Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Naomi Osaka

Naomi Osaka: অলিম্পিক্সে ঘরের মেয়ে নেয়োমি ওসাকাই মুখ হয়ে উঠেছেন জাপানের

নেয়োমি ওসাকার বেড়ে ওঠা এবং টেনিস শেখা আমেরিকার ফ্লোরিডায়। কিন্তু জাপানের সঙ্গে তাঁর আত্মিক যোগ বরাবর।

নেয়োমি ওসাকা।

নেয়োমি ওসাকা। ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২১ ২০:৩৮
Share: Save:

পদবীতে ওসাকা থাকলেও তিনি মোটেই জাপানের ওসাকায় জন্মগ্রহণ করেননি। কিন্তু তাঁকে ঘিরেই অলিম্পিক্সে সাফল্যের স্বপ্ন দেখছে জাপান।

নেয়োমি ওসাকার বেড়ে ওঠা এবং টেনিস শেখা আমেরিকার ফ্লোরিডায়। কিন্তু জাপানের সঙ্গে তাঁর আত্মিক যোগ বরাবর। বছর দুয়েক আগে আমেরিকা তাঁকে নাগরিকত্ব দিতে চাইলেও তিনি নেননি। অলিম্পিক্সে তিনি খেলবেন জাপানের হয়েই।

টোকিয়োর প্রতিটি রেল স্টেশন, বাসস্টপে তাঁর ছবি। বিজ্ঞাপনে তাঁর মুখ। দেখে মনে হতে পারে তিনি বোধ হয় একাই টোকিয়োতে কোনও ম্যাচ খেলতে নামছেন।

টোকিয়োর সরকার এবং আয়োজকরাও পুরোপুরি ওসাকাকে ব্যবহার করতে চাইছেন। বিজ্ঞাপনে তাই ওসাকার ছবির পাশে লেখা ‘নতুন প্রজন্ম’।

ওসাকার মাস্কে জর্জ ফ্লয়েডের নাম।

ওসাকার মাস্কে জর্জ ফ্লয়েডের নাম।

ওসাকা নিজেও নিজেকে প্রতিবাদের মুখ হিসেবে তুলে ধরেছেন। গত বার ইউএস ওপেনের সময় প্রতিদিন একের পর এক কৃষ্ণাঙ্গের নাম লেখা মাস্ক পরে কোর্টে নামতেন তিনি। সেই সমস্ত কৃষ্ণাঙ্গ, যাঁদের পুলিশের অত্যাচারে এবং বর্ণবিদ্বেষের কারণে মৃত্যু হয়েছে। জর্জ ফ্লয়েড, ব্রেয়োনা টেলর, ট্রেভন মার্টিন প্রত্যেকে উঠে এসেছিলেন ওসাকার মাস্কে।

ওসাকার মা জাপানের, বাবা হাইতির। তাঁর বয়স তিন বছর থাকাকালীন পাকাপাকি ভাবে আমেরিকায় পাড়ি দেয় তাঁর পরিবার। জাপানে তাঁর দিদা-দাদু থেকে যান। সেই ঘটনা এখনও বোধ হয় মেনে নিতে পারেনি জাপানবাসী। তাই ওসাকা যতই নিজেকে জাপানের ভাবুন, তাঁকে এখনও জাপানি ভাবতে রাজি নয় সে দেশের কিছু মানুষ।

ওসাকার খেলার কিছু ঝলক।

জাপানের তিন নম্বর মহিলা টেনিস খেলোয়াড় নায়ো হিবিনো এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “সত্যি বলতে, আমরা ওর থেকে একটু দূরত্ব রাখি। কারণ শারীরিক ভাবে ও আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে। অন্য একটা জায়গায় মানুষ হয়েছে। সে ভাবে জাপানিতে কথাও বলতে পারে না। ও কেই-এর (নিশিকোরি) মতো নয়।”

জাপানের স্থানীয় সংবাদপত্রের এক সাংবাদিক বলেছেন, “এখানকার বয়স্ক মানুষরা একটা ধারণা তৈরি করে দিয়েছেন যে মহিলা খেলোয়াড়দের ঠিক কীরকম হওয়া উচিত। সেই ধাঁচে ওসাকা পড়ে না। সেটা জাপানে এসে ওর আচরণ এবং কথাবার্তায় বোঝা যায়।”

তবে ওসাকাই প্রথম জাপানে এসে মানসিক সমস্যার গুরুত্ব তুলে ধরেছিলেন। এর আগে জাপানের লোকেরা মানসিক সমস্যা নিয়ে চুপ থাকতেন। ওসাকাই তাঁদের উৎসাহ দেন নিজের মনের কথা খুলে বলতে। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ওসাকার ওই মন্তব্যের পর অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ তাঁদের মানসিক সমস্যা প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন। বেড়েছে সুস্থতার সংখ্যাও।

কেউ তাঁকে পছন্দ করেন, কেউ করেন না। তবে ওসাকার অস্তিত্বকে অস্বীকার করতে পারছে না জাপান। তাই অলিম্পিক্সের আগে তাঁরা ঘরের মেয়েকেই প্রচারের মুখ করে তুলেছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Tennis Japan olympic Naomi Osaka
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE