নীতেশ কুমার। ছবি: সমাজমাধ্যম।
প্রথম বার প্যারালিম্পিক্সে নেমেছেন নীতেশ কুমার। প্রথম বারেই চমকে দিয়েছেন তিনি। প্যারিসে ব্যাডমিন্টনের ফাইনালে উঠেছেন তিনি। অর্থাৎ, সোনা জেতার সুযোগ রয়েছে তাঁর। কলেজে পড়ার সময় ট্রেন দুর্ঘটনায় বাদ পড়ে গিয়েছিল পা। তার পরেও জেদ ছাড়েননি নীতেশ। সেই জেদেরই ফল পাচ্ছেন তিনি।
পুরুষদের সিঙ্গলসে এসএল৩ ব্যাডমিন্টনের সেমিফাইনালে জাপানের ফুজিহারা দাইসুকেকে স্ট্রেট গেমে (২১-১৬, ২১-১২) হারিয়েছেন নীতেশ। ফাইনালে তাঁর সামনে গ্রেট ব্রিটেনের বেথেল ড্যানিয়েল। কঠিন প্রতিপক্ষের সামনেও তৈরি নীতেশ। ফাইনালে উঠে তিনি বলেন, “আমি ফাইনালের দিন সকালে কোচের সঙ্গে আমার পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলব। এখন কিছু বলব না। বেশি ভাবতে চাই না। বেশি ভাবলে রাতের ঘুম নষ্ট হবে। ভাল করে ঘুমিয়ে ফাইনালে নামতে চাইছি।”
নীতেশ এক জন ইঞ্জিনিয়ার। কলেজে পড়ার সময়েই ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে বাঁ পা বাদ যায় তাঁর। নকল পা লাগিয়ে হাঁটাচলা করেন তিনি। দুর্ঘটনার আগে থেকেই ব্যাডমিন্টন ভালবাসতেন। তবে দুর্ঘটনার পরে এই খেলাকেই আঁকড়ে ধরেন। নিয়মিত অনুশীলন শুরু করেন। প্যারিসে যাওয়ার আগে ছয় সপ্তাহ বেঙ্গালুরুতে পুল্লেলা গোপীচন্দের অ্যাকাডেমিতে অনুশীলন করেন তিনি।
প্রথম বার প্যারালিম্পিক্সে নেমেছেন, সেটা ভাবতেই চাইছেন না নীতেশ। নিজের উপর বিশ্বাস রেখে এগিয়ে যেতে চাইছেন তিনি। নীতেশ বলেন, “আমি ভাবছি না যে প্রথম বার নামছি। আমি গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক ভাবে খেলছি। সে ভাবেই খেলে যেতে চাই। প্রতিপক্ষ হিসাবে কে আছে তা ভাবছি না। জানি, নিজের সেরাটা দিলে জিতব।”
প্রায় ৬ ফুট উচ্চতা নীতেশের। কোর্টে নিজের উচ্চতা কাজে লাগান তিনি। এক জায়গায় দাঁড়িয়ে গায়ের জোরে স্ট্রোক মারতে পারেন। প্রতিপক্ষের সঙ্গে মাথার লড়াইও চলে তাঁর। এ বার প্রথম ম্যাচ থেকেই সেটা দেখা গিয়েছে। বেথেলের বিরুদ্ধেও সেটাই করতে চান নীতেশ। নিজের প্রথম প্যারালিম্পিক্সেই সোনা জিততে চান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy