টেস্ট দলে সুযোগ পাচ্ছেন না হার্দিক পাণ্ড্য। ফাইল চিত্র
২০১৮ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁকে শেষ বার টেস্ট খেলতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এরপর থেকে টেস্ট দলে সুযোগ পাননি হার্দিক পাণ্ড্য। এমনকি আসন্ন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও জো রুটের দলের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দলেও জায়গা পাননি এই অলরাউন্ডার। কিন্তু কেন হার্দিক লাল বলের ক্রিকেটে বারবার ব্রাত্য হচ্ছেন? পিঠে অস্ত্রোপচারের পর থেকে হার্দিক বল করছেন না। বরং ব্যাটিং নিয়ে বেশি ভাবনা চিন্তা করছেন। বিসিসিআই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে এই মুহূর্তে বিরাট কোহলীর টেস্ট দলে ব্যাটসম্যান দরকার নেই। তাই হার্দিককে ইংল্যান্ডগামী দলে রাখতে রাজি হয়নি চেতন শর্মার নেতৃত্বাধীন জাতীয় নির্বাচক কমিটি। বরং তাঁকে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।
সেই সূত্র আরও জানিয়েছে যে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে তিনটি ম্যাচ খেললেও মাত্র ৯ ওভার বোলিং করেছিলেন। একই দলের বিরুদ্ধে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হার্দিক ১৭ ওভার হাত ঘোরান। আইপিএল-এ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে সাত ম্যাচ খেললেও একটিও ওভার বোলিং করেননি হার্দিক। ফলে একাংশের ধারণা পিঠে অস্ত্রোপচারের পর বোলিংয়ে কিছু রদবদল করলেও সেটা কাজে লাগেনি। বরং বল করতে শারীরিক সমস্যা বাড়ছে। আবার নির্বাচকদের বাকি অংশের দাবি হার্দিক গত কয়েক বছরে ব্যাটিংয়ে বেশি মন দিচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বোর্ড কর্তা বলেন, “হার্দিক এখনও পর্যন্ত একটানা বোলিং করার অবস্থায় নেই। টেস্টে, বিশেষ করে বিদেশের মাটিতে ওর বোলিং কাজে লাগানো যেত। কিন্তু সেটা তো হচ্ছে না। নির্বাচক ও দলের ভাবনা চিন্তা একেবারে ভেস্তে গেল।” যদিও তিনি ফের যোগ করেছেন, “কয়েক মাস পরেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ রয়েছে। হার্দিক সেই প্রতিযোগিতায় দলের জন্য বড় ফ্যাক্টর হতে পারে। কারণ সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ওর সাফল্যের হার অনেক বেশি। ওর ব্যাটিং নিয়ে কারও মনে প্রশ্ন নেই। আগামী কয়েক মাস হার্দিক আরও বিশ্রাম পাবে। আশা করি এই সময় হার্দিক নিজের বোলিং নিয়ে কাজ করবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy