বিতর্ক: কাঁধের ক্ষতস্থান দেখাচ্ছেন কিয়েল্লিনি। (ডান দিকে) সুয়ারেস।
ব্রাজিলে ২০১৪ বিশ্বকাপে ইটালি বনাম উরুগুয়ে ম্যাচ স্মরণীয় হয়ে রয়েছে লুইস সুয়ারেসের কামড় কাণ্ডের জন্য। ‘ডি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে ইটালি ডিফেন্ডার জর্জো কিয়েল্লিনির কাঁধে কামড়ে দিয়েও রেফারির চোখ এড়িয়ে গিয়েছিলেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার। কিন্তু পরে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় চার মাস ও ন’টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে নির্বাসিত হয়েছিলেন সুয়ারেস।
কামড় কাণ্ডের জন্য প্রবল সমালোচিত হলেও সুয়ারেসের বিরুদ্ধে তাঁর কোনও ক্ষোভ নেই বলে দাবি করেছেন কিয়েল্লিনি। আত্মজীবনীতে ইটালীয় ডিফেন্ডার লিখেছেন, ‘‘আগ্রাসন বা আক্রোশ ফুটবলেরই অঙ্গ। আমি একে কখনওই বেআইনি বলে মনে করি না। প্রতিপক্ষকে হারানোর জন্য সাহসী হতেই হবে।’’ এখানেই শেষ নয়। কিয়েল্লিনি যোগ করেছেন, ‘‘আমি সুয়ারেসের ধূর্ত মানসিকতাকে শ্রদ্ধা করি। এটা না থাকলে ও সাধারণ মানের ফরোয়ার্ড হয়েই থাকত।’’
২০১৪ বিশ্বকাপে ঠিক কী ঘটেছিল তার বিবরণও আত্মজীবনীতে লিখেছেন কিয়েল্লিনি, ‘‘ওই ম্যাচে আমি অধিকাংশ সময় এদিনসন কাভানির পাহারায় ছিলাম। আমার দায়িত্ব ছিল, ওকে কোনও ভাবেই গোল করতে না দেওয়া। আমার একার পক্ষে আর এক জনকে আটকানো সম্ভব ছিল না।’’ ইটালীয় ডিফেন্ডার যোগ করেছেন, ‘‘হঠাৎ অনুভব করলাম, আমার কাঁধে কেউ কামড়ে দিয়েছে। আমার মনে হয় এটাই ওর রণনীতি ছিল। হাতাহাতি না করে কামড়ে দেওয়া। সুয়ারেসের সঙ্গে আমার অনেক মিল রয়েছে। ওর মতো স্ট্রাইকারকে আটকানোর চ্যালেঞ্জ নিতে আমি খুবই ভালবাসি।’’
কামড় কাণ্ডের আগে পর্যন্ত ম্যাচের ফল ছিল ০-০। বিতর্কিত ঘটনার পরেই ছবিটা বদলে যায়। ৮১ মিনিটে দিয়েগো গদিনের গোলে জিতে শেষ ষোলোয় পৌঁছে যায় উরুগুয়ে। বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় ইটালির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy