মরিয়া: লর্ডসে ইতিহাস গড়ার লক্ষ্যে অধিনায়ক মর্গ্যান। রয়টার্স
খেলায় কবে কী হয় কেউ বলতে পারে না। অইন মর্গ্যান তাই বলে দিতে পারছেন না যে রবিবার লর্ডসের ব্যালকনিতে তাঁর হাতেই বিশ্বকাপটা শোভা পাবে।
সাতাশ বছর পরে বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপ আর ইংরেজদের মধ্যে প্রাচীর একটাই। কেন উইলিয়ামসনদের নিউজ়িল্যান্ড। ক্রিকেট বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ হেন সাফল্যে ক্রিকেটে উৎসাহ হারিয়ে ফেলা ইংরেজ সমর্থকেরা হঠাৎই যেন জেগে উঠেছেন।
ফাইনালের আগের দিন মর্গ্যানকে বলতে শোনা গেল, ‘‘ট্রফি তুলবই এতটা ভাবার পক্ষপাতী আমি নই। ক্রিকেট বা যে কোনও খেলাতেই কবে কী হবে কেউ জানে না। দেখবেন যখনই আপনি অনেকটা এগিয়ে গিয়েছেন তখনই পিছন থেকে এসে কেউ আপনার উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে।’’ মর্গ্যান অবশ্য এটাও বলেছেন, ‘‘সত্যিই যদি কাপটা জিততে পারি তা হলে সন্দেহ নেই, আজকের শিশুদের মনে আমরা বহু বহু দিন থেকে যাব।’’
ক্রিকেট বিশ্লেষকেরা একবাক্যে মানছে, ফাইনালে ইংল্যান্ডই ফেভারিট। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে কার্যত তারাই বিশ্বের এক নম্বর ওয়ান ডে দল। যা নিয়ে মর্গ্যান বলেছেন, ‘‘একদিনে এত বড় সাফল্য আসেনি। ড্রেসিংরুমের সবাই জানে এটা গত চার বছরের অমানুষিক পরিশ্রমেরর ফল। নিষ্ঠা, একাগ্রতা— এমন অনেক কিছু মিলে যা হয়েছে। সঙ্গে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করে এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা তো আছেই। যে কারণে এখন সত্যিই আমরা বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছি।’’
ইংরেজ সমর্থকেরা যে ভাবে ইংল্যান্ডকে এ বার সমর্থন করে যাচ্ছেন তাতে আপ্লুত মর্গ্যান। ‘‘এই রকম প্রশ্নাতীত সমর্থন এক কথায় অবিশ্বাস্য। যে কোনও দলের শক্তি তাতে অনেকটাই বেড়ে যায়। আমাদের ক্ষেত্রেও ঠিক সেটাই হয়েছে,’’ বলেছেন মর্গ্যান। ফাইনালের একদিন আগে ইংরেজ অধিনায়ক কিন্তু তাঁর যাবতীয় সাফল্যের জন্য অনেকটাই কৃতিত্ব দিচ্ছেন নিউজ়িল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাকালামকে। ‘‘চিরকালই আমরা ঘনিষ্ঠ। সব সময় আমি ওর সাহায্য পেয়েছি। এমনকি একটা দলকে কী ভাবে নেতৃত্ব দিতে হয় তা-ও ব্রেন্ডনের কাছে জেনেছি।’’
ব্রিটিশ প্রচারমাধ্যম নিউজ়িল্যান্ড অধিনায়কের কাছে বার বার জানতে চেয়েছিল শক্তিতে ইংল্যান্ড কিছুটা হলেও এগিয়ে। এ রকম পিছিয়ে থেকে ফাইনাল খেলতে নামায় তার দলের মানসিক অবস্থা কী রকম? উইলিয়ামসন যার উত্তরে মাথা ঠান্ডা রেখেই বলেন, ‘‘ইংল্যান্ড অবশ্যই এই ম্যাচ খেলতে নামছে ফেভারিট হিসেবে। কিন্তু আমার দল পিছিয়ে থাকলেও সেটা গুরুত্ব পাচ্ছে না। আমরা যে ক্রিকেটটা ফাইনালে খেলতে চাইছি, এই মুহূর্তে সেটাই আমার দলের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে। আধুনিক ক্রিকেটে এটা তো বহু বার দেখা গিয়েছে পরিকল্পনামাফিক খেলতে পারলে যে কোনও দলকে হারানো যায়। আমরা সে ব্যাপারেই মনোনিবেশ করছি।’’ যোগ করেন, ‘‘ম্যাচের পরে কী হবে তা এখনই বলা যাবে না। তবে আমরা তৈরি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy