গৌতম গম্ভীর।—ফাইল চিত্র।
করোনাভাইরাস অতিমারিকে উপেক্ষা করে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছেন ফুটবলারেরা। কিন্তু ক্রিকেটারেরা কবে মাঠে নামবেন, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই মারণ এই ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে আইসিসির ক্রিকেট কমিটি থুতু দিয়ে বল পালিশ পদ্ধতিতে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব দিয়েছে। যে প্রস্তাবের সঙ্গে সহমত হতে পারছেন না প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার গৌতম গম্ভীর। তিনি মনে করেন, যদি থুতু দিয়ে বল পালিশের পদ্ধতি বাতিল হয় তা হলে বিকল্প কোনও উপায় বার করতে হবে। না হলে, ব্যাট ও বলের দ্বৈরথে ভারসাম্য থাকবে না।
পাশাপাশি, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এ বছর হবে কি না, তা জানতে চাইলে গম্ভীর বলেছেন, ‘‘বিষয়টা নির্ভর করবে আইসিসি, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ও অন্য দেশের ক্রিকেট বোর্ডগুলো এ ব্যাপারে কী ভাবছে, তার উপরে। সব দেশের ক্রিকেট বোর্ড যদি রাজি থাকে তা হলে এই প্রতিযোগিতা হতে পারে। না হলে কোনও সম্ভাবনা নেই।’’
ফের ক্রিকেট শুরু হলে থুতু দিয়ে বল পালিশের পদ্ধতি যদি বন্ধ হয়, তখন কী হবে? অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট কমিটির প্রস্তাব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জারি থাকবে কি না, তা আগামী মাসে আইসিসি-র বৈঠকে চূড়ান্ত হওয়ার কথা।
আরও পড়ুন: ডাবল সেঞ্চুরি করব ভাবিনি: রোহিত
গম্ভীর সেই প্রসঙ্গে বলছেন, ‘‘আমার তো মনে হয়েছে, এই নিয়ম চালু হলে বোলারদের কাজটা কঠিন হয়ে যাবে। তাই আইসিসি-কে থুতু দিয়ে বল পালিশ করার বিকল্প উপায় ভাবতেই হবে। না হলে, ব্যাট ও বলের দ্বৈরথে সাম্য বজায় থাকবে না। বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেট খেলা দেখার মজাটাই চলে যেতে পারে।’’
বল পালিশের ক্ষেত্রে থুতু ব্যবহারের পদ্ধতি নিয়ে আগেই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। ভারতীয় পেসার মহম্মদ শামি আনন্দবাজারে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। গম্ভীরের মতোই এ ব্যাপারে বর্ষীয়ান ভারতীয় স্পিনার হরভজন সিংহও বিরুদ্ধ মত প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘ঘাম দিয়ে পুরনো বল পালিশ হয় না। এতে বলটা ভারী হয়ে যাবে। বরং থুতুর গাঢ়ত্ব বেশি। বার বার বলে তা লাগালে পালিশ বজায় থাকে। বিশেষ করে উপমহাদেশে বল বানাতে হয় সুইং বা স্পিনের জন্য। তার জন্যই থুতুর ব্যবহার হয়।’’ তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘ঘাম দিয়ে নতুন বল পালিশ করা যাবে। কিন্তু পুরনো বলে তা হবে না। ফলে বল ঘোরাতে অসুবিধা হবে। বল ধরাও সমস্যা হবে। অসুবিধায় পড়বে বোলারেরা।’’
আরও পড়ুন: ইপিএলে নতুন করে ছয় করোনা আক্রান্তের হদিশ
বিকল্প হিসেবে হরভজনের দাওয়াই, ‘‘সে ক্ষেত্রে দুই প্রান্ত থেকে দু’টি নতুন বলে টেস্ট ম্যাচ হতে পারে। আর ৯০ ওভারের বদলে ৫০ ওভার পরে বল বদল করার নিয়ম রাখা যেতে পারে বোলারদের কথা ভেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy