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, আমাদের কোনও সম্ভাবনাই নেই। নকআউটে খেলার জন্য একটা দলে যে ধরনের গভীরতা দরকার তা কিন্তু গ্রুপের ম্যাচে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি। বিশেষ করে, শেষ দু’টি ম্যাচে। যদি নকআউটে শেষ দু’টো ম্যাচে সে ভাবে খেলতে পারি, তা হলে আমাদের কাপ জেতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আর শেষ দু’টো ম্যাচের মতো খেলতে পারলে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আমাদের হারানো খুব কঠিন হবে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy