দিল্লির এক মলে ফরাসি ওপেন ট্রফির সঙ্গে বার্তোলির সেলফি। ট্রফির সঙ্গে সেলফি তুলতে আহ্বান জানালেন ভারতীয়দেরও।-পিটিআই
আগুনে ফর্মে সানিয়া মির্জা। রিও-তে সম্ভবত কেরিয়ারের শেষ অলিম্পিক্সে নামার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত লিয়েন্ডার পেজ। প্রস্তুতি নিচ্ছেন রোহন বোপান্নাও। যাঁদের সঙ্গে জুটিতে মিক্সড ডাবলসে একটি সোনা ঘরে আসছে বলে বুক বাঁধছে ভারত। কিন্তু ভারতের সেই স্বপ্নপূরণে মূল কাঁটা হয়ে উঠতে চলেছেন দুই কিংবদন্তি। রজার ফেডেরার এবং মার্টিনা হিঙ্গিস। অন্তত এমনটাই মনে করছেন ২০১৩ উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মারিয়ন বার্তোলি।
দিল্লিতে রবিবার ফরাসি ওপেনের ট্রফি প্রদর্শনীর একটি অনুষ্ঠানে এসে আনন্দবাজারকে বার্তোলি বলেন “রিওতে লিয়েন্ডার ও সানিয়া মিক্সড ডাবলসে নামলে ভারতের সোনা জেতার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু ওদের মুখোমুখি হতে হবে ফেডেরার–হিঙ্গিস জুটির। সেটাও কিন্তু মাথায় রাখতে হবে। তাই সোনা না পেলেও রুপো বা ব্রোঞ্জ যে ভারত পাবে সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত।”
লিয়েন্ডারের বদলে সানিয়া যদি বোপান্নার সঙ্গে মিক্সড ডাবলসে রিওতে নামেন?
বার্তোলি বলেন, “সানিয়া-মার্টিনা জুটি দারুণ ফর্মে রয়েছে। সানিয়া ওর খেলাটা রিওতে ধরে রাখতে পারলে বোপান্নার সঙ্গে জুটিতেও পদক জিততে পারে। সানিয়া-মার্টিনা কিন্তু টানা ৩৬টা ম্যাচ জিতে ফেলেছে। তাই সে লিয়েন্ডারই হোক বা বোপান্না- সানিয়া জুটিতে রিওতে একটা পদক পাবে বলেই আমার বিশ্বাস।”
সানিয়া ও মার্টিনার দুরন্ত সাফল্যের কারণও বার্তোলির কাছে পরিষ্কার। তিনি বলেছেন, “সানিয়ার ডান দিকের কোর্টে ফোরহ্যান্ড রিটার্নগুলো খুব শক্তিশালী আর বাঁ দিকের কোর্টে মার্টিনার দুর্দান্ত গ্রাউন্ড স্ট্রোকগুলো বিপক্ষকে বেকায়দায় ফেলে দেয়। তার উপর ওদের দু’জনের জুটি একে অন্যের পরিপূরক। তাই ম্যাচের দিন এক জন একটু খারাপ খেললে অন্য জন সেটা সামলে দেয়।”
তাই ফেডেরারের সঙ্গে জুটিতেও মার্টিনার মুখোমুখি হওয়াটা সহজ নয় বলে মনে করেন তিনি, “অলরাউন্ডার ফেডেরারের আর নেটে মার্টিনার তত্পরতার সামনে ভারতের জুটি কতটা সফল হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তা ছাড়া অলিম্পিক্সের মতো মঞ্চে খেলোয়াড়েরা এমনিতেই চাপে থাকে।” সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘তার উপর নিজের পার্টনারের বিরুদ্ধে কোর্টে নামাটা কিন্তু সোজা নয়। মানসিক ভাবে খুব কঠিন হবে সানিয়ার জন্য।’’
এর পর ফেডেরার বন্দনায় মাতেন প্রাক্তন উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন। বলেন, “১৭টা গ্র্যান্ড স্লামের মালিক আমার কাছে বিশ্বের অন্যতম সেরা টেনিস খেলোয়াড়। সম্ভবত সর্বকালের সেরা। আর জকোভিচের সঙ্গে ফেডেরারের বয়সের তফাত অন্তত ৭ বছরের। তাই সাত বছর আগে ফেডেরার যে টেনিস খেলতেন তার সঙ্গে এখনকার জকোভিচের খেলার তুলনা হতে পারে না। দেখতে হবে জকোভিচ সাত বছর পর কেমন খেলে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy