রাজপথ মাতল সবুজ-মেরুন আবেগে। —নিজস্ব চিত্র।
করোনা অতিমারিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জিতল সবুজ-মেরুন আবেগ।
বাইপাস সংলগ্ন পাঁচতারা হোটেল থেকে ময়দানের ক্লাব তাঁবু, যাত্রাপথ ধরে বাতাসে উড়ল আবির, দুলল পতাকা। চলল গান। সমর্থকদের ঠাসাঠাসি ভিড় উড়িয়ে দিল কোভিড সতর্কতা।স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে উৎসবে মেতে উঠলেন সমর্থকরা। হল যানজটও। অনেক সময়েই থমকে গেল শহরের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তবে এই দিনটাই তো আলাদা, একেবারে অন্যরকম। এ হল শহরের ফুটবলপূজোর দিন। পুজোর দিনে তো সব কিছু মেনে নেওয়াই যায়।
হোটেলের গেট থেকে সুসজ্জিত গাড়িতে আই লিগ যখন বেরিয়ে এল রাজপথে, দু’পাশে তখন শুধুই সবুজ-মেরুন জার্সি। গেটের ওপাশে সমর্থকদের ভিড়। বার বার উঠল জয়ধ্বনি। আর সেই ফ্রেমই সঙ্গী হল দত্তাবাদ থেকে উল্টোডাঙা হয়ে যাত্রাপথের সর্বত্র। রাস্তার কোথাও দেখা গেল মস্ত বড় পতাকা। কোথাও হল ছোট্ট অনুষ্ঠান। সারা ক্ষণই বাজল গান। উল্টোডাঙ্গার এক ফ্যান ক্লাব যেমন নতুন এক গানই তৈরি করেছে মোহনবাগানের আই লিগ জেতাকে নিয়ে।
আরও খবর: অবশেষে হাতে আই লিগ, সবুজ-মেরুনে ছয়লাপ পাঁচতারা
আরও খবর: আট মাস পর ট্রফি, ঐতিহাসিক লিগ জয় নিয়ে আবেগে ভাসছেন মোহন সমর্থকরা
এমন ছবি সাধারণত বিদেশি ক্লাবের ক্ষেত্রে দেখা যায়। কিন্তু এই করোনার সময়েও মোহনবাগান জনতা দেখিয়ে দিলেন সবুজ-মেরুন আবেগের সামনে তুচ্ছ বাকি সব কিছু। সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধকে অগ্রাহ্য করে আবেগে মাতল ফুটবলনগরী। মোহনবাগানের অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত আনন্দবাজার ডিজিটালকে বলেই ফেললেন, “মানুষের আবেগকে আটকানো যায় না। এটা ভালবাসার জায়গা। এই যে এত মানুষ উৎসবে মেতে উঠেছেন, এঁরা সবাই সচেতন। জানেন, কী ভাবে সুস্থ থাকতে হবে।” মোহনবাগানের নাম উচ্চারণ হলে কী ভাবে যেন ইস্টবেঙ্গলের কথাও চলে আসে। আর ঠিক তাই হল। আসলে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ছাড়া ভারতীয় ফুটবল হয় না। আই লিগ ট্রফি পাওয়ার উন্মাদনা বুঝিয়েও দিয়ে গেল যে ফুটবল কেন বাঙালির, বাংলার প্রাণের খেলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy