ফুরফুরে: ম্যাচের শেষে সমর্থকদের সঙ্গে নিজস্বী তৃপ্ত ওয়ার্নারের। টুইটার
বল বিকৃতি কাণ্ডে নির্বাসিত হওয়ার পরে ডেভিড ওয়ার্নারের আশঙ্কা ছিল আর কোনও দিন হয়তো অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে সেঞ্চুরি করতে পারবেন না। কিন্তু সেই আশঙ্কা দূর করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১০৭ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলার পরে স্বস্তি ফিরেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপজ্জনক ওপেনারের। এক বছরের নির্বাসনের শাস্তি কাটানোর পরে বিশ্বকাপে ওয়ার্নার এবং স্টিভ স্মিথের প্রত্যাবর্তন সফল। এই সাফল্যের কৃতিত্ব স্ত্রী ক্যান্ডিসকে দিচ্ছেন ওয়ার্নার।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর শতরান অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে শেষ সেঞ্চুরি হয়ে থাকবে এই সম্ভাবনা কখনও মনে উঁকি দিয়েছিল কি না প্রশ্ন করলে ওয়ার্নার বলেছেন, ‘‘তা তো বটেই। সব সময় এটা মাথায় ঘুরত। এই চিন্তাটাই আমায় আরও ফিট হওয়ার জন্য পরিশ্রম করতে, টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতাগুলোয় যত বেশি সম্ভব রান করতে উৎসাহ দিত। এই কঠিন সময় কাটানোর জন্য, নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারার জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসতে পেরেছি।’’
স্ত্রীর প্রশংসা করে এর পরে ওয়ার্নার বলেন, ‘‘স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জন্য আমি কঠিন সময় সামলে এগিয়ে যেতে পেরেছি। পরিবার আমায় সব সময় সমর্থন করে গিয়েছে। স্ত্রীই আমার শক্তি। ক্যান্ডিস শৃঙ্খলাপরায়ণ, নিঃস্বার্থ। যে ভাবে আমার পাশে ছিল ভাবা যায় না।’’ ওয়ার্নার আরও যোগ করেন, ‘‘স্ত্রীকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। ও মানসিক ভাবে খুব শক্তপোক্ত। ওই প্রথম ১২ সপ্তাহে অনেক দিনই ও আমাকে টেনে তুলে অনুশীলনে পাঠিয়েছে। যাতে আমি ফিটনেসটা ধরে রাখতে পারি। এই পরিশ্রম করার ব্যাপারটা ওই আমার মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছিল।’’
পাকিস্তান ম্যাচে সেঞ্চুরির পরে মোট ২৫৫ রান করে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান শিকারি এখন ওয়ার্নার। তা ছাড়া আফগানিস্তান এবং ভারতের বিরুদ্ধে ধীর গতির হাফসেঞ্চুরির পরে তুলনায় রান করার গতিও অনেক বেড়েছে তাঁর এই ম্যাচে। তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ওয়ার্নার বলেন, ‘‘আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও ছন্দ পাচ্ছিলাম না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বলটা লাফিয়ে উঠেছিল। আমি দ্রুত সামলাতে পারিনি। শেষ ম্যাচে (ভারতের বিরুদ্ধে) যে ভাবে খেলতে চেয়েছিলাম, পারিনি। তাই এই সেঞ্চুরিটা করার পরে অনেক স্বস্তি পেয়েছি।’’ তবে সেঞ্চুরি করলেও পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন ওয়ার্নার, ‘‘আমার এখনও মনে হয় আরও রান করতে পারতাম। ৭০ বল বাকি ছিল ইনিংস শেষ হতে। পার্টনারশিপ গড়তে পারতাম। ওই সময় সেটা না পারার জন্য আমার আউট হওয়াটাই দায়ী।’’
শুধু ম্যাচ জেতানোই নয়, ওয়ার্নার সবার মন জয় করে নেন এক কিশোর অস্ট্রেলীয় সমর্থককে নিজের ম্যাচ সেরার ট্রফি উপহার দিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে। নিজের ট্রফি উপহার দিয়ে ওয়ার্নার সইও দেন সেই কিশোরকে। কেমন লাগছে এই উপহার পেয়ে? সেই কিশোর বলে দেয়, ‘‘আমরা গ্যালারিতে দাঁড়িয়েছিলাম। অস্ট্রেলিয়ার পতাকা নিয়ে। তখন ওয়ার্নার এসে নিজের ট্রফিটা উপহার দেয়। দারুণ লাগছে এটা পেয়ে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy