সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায় এবং গ্রেগ চ্যাপেল। ফাইল ছবি
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ই তাঁকে কোচ করে এনেছিলেন এবং সেই সৌরভ দলে ফেরার জন্যই বাকি বর্ষীয়ান ক্রিকেটারদের আস্থা হারাতে হয়েছিল তাঁকে। এক সাক্ষাৎকারে এরকমই দাবি করলেন গ্রেগ চ্যাপেল।
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছেন, “সৌরভই আমাকে প্রথম কোচিং করানোর কথা বলে। অন্য প্রস্তাব থাকলেও আমি ভারতকে বেছে নিই। কারণ ক্রিকেট পাগল এই দেশকে কোচিং করানোর সুযোগ ছাড়তে পারিনি। প্রথম দু’বছর খুবই কঠিন ছিল। প্রত্যাশা মারাত্মক ছিল। সৌরভকে অধিনায়ক রাখা নিয়েও সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আসলে ও বেশি পরিশ্রম করতে চাইত না। নিজের ক্রিকেটের উন্নতি করতে চাইত না। ও শুধু চাইত অধিনায়ক থাকতে, যাতে সবকিছু ওর নিয়ন্ত্রণে থাকে।”
চ্যাপেল জানিয়েছেন, ভারতের কিছু সংস্কৃতি এবং ভাবনাচিন্তা তিনি বদলাতে চেয়েছিলেন। এক বছর দল চালানোর জন্য কৃতিত্ব দেন রাহুল দ্রাবিড়কেও। চ্যাপেলের কথায়, “ভারতকে বিশ্বের সেরা দল বানানোয় দ্রাবিড়ের ভূমিকা ছিল অনবদ্য। কিন্তু সবার সেটা ছিল না। দলে কী ভাবে টিকে থাকবে, শুধু সেটাই ভাবত ওরা। নতুনদের নেওয়ার ব্যাপারে দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা মাঝেমধ্যে প্রতিবাদ জানাত। কারণ ওরা জানত ওদের দিন শেষ হয়ে আসছে। সৌরভকে বাদ দেওয়ার সময় অনেকে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল। ওরা বুঝতে পেরেছিল যে সৌরভকে বাদ দেওয়া হয়েছে মানে ওদেরও একদিন বাদ দেওয়া হবে।”
চ্যাপেলের কথায়, এরপরের ১২ মাস দারুণ কেটেছিল। কিন্তু সৌরভ ফিরতেই প্রতিবাদ দেখা যায় দলের অন্দরে। অনেক বর্ষীয়ান ক্রিকেটারই তখন প্রশ্ন তোলেন, সৌরভের ফেরার কথা ছিল না। তা সত্ত্বেও তিনি দলে ফিরেছেন কী করে? এরপরেই একে একে ক্রিকেটারদের আস্থা হারাতে থাকেন চ্যাপেল। দলের মধ্যে তাঁকে নিয়ে বিভাজনও তৈরি হয়। চ্যাপেল বলেছেন, “আমি আর চাপ নিতে পারছিলাম না। তাই বোর্ড নতুন চুক্তির প্রস্তাব দিলেও আমি সই করিনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy