সম্প্রীতি: শোয়েব মালিকের স্ত্রী সানিয়া মির্জ়ার সঙ্গে এক ফ্রেমে মহম্মদ বশির। শুক্রবার ম্যাঞ্চেস্টারে। পিটিআই
ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ ঘিরে এক দিকে চড়ছে উত্তাপের পারদ, অন্য দিকে আবার দেখা যাচ্ছে ভিন্ন ছবি। যেখানে বন্ধুত্বের হাত দু’দেশের সীমারেখা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, কিছুই মানছে না।
যেমন, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এবং পাক বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ‘চাচা শিকাগো’র বন্ধুত্ব। যে বন্ধুত্বের শুরু সেই ২০১১ সালের বিশ্বকাপ থেকে। যে বন্ধুত্ব ক্রমেই মজবুত হয়েছে। যে বন্ধুত্বের জোরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইংল্যান্ডে উড়ে এসেছেন ‘চাচা শিকাগো’, অর্থাৎ মহম্মদ বশির। এসেছেন রবিবারের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের কোনও টিকিট ছাড়াই। কারণ বশিরের স্থির বিশ্বাস, সেই টিকিট জোগাড় করে দেবেন ধোনি।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বশির বলেছেন, ‘‘আমি গত কাল ম্যাঞ্চেস্টারে এসে পৌঁছেছি। দেখলাম, একটা টিকিটের জন্য লোকে ৮০০-৯০০ পাউন্ড দেওয়ার জন্য তৈরি। শিকাগো থেকে প্লেনে রিটার্ন টিকিটের দাম অত পড়ে যাবে। তবে ধোনিকে ধন্যবাদ, আমাকে টিকিটের জন্য ছোটাছুটি করতে হবে না।’’
করাচিতে জন্ম, শিকাগোতে ব্যবসা আর নিখাদ ক্রিকেটপ্রেমী। এটাই বশিরের পরিচয়। বিশ্বের প্রায় সব জায়গায় পাকিস্তান ম্যাচে দেখা যায় তাঁকে। আর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হলে তো কথাই নেই। হাজির হয়ে যাবেন ঠিক। যেমন হাজির হয়ে গিয়েছিলেন মোহালিতে, ২০১১ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে। সেখানেও হাতে টিকিট ছিল না বশিরের। তৎকালীন ভারত অধিনায়ক ধোনি তখন নিজের উদ্যোগে টিকিট জোগাড় করে দেন তাঁকে।
ধোনির সঙ্গে কি এ বারও আপনার কথা হয়েছে আগে থেকে? বশির বলছেন, ‘‘ধোনি প্রচণ্ড ব্যস্ত থাকে। তাই আমি ওকে ফোন করি না। যা জানানোর টেক্সট মেসেজ করে জানাই। ইংল্যান্ডে আসার অনেক আগেই ধোনি আমাকে টিকিটের ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়েছে। ওর মতো মানুষ হয় না। সেই ২০১১ সালে মোহালির ম্যাচ থেকে ধোনি আমাকে সাহায্য করে আসছে। কেউ এ রকম করতে পারে, ভাবাই যায় না।’’ ‘চাচা শিকাগো’ আরও বলেন, ‘‘ভাবা যায়, যে টিকিটের জন্য লোকে বিশাল অর্থ খরচ করতে প্রস্তুত, সে-ই টিকিট আমি বিনা পয়সায় পেয়ে যাচ্ছি।’’ তিনি আরও জানাচ্ছেন, ধোনির জন্য বিশেষ একটি উপহারও নিয়ে এসেছেন।
ম্যাঞ্চেস্টারে পৌঁছনোর পরে পাকিস্তান টিম হোটেলে গিয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন বশির। সেখানে দেখা হয়েছে সানিয়া মির্জা-শোয়েব মালিকের সঙ্গেও। বশিরের স্ত্রীও হায়দরাবাদের মেয়ে। যে কারণে ভারতের প্রতি তাঁর ভালবাসাটা একটু বেশি। ম্যাচে দু’দেশের জার্সিই দেখা যায় তাঁর গায়ে।
এখানেই শেষ নয়। ভারতীয় সমর্থক সুধীরের সঙ্গেও বশিরের বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। বেশির ভাগ জায়গায় দু’জনকে একসঙ্গে থাকতে দেখা যায়। দুবাইয়ে এশিয়া কাপেও বশির আর সুধীর ভারতীয় দলের সঙ্গে একই হোটেলে ছিলেন। ম্যাঞ্চেস্টারেও তাঁরা একসঙ্গে রয়েছেন। এশিয়া কাপে সুধীরকে নিজের অর্থে ভারত থেকে দুবাইয়ে নিয়ে এসেছিলেন বশির। এখানেও ভারতীয় বন্ধুর জন্য হোটেলে ঘর নিয়েছেন তিনি। বশির বলেছেন, ‘‘আমরা একসঙ্গে থাকছি। বন্ধুকে সাহায্য করতে পেরে খুবই
ভাল লাগছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy