ম্যাগনাস কার্লসেন। —ফাইল চিত্র।
আবার বিতর্কের কেন্দ্রে ম্যাগনাস কার্লসেন। জিন্স পরে বিশ্ব ব্লিৎজ় প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন তিনি। ফলে জরিমানা করা হয়েছিল তাঁকে। বিতর্কের মাঝে প্রতিযোগিতা থেকে নাম তুলে নিয়েছিলেন তিনি। তার মাঝেই সুর নরম করেছে বিশ্ব দাবার নিয়ামক সংস্থা ‘ফিডে’। ফলে আবার প্রতিযোগিতায় ফিরেছেন তিনি। এই ঘটনার দায় ফিডের সহ-সভাপতি বিশ্বনাথন আনন্দের উপর চাপিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ, এক প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন নিশানা করেছেন আর এক প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে।
গত বার বিশ্ব র্যাপিড এবং ব্লিৎজ় চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন কার্লসেন। এই বছর নরওয়ের দাবাড়ু র্যাপিডের নবম রাউন্ডে খেলতে গিয়েছিলেন জিন্স পরে। কিন্তু ফিডের নিয়ম অনুযায়ী জিন্স পরে কোনও প্রতিযোগী খেলতে পারবেন না। কার্লসেনের ২০০ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৭,১০০ টাকা) জরিমানা হয়। প্রতিযোগিতার আরবিটার (দাবায় যিনি আম্পায়ারের ভূমিকা পালন করেন।) অ্যালেক্স হোলোকজ্যাক জানান, কার্লসেন বার বার এই ভুল করেছেন। শাস্তি পাওয়ার পর কার্লসেন ব্লিৎজ় বিভাগে অংশ নেবেন না বলে জানিয়ে দেন।
পরে অবশ্য সিদ্ধান্ত বদলেছেন কার্লসেন। ফিডের সভাপতি আরকাডি ভরকোভিচ জানিয়েছেন, নিয়মে কিছু বদল করেছেন তাঁরা। কেউ যদি সাধারণ জিন্স পরে খেলতে নামেন তা হলে কোনও সমস্যা নেই। তিনি বলেন, “আমরা চাই না এমন কোনও নিয়মের জন্য দাবার অন্যতম সেরা খেলোয়াড়কে নাম তুলে নিতে হয়। তাই নিয়ম সামান্য বদলেছি আমরা। কার্লসেনকে জরিমানাও দিতে হবে না।” এই ঘোষণার পরেই কার্লসেন জানিয়েছেন, ব্লিৎজ় খেলবেন তিনি।
যদিও তার মাঝেই বিতর্ক আরও বাড়িয়েছেন কার্লসেন। তিনি নিশানা করেছেন আনন্দকে। কার্লসেন বলেন, “আমি জানতাম না যে কোনও নিয়ম ভেঙেছি। আনন্দও জানত না, অতীতে এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেছে কি না। ওর সঙ্গে আমার অনেক আলোচনা হয়েছে। কিন্তু আরবিটারের সিদ্ধান্ত নিয়ে ও কোনও কথা বলতে পারেনি। তার মানে, আনন্দ এই কাজের যোগ্য নয়। সেটাই আমার মনে হয়েছে।”
পোশাকের জন্য কাউকে কোনও প্রতিযোগিতায় নামতে দেওযা হচ্ছে না, এমন নিয়ম কে করেছে সেই প্রশ্নও তুলেছেন কার্সলেন। তিনি বলেন, “ওরা বলছিল, জিন্স পরে খেলা যাবে না। যদি জিন্স পরে না খেলা যায়, তা হলে নিশ্চয় তার কোনও বিকল্প থাকবে। আজ পর্যন্ত কোনও দিন কোথাও পোশাক নিয়ে আমাকে সমস্যায় পড়তে হয়নি। এই নিয়ম কে করেছে?”
কার্লসেনের মনে হয়েছে, সভাপতির সঙ্গে কথা না বলেই একতরফা জরিমানার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আনন্দ। তিনি বলেন, “আমি তো বিমানের টিকিটও কেটে ফেলেছিলাম। তার পরে বাবা বলল, ভরকোভিচের সঙ্গে কথা বলতে। ওর সঙ্গে কথা বলার পরেই সমস্যা মিটে গেল। আমার মনে হয়েছে, ভরকোভিচ এই বিষয়ে কিছু জানত না। নইলে এতটা সমস্যা হত না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy