শোয়েবের গতি সামলে ভারতকে বাঁচিয়েছিলেন ধোনি ও পাঠান। —ফাইল চিত্র।
শোয়েব আখতারকে স্লেজিং করেছিলেন ইরফান পাঠান। ২০০৬ সালের ফয়সলাবাদ টেস্টের স্মৃতি রোমন্থন করে পাঠান বলেন, তিনি ধোনিকে বলেছিলেন, ‘‘আমি শোয়েবকে স্লেজিং করবো। তুমি হাসবে।’’
পাঠানের এমন প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছিলেন ধোনি। সেই টেস্টেই প্রথম শতরান করেছিলেন ধোনি। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ৫৮৮ রান করে। জবাবে একসময়ে ভারতের রান ছিল পাঁচ উইকেটে ২৮১। এর পরে পাঠান ও ধোনি ২১০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ভারতও প্রথম ইনিংসে ৬০৩ রান করায় ম্যাচ ড্র হয়।
সেই টেস্ট প্রসঙ্গে পাঠান বলছেন, ‘‘আমি যখন ব্যাট করতে নেমেছিলাম, তখন শোয়েব আখতার ঘণ্টায় ১৫০-১৬০ কিমি বেগে বল করছিল। প্রথম বলটাই আমাকে বাউন্সার দিয়েছিল। বলটা আমি বুঝতেই পারিনি। একের পর এক বাউন্সার দিয়ে যাচ্ছিল শোয়েব।’’ আমরা অন্য কিছু নিয়ে ভাবিনি। পার্টনারিশপ গড়ার দিকে মন দিয়েছিলাম। শোয়েব বাউন্সারের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর স্লেজিং চালাচ্ছিল। তখন পাঠান নন স্ট্রাইক এন্ডে দাঁড়ানো ধোনিকে বলেন, ‘‘আমি শোয়েবকে স্লেজিং করবো। তুমি হাসবে। ধোনিও তাতে রাজি হয়ে যায়।’’
আরও পড়ুন: ছ’বারে বিশ্বকাপ জয়ের কথায় সন্দেশকে উদ্বুদ্ধ করেন সচিন
শোয়েব তখন রিভার্স সুইং করাতে শুরু করে দিয়েছেন। সেই ডেলিভারির মোকাবিলা করা আরও কঠিন ছিল। পাঠান বলছেন, ‘‘বল রিভার্স সুইং করতে শুরু করেছে তখন। আমাদের কাছে তা বিপজ্জনক ছিল। সেই সময়ে আমি শোয়েবকে বলি, পরের স্পেলেও কি একই তীব্রতা, গতি নিয়ে তুমি বল করতে পারবে?’’
পাঠানের কথায় রেগে যান ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’। রাগত শোয়েব বাঁ হাতি পাঠানকে বলেন, ‘‘তুমি বড্ড বেশি কথা বলছো। তোমাকে আমি সরিয়ে দেব এখান থেকে।’’ প্রাক্তন পাক পেসারের জবাবে পাঠান বলেন, ‘‘তুমি পারবে না। কারণ আমিও সত্যিকারের পাঠান। তুমি বেশি কথা না বলে বল করায় মন দাও।’’ পাঠানের কাছ থেকে এমন জবাব পাওয়ার পরে শোয়েব বিষ ঢালতে শুরু করেন বোলিংয়ে। কিন্তু সেই যাত্রায় ধোনি ও পাঠান এতটাই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন যে শোয়েবের বলে আউট হননি। শোয়েবের আগুনে গতি সামলে ম্যাচটা ড্র হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy