এই পদকগুলোই বিসর্জন দিতে পারেন সাক্ষীরা। ছবি: পিটিআই
মঙ্গলবার সন্ধেয় হরিদ্বারে গঙ্গার জলে নিজেদের যাবতীয় পদক বিসর্জন দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন কুস্তিগিররা। শেষ মুহূর্তে কৃষক নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিকল্পনা বাতিল করলেও কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঁচ দিনের সময় দিয়েছেন তাঁরা। দাবি না মানা হলে সত্যি সত্যিই পদক গঙ্গায় বিসর্জন দেবেন।
বিক্ষোভকারী কুস্তিগিরদের মধ্যে মূলত বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক এবং বিনেশ ফোগটেরই আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্য সবচেয়ে বেশি। তিন কুস্তিগিরই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ধারাবাহিক ভাবে পদক জিতেছেন। সব পদকই বিসর্জন দিতে চান তাঁরা। দেখা গিয়েছে, জাতীয় স্তরের পদক বাদ দিলে যদি তিন কুস্তিগির নিজেদের বাকি সব পদক বিসর্জন দেন, তা হলে ৪৯টি পদক হারাবে ভারত।
তিন কুস্তিগিরের মধ্যে বজরংয়ের সাফল্য সবচেয়ে বেশি। টোকিয়ো অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতেছেন তিনি। এ ছাড়া বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে মোট চারটি পদক জিতেছেন। এর মধ্যে একটি রুপো এবং তিনটি ব্রোঞ্জ রয়েছে। এশিয়ান গেমসে একটি করে সোনা এবং রুপো জিতেছেন। কমনওয়েলথ গেমসে দুটি সোনা এবং একটি রুপো পেয়েছেন। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দুটি সোনা, চারটি রুপো এবং দুটি ব্রোঞ্জ রয়েছে। পদক রয়েছে অনূর্ধ্ব-২৩ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ, কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপেও।
সাক্ষী ২০১৬ অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। কমনওয়েলথ গেমস, চ্যাম্পিয়নশিপ এবং এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছেন। এ ছাড়াও রুপো এবং ব্রোঞ্জ মিলিয়ে আরও গোটা দশেক পদক রয়েছে তাঁর।
বিনেশ অলিম্পিক্সে পদক না পেলেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে দু’বার ব্রোঞ্জ জিতেছেন। এশিয়ান গেমসে সোনা জিতেছেন। কমনওয়েলথ গেমসে টানা তিনটি সোনা জিতেছেন। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে আটটি পদক রয়েছে।
নিজেদের সব পদক বিসর্জন দিলে শাস্তি পেতে পারেন তিন কুস্তিগির। ভারতের কুস্তি সংস্থা তো বটেই, আন্তর্জাতিক সংস্থারও সেই অধিকার রয়েছে। কিন্তু এ সব ক্ষেত্রে মানবিক দিক থাকার কারণে শাস্তি দেওয়া হয় না। ঠিক যে রকম বর্ণবিদ্বেষী আচরণের প্রতিবাদে মহম্মদ আলি পদক ছুড়ে ওহায়ো নদীতে ফেলে দিলেও তাঁর কোনও শাস্তি হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy