Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

শুরুতে দেখে খেলতে হবে

যশপ্রীত বুমরাদের সামনে রস টেলররা যে শুরু থেকেই আগ্রাসী হবে তা মনে হয়েছিল। কিন্তু বুমরাদের সামনে ওরা ৪৬.১ ওভারের মধ্যে যে ১৫৩টা  ‘ডট বল’ খেলবে, তা বুঝতে পারিনি।

ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে নেটে ব্যাটিং প্র্যাকটিসে মুরলি কার্তিক। ছবি: এএফপি

ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে নেটে ব্যাটিং প্র্যাকটিসে মুরলি কার্তিক। ছবি: এএফপি

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৯ ০৫:০৩
Share: Save:

বিরাট কোহালিরা শ্রীলঙ্কা ম্যাচ জেতার পরেই লিখেছিলাম, ইংল্যান্ডে এই সময়টা গ্রীষ্মের দ্বিতীয় পর্ব। পিচ উপমহাদেশের মতো আচরণ করবে। সুবিধা পাবে স্পিনারেরা। তাই সেমিফাইনাল ও ফাইনালে টস জেতাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর টস জিতলে শুরুতে ব্যাট করা বুদ্ধিমানের কাজ।

সেখানে নিউজ়িল্যান্ড টস জিতে ব্যাটিং করায় এবং দিনের প্রথম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারের প্রথম বলে বিরাটরা রিভিউ নিয়ে নষ্ট করায়, একটু চিন্তা হয়েছিল। কিন্তু নিউজ়িল্যান্ড যে ভারতীয় বোলারদের সামনে শুরু থেকে এতটা কুঁকড়ে যাবে, তা ভাবিনি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা বৃষ্টির জন্য স্থগিত হয়ে যাওয়ায় দুর্দান্ত একটা জয়ের জন্য অপেক্ষা করতেই হচ্ছে আজ, বুধবার পর্যন্ত।

যশপ্রীত বুমরাদের সামনে রস টেলররা যে শুরু থেকেই আগ্রাসী হবে তা মনে হয়েছিল। কিন্তু বুমরাদের সামনে ওরা ৪৬.১ ওভারের মধ্যে যে ১৫৩টা ‘ডট বল’ খেলবে, তা বুঝতে পারিনি। বুধবার যদি এই ম্যাচে ভারত জেতে, তা হলে নিউজ়িল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের এই ১৫৩ বল অর্থাৎ ২৫.৩ ওভার কোনও রান না করা, ওদের হারের একটা বড় কারণ হয়ে থাকবে।

ম্যাঞ্চেস্টারে বৃষ্টিস্নাত পরিবেশে পিচ ঢাকা থাকায় বাইশ গজে ভেজা ভাবটা ছিল না। কিন্তু আউটফিল্ড যে-হেতু ঢাকা থাকে না। তাই ভেজা বল অদ্ভুত আচরণ করতে পারে। ঠিক এই সুযোগটাই নিয়েছিল ভারতের দুই বোলার যশপ্রীত বুমরা ও ভুবনেশ্বর কুমার। দু’জনেই জানত এই পিচে শুকনো জায়গাগুলো কোথায়। সেখানেই শুরু থেকে বল ফেলে পিচের বাউন্সটা আদায় করে নিতে পেরেছিল দুই পেসার। বুমরার এক্সপ্রেস গতি ও ভুবনেশ্বরের গতি ও লেংথের হেরফের করে আসা ডেলিভারিগুলো সামলাতে শুরু থেকেই সমস্যায় পড়ে নিউজ়িল্যান্ড। প্রথম দশ ওভারে স্কোরবোর্ডে এক উইকেট হারিয়ে যোগ করে ২৭ রান। প্রথম দশ ওভারে ৪৩টি ‘ডট বল’। ৪৮তম বলে প্রথম চার নিউজ়িল্যান্ডের।

তার পরে, কুঁচকির চোট নিয়ে বল করা হার্দিক পাণ্ড্যকে এই সময় আক্রমণ করা উচিত ছিল রস টেলরদের। কিন্তু ওরা সেটা করেইনি। সেই কারণেই রানটা বাড়েনি। ৪৬.১ ওভারে নিউজ়িল্যান্ডের রান ২১১-৫।

কেন এত দিন ধরে জাডেজার কথা বলছি তা নিশ্চয়ই আজ বোঝা গিয়েছে। নিখুঁত লাইন ও লেংথে বল করে জাডেজা চাপটা বাড়িয়ে দিয়েছিল নিউজ়িল্যান্ডের উপরে। পাশাপাশি ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি এ দিন দুর্দান্ত ফিল্ডিং সাজিয়ে চাপটা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল রস টেলরদের উপরে। মিডঅফ, মিড উইকেট, মিড অন অঞ্চল দিয়ে নিউজ়িল্যান্ডের রান তোলার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল। ফলে মারার জায়গা যেমন পায়নি নিউজ়িল্যান্ড, তেমনই দ্রুত রানও তুলতে না পেরে হতাশ হয়ে উইকেট দিয়েছে।

বুধবার ব্যাট করবে ভারত। নিউজ়িল্যান্ড চার পেসার নিয়ে খেলছে। স্পিনার একা স্যান্টনার। ফলে ওরা কাটার দিয়ে মাত করতে চাইবে। কিন্তু রোহিত-বিরাটরা যে ছন্দে রয়েছে, তাতে এই ম্যাচ না জেতার কোনও কারণ দেখছি না। তবে বৃষ্টিস্নাত পরিবেশ হলে সূচনাটা সতর্ক ভাবে করতে হবে। কোনও সুযোগ দেওয়া যাবে না। নিউজ়িল্যান্ড কিন্তু ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত। শুরুটা সামলে দিতে পারলে ম্যাচ এখনও ভারতের দিকেই রয়েছে প্রবল ভাবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy