—ফাইল চিত্র
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজে ভারতীয় দলকে এগিয়ে রাখছেন ইয়ান চ্যাপেল। প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক মনে করেন, শক্তিশালী পেস বিভাগ এবং ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে টপ অর্ডারে গভীরতার জন্যই এই সিরিজে ভারতীয় দল ফেভারিট। তুলনায় তাঁর মতে, ইংল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডারে প্রথম তিন ব্যাটসম্যান ধারাবাহিক নয়।
একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটে নিজের কলামে চ্যাপেল বলেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সব প্রতিকূলতা জয় করে দুরন্ত সাফল্যের পরে ভারতই আসন্ন সিরিজে ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামবে। তার সঙ্গে আবার ব্যাটিংয়ে যোগ হচ্ছে বিরাট কোহালির মতো নাম। ফলে দলটা বুলেটপ্রুফ হয়ে উঠবে।’’ তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘এর সঙ্গে আবার থাকছে আর অশ্বিন, হার্দিক পাণ্ড্য এবং ইশান্ত শর্মা। ফলে ভারতকে অপ্রতিরোধ্য দেখাচ্ছে।’’
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের টেস্ট সিরিজ শুরু হচ্ছে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। সদ্য শ্রীলঙ্কাকে তাদের দেশে ২-০ হারিয়ে এলেও চ্যাপেল মনে করেন, ভারতকে এগিয়ে রাখবে তাদের দুরন্ত টপ অর্ডার। ‘‘এই সিরিজে বেন স্টোকসকে পাচ্ছে ইংল্যান্ড। যে ভারতের হার্দিক পাণ্ড্যর মতো অলরাউন্ডার হিসেবে দক্ষ। যা দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইংল্যান্ডকে সুবিধা দেবে। সঙ্গে জফ্রা আর্চারের যোগ দেওয়াও ইংল্যান্ডের পেস বিভাগকে আরও শক্তিশালী করবে। তবে ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারে আর এক জন ফিরছে। রোরি বার্নস। এই দিক থেকে তুলনায় এগিয়ে থাকতে পারে ভারত,’’ বলেছেন চ্যাপেল। তিনি আরও বলেছেন, ‘‘ভারতের টপ অর্ডারে শুভমন গিল, রোহিত শর্মা এবং চেতেশ্বর পুজারা রয়েছে। এদের উপস্থিতি ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারের থেকে ভারতকে এগিয়ে রাখবে।’’
তিনি মনে করেন ডম সিবলি এবং রোরি বার্নস যদি ব্যর্থ হন, তাতে প্রবল চাপে পড়ে যেতে পারেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুট। ‘‘ডম সিবলির প্রতিকূল পরিস্থিতিতে লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে। যা সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে সাফল্যের জন্য প্রয়োজন। কিন্তু আন্তর্জাতিক মানের সেরা বোলারদের বিরুদ্ধে ওর টেকনিক নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বার্নসও এই দিক থেকে সিবলির মতোই। দু’জনেই যদি চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে না পারে, তা হলে ইংল্যান্ড সমস্যায় পড়তে পারে। যদি না জো রুট একই ভাবে রান করে যেতে থাকে,’’ লিখেছেন চ্যাপেল। তিনি আরও মনে করেন, জ্যাক ক্রলির ভবিষ্যতে সফল হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। তবে শ্রীলঙ্কায় ক্রলির ব্যর্থতার পরে তাঁকে দ্রুত বিশ্রাম দেওয়ার কথাও উঠছে।
একই সঙ্গে চ্যাপেল দু’দলের বোলিং আক্রমণ নিয়েও লিখেছেন নিজের কলামে। তাঁর মতে, বোলিং বিভাগে দুটো দলের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য নেই। তিনি বলেছেন, ‘‘পেস বিভাগে অভিজ্ঞ জিমি অ্যান্ডারসন এবং স্টুয়ার্ট ব্রডের সঙ্গে আর্চারের উপস্থিতি ইংল্যান্ডকে সুবিধা দেবে। তবে ভারতও পেস বিভাগে কতটা উন্নতি করেছে সেটা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দুটো সিরিজে দেখিয়ে দিয়েছে। ভারতের কাছে এখন শুধু শক্তিশালী পেস বিভাগই নেই, সঙ্গে গভীরতাও রয়েছে।’’ এমনকি মিডল অর্ডারেও দুটো দলই একই রকম শক্তিশালী বলে মনে করেন চ্যাপেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy