ঈশান পোড়েল। ফাইল চিত্র।
চোট সারিয়ে মাঠে ফেরা ঈশান পোড়েলকে চেনা ছন্দে পাওয়া গেল। রবিবার তাঁর পেসের আগুনে পুড়ল ওড়িশা। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নিলেন ৪ উইকেট। দলও অনায়াসে ৯ উইকেটে জিতল। তবুও নিজের পারফরম্যান্সকে ১০-এর মধ্যে ৪ দিচ্ছেন ‘চন্দননগর এক্সপ্রেস’। তাঁর মতে তামিলনাড়ু, ঝাড়খণ্ডের মতো শক্তিশালী দলগুলোর বিরুদ্ধেও বাংলা এগিয়ে থাকবে। কারণ, ম্যাচ ইডেনে হবে।
নিজেকে কম নম্বর দেওয়ার পেছনে ঈশানের ব্যাখ্যা, ‘‘৪ উইকেট পেলেও নিজেকে ১০-এর মধ্যে ৪ দেব। কারণ, আরও ভাল বোলিং করা উচিত ছিল। সেই রঞ্জি ফাইনালের পর আবার ম্যাচ খেললাম। এর মধ্যে আবার চোট সারিয়ে ফিরে আসা। স্বভাবতই জড়তা ছিল। তবে আকাশ ও মুকেশের বোলিং দেখে কিছুক্ষণ পরেই জড়তা কেটে যায়।’’ ইডেন গার্ডেন্স থেকে সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পিচের চরিত্র একেবারে আলাদা। বাইশ গজে যতই ঘাস থাকুক, ম্যাচ গড়াতেই বল থমকে আসছিল। ঈশান বললেন, ‘‘আমরা তিনজন শুরুর দিকে পেস দিয়ে বিপক্ষকে ভয় দেখালেও ইনিংস যত গড়িয়েছে, তত বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করেছি। সেক্ষেত্রে স্লোয়ার বল, স্লোয়ার ইয়র্কার আমাদের প্রধান অস্ত্র হয়ে দাঁড়ায়।’’
গত মরসুম এই তিনজন বিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন। এবারও শুরুটা বেশ ভালই হল। এই সাফল্যের রসায়ন? ঈশানের জবাব, ‘‘আমাদের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা আছে। একে অন্যের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করি। আর সেটাই আমাদের সাফল্যের রসায়ন।’’
এদিন ‘বি’ গ্রুপের অন্য দুটো শক্তিশালী দল তামিলনাড়ু ও ঝাড়খণ্ড মুখোমুখি হয়েছিল। সেই ম্যাচে ৬৬ রানে জিতল দীনেশ কার্তিকের দল। এই দুই দলের বিরুদ্ধেই আগামী ১২ (ঝাড়খণ্ড) ও ১৮ জানুয়ারি (তামিলনাড়ু) ইডেনে খেলতে নামবে বাংলা। দুটিই কঠিন ম্যাচ। তবু নিজেদের ফেভারিট মনে করছেন ঈশান। বলছেন, ‘‘ইডেনে শিশির সবসময় বড় ফ্যাক্টর হয়। আমরা নৈশালোকে সেইজন্য অনুশীলন করেছি। শিশিরে ভিজে বলের ওজন ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম হয়ে যায়। তাই এই সময় অনুশীলন করার অভিজ্ঞতা না থাকলে আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy