শামির হাত ধরেই হ্যামিল্টনে ম্যাচে ফেরে ভারত। দিনটা আজ ছিল না বুমরার।
সুপার ওভারে যশপ্রীত বুমরার বদলে মহম্মদ শামির হাতে কি বল তুলে দেওয়া যেত না? হ্যামিল্টনের রুদ্ধশ্বাস তৃতীয় টি টোয়েন্টি ম্যাচের পরে অনেক ক্রিকেটভক্তেরই এমন প্রশ্ন।
বুমরা সুপার ওভারে দেন ১৭ রান। কিউয়ি ব্যাটসম্যানদের কাছে যথেচ্ছ মার খান তিনি। বাংলার পেসারের কোচ বদরুদ্দিন সিদ্দিকি অবশ্য ভারত অধিনায়কের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থনই করছেন। শামির প্রশংসা করে তাঁর ছোটবেলার কোচ বলছেন, ‘‘শামির হাত ধরেই ভারত ম্যাচে ফিরল। শেষ ওভারটা দুর্দান্ত করেছে শামি। শেষ ওভারে জেতার জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ৯ রান। টি টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রান আটকে রাখা খুবই কঠিন। তার উপরে প্রথম বলটাই ছক্কা মেরে দিয়েছিল টেলর। ডট বল করার পাশাপাশি দুটো উইকেটও নিল শামি। ওই স্পেল না করলে ম্যাচ সুপার ওভারে গড়াতই না। ভারতও প্রাণ পেত না।’’
সুপার ওভারে শামির হাতে বল তুলে দিতেই পারতেন কোহালি। কিন্তু ভারত অধিনায়ক বুমরাকে ডাকেন বল করতে। ‘বুম বুম’ বুমরা আশাহত করেন ভক্তদের। বদরুদ্দিন বলছেন, ‘‘কোহালির সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার কোনও প্রশ্ন নেই। বুমরার উপরে ভরসা বেশি ক্যাপ্টেনের। এটা হতেই পারে। সেই কারণেই কোহালি ওকে বল দিয়েছে।’’
আরও পড়ুন: সুপারহিট হিট ম্যান
মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ছেলেবেলার কোচ কেশব বন্দ্যোপাধ্যায়ও কোহালির পাশে দাঁড়িয়ে বলছেন, ‘‘২০ তম ওভারে শামি রান আটকে রেখে, উইকেট নিয়ে দারুণ ছন্দে ছিল। ওকে বল দেওয়াই যেত। কিন্তু একটা কথা মনে রাখতে হবে। বুমরা লাগাতার ইয়র্কার দিতে পারে। আর ওই ইয়র্কার থেকে রান করা কঠিন হয়ে পড়ে। শামির হাতেও ভাল ইয়র্কার রয়েছে। কিন্তু বুমরার মতো নিখুঁত নয় শামি। ইয়র্কার দেওয়ার সুবিধা যেমন রয়েছে, তেমনই সমস্যাও রয়েছে। ইয়র্কার ঠিকঠাক জায়গায় না পড়লে ফুলটস হয়ে যায়। আজকে যেমন হল। বুমরার ইয়র্কারগুলো ফুলটস হয়ে গেল। ওরাও রান করল ওই ডেলিভারিগুলো থেকে। দিনটা আজ বুমরার ছিল না।’’
হ্যামিল্টনে রোহিত রাজ করলেন বলে রক্ষে। না হলে বুমরাকে হয়তো খলনায়ক বানিয়ে দেওয়া হত।
আরও পড়ুন: হিটম্যানের জোড়া ছয়, সুপার ওভারে নাটকীয় জয় ভারতের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy