হোসেন রসৌলি। ছবি পিটিআই
গত সপ্তাহটা বোধ হয় জীবনের সব থেকে কঠিন সময় ছিল হোসেন রসৌলির কাছে। তালিবান কাবুল দখল করে নেওয়ার পর কোনও মতে বন্দুকধারীদের নজর এড়িয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছন তিনি। সেখান থেকে বিশেষ বিমানে দুবাই হয়ে প্যারিস। ফের বিশেষ বিমানে টোকিয়ো। অবশেষে প্যারালিম্পিক্সে নামতে সক্ষম হলেন আফগানিস্তানের এই প্যারা-অ্যাথলিট।
যে ভাবে রসৌলি এবং আফগানিস্তানের আর এক ক্রীড়াবিদ জাকিয়া খুদাদাদিকে কাবুল থেকে বের করা হয়েছে, তা হার মানাবে রোমাঞ্চকর ওয়েবসিরিজকেও। আন্তর্জাতিক প্যারালিম্পিক্স কমিটি, গ্রেট ব্রিটেনের প্যারালিম্পিক্স কমিটি এবং অস্ট্রেলিয়ার সেনাবাহিনী এক হয়ে কাজ করেছে। প্রথমে জিপিএস প্রযুক্তির সাহায্যে তাঁদের গোপনে কাবুল বিমানবন্দরে আনা হয়। তালিবানের হাত থেকে বাঁচতে নির্দেশ দেওয়া হয় পাসপোর্ট-সহ যাবতীয় নথিপত্র এবং টাকা অন্তর্বাসে লুকিয়ে আনতে। রাখতে বলা হয়েছিল উজ্জ্বল রংয়ের মাফলার, যাতে সেনাবাহিনী সহজেই তাঁদের চিনতে পারে।
অসাধ্য সাধনের পর গত ২৮ অগস্ট, শনিবার তাঁরা টোকিয়োয় পৌঁছন। এক কিছুর পরেও এক সময় মনে হয়েছিল তিনি প্যারালিম্পিক্সে অংশ নিতে পারবেন না। যে ইভেন্টে নামার কথা ছিল তাঁর, সেই টি৪৭ শ্রেণির ১০০ মিটার দৌড় হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু আয়োজকরা তাঁকে সম্মান জানাতেই রাতারাতি টি৪৭ শ্রেণির লং জাম্পে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দেন। সেই ইভেন্টে প্রচুর নামীদামী প্রতিযোগী। সোমবার রাতে মাত্র ৯০ মিনিট অনুশীলন করেছিলেন রসৌলি। সেখানে ৪.৪৬ মিটার লাফিয়েছেন তিনি। সবার শেষে শেষ করে ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করতে না পারলেও রসৌলির এই প্রচেষ্টা মন কেড়েছে সকলের। সতীর্থরাও প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন তাঁকে।
এই সপ্তাহের শেষেই খুদাদাদি নামবেন তায়কোন্ডোতে। তাঁরও দুরন্ত পারফরম্যান্সের অপেক্ষায় রয়েছে বিশ্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy