লক্ষ্য: বিশ্বকাপ জেতাই এখন পাখির চোখ হার্দিক পাণ্ড্যের। ফাইল চিত্র
মাত্র দেড়শো কোটি মানুষ আশা করছেন, ভারত বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফিরবে! তাই সেটা আর কীসের চাপ! এমনই কথা বলে দিচ্ছেন হার্দিক পাণ্ড্য।
এ বার বিশ্বকাপ জেতার ব্যাপারে অন্যতম দাবিদার ভারত। প্রথম দুটো ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা আর অস্ট্রেলিয়াকে সহজে হারানোর পরে সেই প্রত্যাশার মাত্রা আরও বেড়েছে। আইসিসির পোস্ট করা এক ভিডিয়োয় সেই প্রত্যাশার চাপ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে হার্দিক মজা করে বলেন, ‘‘আমাদের ওপর কোনও চাপই নেই। কারণ মাত্র দেড়শো কোটি লোক আশা করে আছে আমরা বিশ্বকাপ জিতব!’’
তবে মজা করলেও হার্দিক পরিষ্কার করে দিয়েছেন নিজের লক্ষ্য। বলেছেন, ‘‘১৪ জুলাই আমি বিশ্বকাপটা হাতে নিতে চাই। এটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। যখনই এই কথাটা ভাবি, রোমাঞ্চিত হয়ে পড়ি। আমার পরিকল্পনাটা খুব সহজ— ইংল্যান্ড থেকে বিশ্বকাপ নিয়ে দেশে ফিরতে হবে। সেটাই হবে আশা করছি এবং আমি নিজের কাছ থেকে সেটা প্রত্যাশাও করি।’’
ভারতের জার্সি গায়ে মাঠে নামার অনুভূতিটা কেমন? হার্দিক বলেছেন, ‘‘ভারতের হয়ে খেলাটা আমার কাছে সব কিছু। এটাই আমার জীবন। আমি এমন এক জন যে, ভালবাসা দিয়ে, আবেগ দিয়ে ক্রিকেটটা খেলি। আমি এমন এক জন যে, চ্যালেঞ্জটা ভালবাসে। সাড়ে তিন বছর ধরে আমি এই স্বপ্নটা পূরণ করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। এখন সময় এসেছে সেই লক্ষ্যে পৌঁছনোর।’’
কয়েক মাস আগেই টিভি চ্যানেলে একটি চ্যাট শো-য়ে মহিলাদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন হার্দিক। যার পরে সাসপেন্ডও হতে হয় তাঁকে। কিন্তু মাঠে ফিরে ব্যাট হাতে দুরন্ত সব ইনিংস খেলছেন তিনি। স্টিভ ওয়ের মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটার তো এও বলেছেন, হার্দিককে দেখে তাঁর ১৯৯৯ বিশ্বকাপের লান্স ক্লুজনারের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। জীবনের এই নানা ওঠা-পড়া হার্দিককে একটা জিনিস শিখিয়েছে। সব সময় খুশি থাকা। ‘‘জীবনে যা-ই হোক না কেন, আমি সব সময় খুশি থাকতে চাই। আমি আর আমার ভাই (ক্রুণাল) নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছিলাম। বলছিলাম, যে কোনও অবস্থায় আমরা খুশি থাকতে পারি। আসলে যে অবস্থা থেকে এসেছি, তার তুলনায় আমরা এখন যা পাচ্ছি, পুরোটাই বোনাস।’’
হার্দিক একটা ঘটনার কথাও বলছেন। ‘‘দিন কয়েক আগে আমার এক বন্ধু আমাকে একটা ছবি পাঠিয়ে জানতে চায়, মনে আছে ঘটনাটা? অবশ্যই আমার মনে ছিল। ছবিটা ছিল ২০১১ সালের। ভারত বিশ্বকাপ জেতার পরে আমরা রাস্তায় নেমে এসেছিলাম। উৎসব হচ্ছিল। অত রাতে অত লোক আমি কখনও রাস্তায় দেখিনি। ঘটনাটা আমাকে ভীষণ আবেগপ্রবণ করে তুলেছিল,’’ বলছিলেন হার্দিক।
আট বছর পরে আরও একটা বিশ্বকাপ এসেছে। তফাত হল, এ বার হার্দিকের কাঁধে রয়েছে দেশকে বিশ্বকাপ এনে দেওয়ার দায়িত্ব। এই তরুণ অলরাউন্ডার বলছেন, ‘‘আট বছর পরে আমি একটা বিশ্বকাপ খেলছি। সব যেন স্বপ্ন মনে হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy