বার্মিংহামের সাফল্যে খুশি বিনেশ। ছবি: টুইটার।
নিজের বিভাগে বিশ্বের এক নম্বর হিসাবে গিয়েছিলেন টোকিয়ো অলিম্পিক্সে। তবু কোয়ার্টার ফাইনালেই বিদায় নিতে হয় তাঁকে। ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিক্সেও হাঁটুর চোটের জন্য প্রত্যাশিত সাফল্য পাননি। পর পর দু’টি অলিম্পিক্সে ব্যর্থতার হতাশায় কুস্তিই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন বিনেশ ফোগাট।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন বিনেশ। সেই অনুষ্ঠানের পর এক সাক্ষাৎকারেই তাঁর এই হতাশার কথা জানিয়েছেন কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী কুস্তিগির। বিনেশ বলেছেন, ‘‘বার্মিংহামে পদক জয়ের পর আমাকে বিনেশ-২ বলা যেতে পারে। একটা বড় মানসিক বাধা কাটিয়ে এই জায়গায় পৌঁছেছি। পর পর দু’টো অলিম্পিক্সে ব্যর্থতার পর কুস্তি ছেড়ে দেওয়ার কথাই ভেবেছিলাম। অলিম্পিক্স যে কোনও ক্রীড়াবিদের কাছে সবথেকে বড় মঞ্চ। পর পর দু’বার অংশ নিয়েও একটাও পদক জিততে পারিনি। হতাশার সময় পরিবারের সকলে আমার পাশে ছিল। সবাই বার বার বুঝিয়েছিল, আমার যোগ্যতা রয়েছে।’’
বিনেশের আত্মবিশ্বাস যখন তলানিতে ঠেকেছিল, সে সময় একবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়। মোদীও তাঁকে উৎসাহ দেন। কমনওয়েলথ গেমসে সাফল্যের জন্য পরিবারের সদস্য এবং অনুরাগীদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিনেশ। বার্মিংহামে পদকজয়ী কুস্তিগির বলেছেন, ‘‘ছোট থেকেই খেলাধুলো আমার প্রিয়। সব সময় মনের আনন্দে খেলেছি। কখনও কেউই আমাকে চাপ দেয়নি। জিতলে ভালই লাগে। সব সময় জেতার জন্যই খেলি। খেলোয়াড় জীবনে সব সময় পরিবারকে পাশে পেয়েছি।’’
বিনেশ বলেছেন, জিতে সকলেই পাশে থাকে। কিন্তু ব্যর্থতার সময় পাশে থাকাটাই আসল। টোকিয়োর ব্যর্থতার পরেও পরিবার, বন্ধু, অনুরাগীরা পাশে থাকায় তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ তিনি। বিনেশ মনে করেন, কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প কিছু নেই। তিনি বলেছেন, ‘‘সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, অনুশীলনে আপনি যেটা করছেন প্রতিযোগিতাতেও সেটা করা। টোকিয়োয় সেটাই করতে পারিনি। এখনও সেই আক্ষেপ রয়েছে আমার। গত এক বছর প্রচুর পরিশ্রম করেছি। নিজেকে প্রমাণ করতে চেয়েছি। কঠিন সময়ে অনেকে উৎসাহ দিয়েছেন। যদিও মনের মধ্যে একটা হতাশা ছিলই।’’
এই প্রসঙ্গেই বলেছেন, ‘‘এমন অনেক মানুষ এই সময় আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন, যাঁদের আমি চিনিই না। হয়তো জীবনে প্রথম বার বা এক বারই দেখেছি। এই উৎসাহগুলোই আমাকে ফিরে আসতে সাহায্য করেছে। ওঁদের জন্যই নিজেকে কুস্তিগির হিসাবে আরও উন্নত করতে পেরেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy