মোহনবাগান দিবসে ক্লাবেই ব্রাত্য গোষ্ঠ পালের পরিবার।
মোহনবাগানের আইকন গোষ্ঠ পাল। অথচ মোহনবাগান দিবসেই আমন্ত্রিত নন ‘চাইনিজ ওয়াল’-এর পরিবার। গোষ্ঠ পালের পুত্র নীরাংশু পাল রবিবার আনন্দবাজারকে বলছিলেন, ‘‘আমরা তো অনেকদিন ধরেই মোহনবাগান দিবসে আমন্ত্রিত নই। এবারও আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’’ ২০০৪ সালে গোষ্ঠ পালকে মরণোত্তর বাগান-রত্ন সম্মান দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কেন মোহনবাগান দিবসে আমন্ত্রণ জানানো হয় না নীরাংশুবাবুকে? তিনি বলেন, ‘‘বাবার দেওয়া জিনিসগুলো আমি ফেরত চাই। তাই আমাকে আর ডাকা হয় না।’’
সোমবার ময়দানের গোষ্ঠ পাল মূর্তির পাদদেশে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অনশনে বসবেন ‘চাইনিজ ওয়াল’-এর পুত্র নীরাংশু পাল ও তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরা। রবিবার ইস্টবেঙ্গলের মশাল মিছিলে সামিল হয়েছিলেন নীরাংশুবাবু। কাল, সোমবার মোহনবাগান দিবস। সেই অনুষ্ঠানে তিনি ও তাঁর পরিবার ব্রাত্য।
রবিবার আনন্দবাজারকে নীরাংশুবাবু বলেন, ‘‘আমরা কাল সকাল থেকে বাবার মূর্তির পাদদেশে অনশনে বসব। ক্লাবকে আরও একবার মনে করিয়ে দেওয়ার জন্যই আমরা অনশনে বসবো। বাবার পাওয়া পদ্মশ্রী-সহ অন্যান্য পদকগুলো মোহনবাগানকে ২৭ বছর আগে দিয়েছিলাম। সেগুলোর খোঁজ এখনও পেলাম না। ওঁদের (মোহনবাগান কর্তাদের) ফোন করলে বলে, পেলেই জানিয়ে দেওয়া হবে আপনাদের। আমরা আরও কিছুটা সময় দিচ্ছি ওদের। তবে কোনও লিখিত চিঠি ওঁদের পাঠাচ্ছি না।’’
গোষ্ঠ পালের পাওয়া পদ্মশ্রী-সহ অন্যান্য পদক সেই ১৯৯২ সালে বাগানকে দেওয়া হয়েছিল। তার পর থেকে সেগুলোর আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গোষ্ঠ পালের পদক নিয়ে সংবাদমাধ্যমে লেখালেখি হওয়ায় কয়েকটা পদকের ধ্বংসাবশেষ তুলে দেওয়া হয়েছিল নীরাংশুবাবুর হাতে। বাকি পদকগুলো খোঁজার জন্য কমিটিও গঠন করেছিল মোহনবাগান। সেই কমিটিরও ১০০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত সব পদক পাননি নীরাংশুবাবু। মনোকষ্টে ভুগছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy