Advertisement
২৭ নভেম্বর ২০২৪
পাশে চান সচিন, সৌরভদের

নতুনদের শেখানোর সুযোগটাই আসল: দ্রাবিড়

ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন প্রজন্মকে গড়েপিঠে তোলার দায়িত্বটা তাঁকে নিজের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আর বলছেন, সেই সব পুরনো অভিজ্ঞতা থেকে অর্জিত নানা উপলব্ধি তাঁকে আজকের তরুণ ক্রিকেটারদের সমস্যাগুলো আরও গভীরে ঢুকে বুঝতে সাহায্য করবে। ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ আর এ দলকে সাহায্য করার সুযোগ পেয়ে তিনি সত্যিই খুশি, স্পষ্ট বলে দিচ্ছেন রাহুল দ্রাবিড়।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৫ ০৩:৩৪
Share: Save:

ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন প্রজন্মকে গড়েপিঠে তোলার দায়িত্বটা তাঁকে নিজের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আর বলছেন, সেই সব পুরনো অভিজ্ঞতা থেকে অর্জিত নানা উপলব্ধি তাঁকে আজকের তরুণ ক্রিকেটারদের সমস্যাগুলো আরও গভীরে ঢুকে বুঝতে সাহায্য করবে।

ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ আর এ দলকে সাহায্য করার সুযোগ পেয়ে তিনি সত্যিই খুশি, স্পষ্ট বলে দিচ্ছেন রাহুল দ্রাবিড়।

‘‘একটা অন্য রকমের উত্তেজনা হচ্ছে। আমি বরাবর ছোটদের নিয়ে কাজ করতে চেয়েছিলাম। কারণ এই গোড়ার বছরগুলো এক জন ক্রিকেটারের উন্নতির ক্ষেত্রে জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা অধ্যায়,’’ বলেছেন দ্রাবিড়। সঙ্গে টেস্ট ও এক দিনের ক্রিকেট মিলিয়ে চব্বিশ হাজারেরও বেশি রানের মালিক যোগ করেছেন, ‘‘আমি ‘এ’ ট্যুরে খেলেছি। অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে খেলার অভিজ্ঞতাও আছে। আশা করি তার ভিত্তিতেই অন্তত কয়েক জন তরুণকে ওদের কেরিয়ার গড়ার অভিযানে সাহায্য করতে পারব।’’

কাজটা কী ভাবে করতে চান, তার একটা প্রাথমিক কাঠামোও তৈরি করে ফেলেছেন। আর জানাচ্ছেন, নিজের চিন্তাভাবনার পাশাপাশি প্রয়োজনে তিন পুরনো সতীর্থ ও বোর্ডের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য, সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও ভিভিএস লক্ষ্মণের পরামর্শও নেবেন।

নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর এ দিন দ্রাবিড় বলেছেন, ‘‘কী ভাবে এগোতে চাই সেটা বোর্ডকে জানিয়েছি। আমার ধারণা, ‘এ’ দল আর অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটারদের উন্নতির কথা মাথায় রেখে যে কাঠামো আমি তৈরি করেছি, সেটা ওদের সাহায্য করবে। এতে তরুণ ক্রিকেটারদের আমরা সেই পরিবেশ দিতে পারব যেখানে ওরা ভাল পারফরম্যান্স করে দেখানোর সেরা সুযোগগুলো পাবে। কেরিয়ার গড়ে তোলায় যা সাহায্য করবে এবং আগামী দিনে ওদের আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।’’

তবে দ্রাবিড় জানিয়েছেন, নিজের কাজে বোর্ডের উপদেষ্টা কমিটির পরামর্শ নিতে আগ্রহী। বলেছেন, ‘‘সচিন, সৌরভ, লক্ষ্মণ আছে। তরুণদের উন্নয়নে বিভিন্ন পর্যায়ে ওদের ক্রিকেট জ্ঞান আর অভিজ্ঞতার সাহায্য অবশ্যই নেব।’’ প্রয়োজনে জাতীয় দলের ডিরেক্টর রবি শাস্ত্রীর সাহায্যও চান তিনি।

তরুণ প্রতিভা তুলে আনার কাজে দ্রাবিড়ের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেট। বলেছেন, ‘‘আগামী দিনে ভাল ক্রিকেটার তুলে আনতে হলে রঞ্জি টিমগুলোর কোচদের সঙ্গে নিয়েই কাজ করতে হবে।’’

দ্রাবিড়ের হিসাব অনুযায়ী, ‘এ’ টিমের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করার জন্য তিনি ছ’সপ্তাহ সময় পাবেন। তার পর প্রায় একই সময়ের জন্য পাবেন অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটারদের। তবে কাজটা জাতীয় কোচের দায়িত্ব পালনের মতো গুরুত্বপূর্ণ নয় বলেই তাঁর পক্ষে ‘হ্যাঁ’ বলা সহজ হয়েছিল, জানিয়ে দিচ্ছেন। ‘‘উঠতি প্রতিভাদের নিয়ে হাতেকলমে কাজ করার সুযোগ আছে বলেই এই কাজটা নিয়ে বাড়তি উৎসাহ পাচ্ছি। আমার ভূমিকাটা জাতীয় কোচের মতো সার্বিক দায়িত্ব পালনের নয়। আর সে জন্যই আমার মানসিকতার সঙ্গে একদম মানিয়ে গিয়েছে,’’ বলে দিচ্ছেন দ্রাবিড়।

এ দিকে, ক্রিকেট বিশ্ব মনে করছে তরুণদের আদর্শ ক্রিকেটার করে তোলার দায়িত্বটায় দ্রাবিড়ের চেয়ে বেশি উপযুক্ত লোককে দেওয়া সম্ভব ছিল না। কেভিন পিটারসেনই যেমন। খবরটায় উচ্ছ্বসিত হয়ে টুইট করেছেন, ‘‘ভারতীয় বোর্ডের এটা অসাধারণ সিদ্ধান্ত!’’ তার পর আরও বিস্তারে গিয়ে লিখেছেন, ‘‘রাহুল দ্রাবিড়— ক্রিকেটীয় টেম্পারামেন্টের রাজা। এমন এক জন যে আধুনিক ক্রিকেটটা বোঝে, বিশ্বের সব প্রান্তে রান রয়েছে, টেকনিকে এতটাই নিখুঁত। সবচেয়ে বড় কথা, অসম্ভব লড়াকু! ওয়েল ডান বিসিসিআই!’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy