পাঁচ বছর আগেও একই রকম উদ্যোগী, উদ্যমী, পরিশ্রমী, সুস্থ ছিলেন ভারতীয় টেনিসের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই খেলোয়াড়। ৮০ বছরে পা দিয়ে জয়দীপ মুখোপাধ্যায় মুখোমুখি হলেন আনন্দবাজার অনলাইনের।
প্রাক্তন টেনিস খেলোয়াড় জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ
তুমুল ব্যস্ততা। সবে দিল্লি থেকে ফিরেছেন। দু’-এক দিনের মধ্যে আবার যেতে হবে। পাঁচ বছর আগে ৭৫তম জন্মদিনে যখন সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন, তখনও একই রকম উদ্যোগী, উদ্যমী, পরিশ্রমী, সুস্থ ছিলেন ভারতীয় টেনিসের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই খেলোয়াড়। ৮০ বছরে পা দিয়ে জয়দীপ মুখোপাধ্যায় যখন আনন্দবাজার অনলাইনের মুখোমুখি হলেন, তখন এই বিষয়টি দিয়েই শুরু হল আলোচনা।
প্রশ্ন: সাধারণত এই প্রশ্নটা রুপোলি পর্দার মানুষদের করা হয়। তবু আপনাকে না করে পারা যাচ্ছে না। আপনার তো দেখছি বয়স বাড়েনি একটুও। এর রহস্য কী?
জয়দীপ: যোগ ব্যায়াম, খাওয়া-দাওয়াকে একটা নিয়মে বেঁধে ফেলা। সর্বোপরি মানসিক শান্তি।
প্রশ্ন: অর্থাৎ আপনি ভাল আছেন। খুব বেশি লোককে এটা কিন্তু বলতে শোনা যায় না।
জয়দীপ: আমি বলি। কারণ, এটাই সত্যি। কাজের মধ্যে রয়েছি। আর্থিক দিক দিয়েও কোনও চিন্তাভাবনা নেই।
প্রশ্ন: শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকার জন্য কী কী করেন?
জয়দীপ: বিশাল কিছু করি, তা নয়। মোটামুটি সকাল সাতটায় উঠি। স্ট্রেচিং, জিম করি। টেনিস খেলা তো আছেই। এখন একটু গলফও খেলছি। খাবারের ক্ষেত্রে জলখাবারে কর্নফ্লেকস, ফল, মাঝে মাঝে ডিম। রবিবার হলে অবশ্য কচুরি খেয়েই ফেলি। দুপুরে স্যান্ডউইচ, ভাত, ডাল, কখনও শুক্তো। বিকেলে চা, হাল্কা স্ন্যাক্স, মাঝে মাঝে সিঙাড়া। রাত্রে ৮টায় খেয়ে নিই। স্যুপ, স্যালাড, মাছ বা মুরগি। চিনি একেবারেই খাই না।
প্রশ্ন: গত কয়েক বছরে আমরা হারিয়েছি আখতার আলি, চুনী গোস্বামী, পি কে বন্দ্যোপাধ্যায়, সুভাষ ভৌমিক, সুরজিৎ সেনগুপ্তদের। এঁরা প্রত্যেকেই আপনার খুব ভাল বন্ধু ছিলেন।
জয়দীপ: কেশব দত্ত, প্রেমজিৎলালের নামও যোগ করতে হবে। সবাই আমার খুব ভাল বন্ধু। কেউ বয়সে খানিকটা ছোট, কেউ বড়, কেউ সমবয়সী। খারাপ লাগে। কিন্তু কিছু তো করার নেই। এটাই জীবন।
প্রশ্ন: এগুলো ভাবলে মৃত্যুভয় কাজ করে না?
জয়দীপ: জন্মানোর সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যুও লেখা থাকে। তাই ভয় পেয়ে তো কিছু হবে না। আমি ভাবিই না। জীবনটা পুরো মাত্রায় উপভোগ করছি। এখনও হাঁটি। যেখানে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা যায়, উঠি। লিফট ব্যবহার করি না। নিজে গাড়ি চালাই। গাড়ি চালানোর মধ্যে একটা আলাদা আনন্দ আছে।
প্রশ্ন: এ বার একটু বর্তমান ছেড়ে অতীতে যাই। আপনার বাবা, মা— দু’তরফে বিচার করলে আপনি দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, জেসি মুখার্জি, সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের পরিবারের লোক। সেখানে খেলাধুলো নিয়ে এগোনো কতটা কঠিন ছিল?
জয়দীপ: খুব কঠিন ছিল না। সব খেলাই খেলতাম ছোটবেলা থেকে। এতটাই খেলতাম যে টেনিস না খেলে ক্রিকেট, ফুটবল বা রাগবি খেললেও আজ প্রথম সারিতেই থাকতাম।
প্রশ্ন: তা হলে টেনিসটা আপনার কেরিয়ার হল কী ভাবে?
জয়দীপ: একটা দুর্ঘটনার জন্য। আমাদের গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে। কলার বোনে চোট পাই। খুব যে মারাত্মক চোট ছিল, তা নয়। কিন্তু ডাক্তার বললেন, ফুটবল বা রাগবি খেলা আর হবে না। অন্য কিছু বেছে নিতে। বাবা (অধীপ মুখোপাধ্যায়) সাউথ ক্লাবের সদস্য ছিল। বাবা সাউথ ক্লাবে নিয়ে গেল। তখন সেখানে রাজকুমারী অমৃত কৌর টেনিস স্কলারশিপ চলছিল। দিলীপ বোস কোচ ছিলেন। উনিই আমার প্রথম কোচ। উনি না থাকলে আমি কিছুই করতে পারতাম না। সেই টেনিসে পা রাখা শুরু।
প্রশ্ন: একই সঙ্গে খেলা এবং পড়াশোনা সামলাতেন কী করে? এই প্রজন্মের খেলোয়াড়দের এটা নিয়ে কী পরামর্শ দেবেন?
জয়দীপ: কোনও পরামর্শই দেওয়ার নেই। কারণ, আমি পড়াশোনা নিয়ে ভাবিইনি। খুবই সাধারণ মানের ছাত্র ছিলাম বলে হয়ত ভাবিনি।
প্রশ্ন, এখনকার সময়ের সঙ্গে তখনকার সময়ের অনেক তফাৎ ছিল। স্কুল থেকে এই জায়গায় সাহায্য পেয়েছিলেন?
জয়দীপ: প্রবল সাহায্য পেয়েছিলাম। সাউথ ক্লাবে অনুশীলন শেষ করে স্কুলে আসতে আসতে অনেক বেলা হয়ে যেত। তখন স্কুলই বলে দিয়েছিল, প্রথম পিরিয়ড আমাকে করতে হবে না। ১৯৫৯ সালে জুনিয়র উইম্বলডনে যখন সুযোগ পেলাম, বাবা পড়াশোনা ছেড়ে বিদেশে পাঠাতে রাজি হল না। প্রিন্সিপালকে বললাম। উনি আমাকে খুব ভালবাসতেন। আমাকে কিছু করতে হয়নি। উনি নিজে বাবাকে বোঝালেন। আমার উইম্বলডন যাওয়া হয়ে গেল। সেমিফাইনালে উঠলাম। ফেরার পর স্কুল আমাকে বাড়তি সময় দিয়ে সিলেবাস শেষ করিয়েছিল। তার জন্য বাড়তি একটা টাকাও নেয়নি। তার পরের বছর জুনিয়র উইম্বলডনের ফাইনাল খেললাম। প্রিন্সিপাল যত দিন বেঁচেছিলেন, উইম্বলডনের টিকিট দিয়েছি।
প্রশ্ন: সেরা সাফল্য কোনটা?
জয়দীপ: অবশ্যই ১৯৬৬ সালের ডেভিস কাপের ফাইনালে ওঠা। ভারতীয় টেনিসের ছবিটা বদল গিয়েছিল।
প্রশ্ন: বদলে যাওয়া সেই ছবিটা তো এখন ক্রমশ ফিকে হয়ে যাচ্ছে। আধুনিক ভারতীয় টেনিস তো লিয়েন্ডার পেজ, মহেশ ভূপতি এবং সানিয়া মির্জাতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। সেটিও ডাবলসে। কেন এই হাল?
জয়দীপ: সহজ উত্তর, টেনিসে টাকার অভাব। এটা ব্যক্তিগত খেলা এবং অত্যন্ত খরচ সাপেক্ষ। শুরু থেকে স্পনসর না পেলে একটা পর্যায়ের পরে এগোনো কঠিন। সেটাই হচ্ছে। এখনও মনে আছে, রমানাথন কৃষ্ণান নিজের পকেট থেকে টাকা ঢালত।
প্রশ্ন: কিন্তু সাফল্য না পেলে খামোখা কেউ টাকা ঢালবে কেন? ক্রিকেটেও তো ভারত বিশ্বকাপ জেতার পরে টাকা এসেছে।
জয়দীপ: একেবারেই ঠিক। আর ঠিক এই জায়গাতেই সরকারের ভূমিকা থাকা উচিত। এই রাজ্যের ক্ষেত্রে বলতে পারি, টেনিসটা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার তালিকায় একেবারে নীচের দিকে। সরকার ফুটবলের পিছনে টাকা খরচ করছে। অ্যাকাডেমি হচ্ছে। টেনিসের ভাঁড়ার শূন্য।
প্রশ্ন: অ্যাকাডেমিগুলো কী করছে? আপনারও তো অ্যাকাডেমি রয়েছে।
জয়দীপ: এখানেও একই সমস্যা। টাকা না থাকলে অ্যাকাডেমি চালানোই মুশকিল। অ্যাকাডেমিগুলোতে সবার আগে দরকার সত্যিকারের পেশাদার কোচ। আমি তো অল ইন্ডিয়া টেনিস অ্যাসোসিয়েশনকে (এআইটিএ) বলেছিলাম, একজন পেশাদার কোচ এনে তাকে মাসে ৩-৪ লক্ষ টাকা দাও। দেখ ফল পাওয়া যায় কি না। জিশান আলি (ভারতের ডেভিস কাপ দলের কোচ) একা দেখছে এখন। এটা একার কাজ নয়। ও ভাল কোচ। কিন্তু একা কী করবে?
প্রশ্ন: আপনি টেনিস প্রশাসনে আসছেন না কেন? শুধু সাউথ ক্লাব নিয়েই থেকে গেলেন।
জয়দীপ: সাউথ ক্লাবের সঙ্গে ছোট থেকে একটা একাত্মতা ছিল। সেটা এখনও রয়ে গিয়েছে। আর একেবারে যে প্রশাসনে আসিনি, তা নয়। বিটিএ-র (বেঙ্গল টেনিস অ্যাসোসিয়েশন) প্রশাসনে ছিলাম। এআইটিএ-র সহ-সভাপতি ছিলাম। কিন্তু আমি সরে যেতে বাধ্য হয়েছি। কখনও কখনও আমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এত রাজনীতি হয় যে আর ইচ্ছে করে না। যখন ছিলাম তখনও যে আমার সাহায্য ওরা খুব নিতে চেয়েছে, এমন নয়। এটা হয়। প্রাক্তনদের সাহায্য নিতে ভয় পায় কর্তারা। এটা ক্রিকেট, ফুটবলেও হয়। ব্যতিক্রম সৌরভ (গঙ্গোপাধ্যায়, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি), আজহার (মহম্মদ আজহারউদ্দিন, হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি)।
প্রশ্ন: পাঁচ বছর আগে সর্বকালের সেরা পাঁচ বেছেছিলেন। আপনার তালিকায় ছিলেন রড লেভার, রজার ফেডেরার, রাফায়েল নাদাল, বিয়র্ন বর্গ, কেন রোজওয়াল। এখনও কি তালিকাটা একই থাকবে?
জয়দীপ: একটাই বদল হবে। রোডওয়ালকে সরিয়ে জোকোভিচকে রাখব। রোজওয়ালের যে উইম্বলডন ট্রফিটাই নেই।
প্রশ্ন: আর দেশের সেরা পাঁচজন?
জয়দীপ: রমানাথন কৃষ্ণান, বিজয় অমৃতরাজ, জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, রমেশ কৃষ্ণান, লিয়েন্ডার পেজ।
প্রশ্ন: সচিন তেন্ডুলকর, সুনীল গাওস্করদের সেরা একাদশ বাছতে বললে ওঁরাও নিজেদের রাখেন না। আপনি তো এক নিশ্বাসে পাঁচ জনের তালিকায় নিজেকেও রাখলেন।
জয়দীপ: কেন রাখব না? খেলাধুলোয় আমার মতো আন্তর্জাতিক সাফল্য আর কোন বাঙালির আছে? আমি এখনই টনি রোশ, রড লেভারের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারি। সেটা তো এমনি এমনি হয়নি। সাফল্য পেয়েছি বলেই তো হয়েছে। এক বার একটা অনুষ্ঠানে পিকে (বন্দ্যোপাধ্যায়) এই কথাটাই বলেছিলেন। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলেন, ‘আমি কিন্তু চাইলে পেলের সঙ্গে কথা বলতে পারব না।’
প্রশ্ন: তা হলে আপনার সাফল্য তো কপিল-গাওস্করদের থেকে কোনও অংশে কম নয়। কিন্তু আপনারা কি সেই স্বীকৃতি পেয়েছেন? শুধু সরকারি পুরস্কারের কথা বলছি না। সাধারণ জনপ্রিয়তার কথা বলছি।
জয়দীপ: পেয়েছি তো। আমাদের সেই ডেভিস কাপ দলের জনপ্রিয়তা তো সেই সময়ের ক্রিকেটারদের জনপ্রিয়তাকে বলে বলে দশ গোল দিত।
প্রশ্ন: আর সরকারি স্বীকৃতি?
জয়দীপ: পাইনি। আমার অবশ্যই পদ্মশ্রী পাওয়া উচিত ছিল। এই আক্ষেপ জীবনেও যাবে না। এআইটিএ তো আমার নামই পাঠায়নি কখনও।
প্রশ্ন: এটাই কি জীবনের সব থেকে বড় আক্ষেপ?
জয়দীপ: কোনটা বড় আক্ষেপ, কোনটা কম, সেটা জানি না। এখনকার টেনিস দেখতে দেখতে মনে হয়, তখন যদি একজন সত্যিকারের ট্রেনার পেতাম, কেরিয়ারটা অনেক বেশি ঝকঝকে হত।
প্রশ্ন: এটা তো আক্ষেপের থেকে বেশি হিংসে মনে হচ্ছে। এখন টেনিসে এত টাকা। সত্যিই হিংসে হয় না?
জয়দীপ: শুরুতেই তো আমার ভাল থাকার টোটকা কী, সেটা বললাম। এত হিংসে করলে তো মনটাই বিষিয়ে যাবে। হ্যাঁ, এটা ঘটনা, আমরা যখন খেলতাম এত টাকা ছিল না। কিন্তু খেলার মধ্যে একটা অন্য রকম অনুভূতি ছিল। তার জন্যই নবাব পতৌদি, গাওস্কর, ফারুখ ইঞ্জিনিয়ারের মতো বন্ধু পেয়েছি। রড লেভার, আর্থার অ্যাশ, ইলি নাস্তাসেদের সঙ্গে এখনও জমাটি আড্ডা হয়। এটা ওই তখনকার পরিবেশে খেলার জন্যই। এক বার চোট পেয়ে উঠতেই পারছিলাম না। রয় এমার্সন আমাকে ওর কাঁধে চাপিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। এগুলো এখন ভাবা যায় না। এখনও এ সব ছবির মতো মনে আছে।
প্রশ্ন: এখন এই পরিবেশটা নেই বলছেন?
জয়দীপ: অনেকটাই হারিয়ে গিয়েছে। এখন ফেডেরার, নাদালদের খেলা মানে ওদের পুরো টিমটা সেখানে থাকে। লোক ভর্তি। এজেন্টদের ভিড়। শেষ কয়েক বছরে যত বার উইম্বলডন দেখতে গিয়েছি, মনে হয়েছে সেই গাম্ভীর্য, উষ্ণতাটা আর নেই। আমাদের সব নিজেদের করতে হত। সংগঠকদের চিঠি লেখা থেকে শুরু করে ট্যুরে গিয়ে নিজের জামা-প্যান্ট নিজে কাচা। চোখের সামনে দেখেছি, এমার্সন শর্টস পরে নিজের জামা নিজে কাচছে।
প্রশ্ন: একটা কথা অনেক দিন থেকেই জানতে ইচ্ছে করে, আপনার পদবির ইংরাজি বানানটা (Mukerjea) অদ্ভূত কেন?
জয়দীপ: এই প্রশ্ন ছোটবেলায় আমারও হয়েছিল। পরিচিত যারা মুখার্জি, তারা কেউ এই বানান লেখে না। দাদুকে (জেসি মুখোপাধ্যায়, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি) এক দিন জিজ্ঞেস করেছিলাম। দাদু বলেছিল, TEA উচ্চারণ ‘টি’ হয়, SEA উচ্চারণ হয় ‘সি’। ঠিক সে রকমই ‘জি’ হওয়া উচিত JEA. এই কারণে আমরা ওই বানানই লিখি।
প্রশ্ন: এখন তো বহু প্রাক্তন খেলোয়াড় রাজনীতিতে আসছেন। আপনার কাছে ডাক আসেনি?
জয়দীপ: এসেছিল। ফিরিয়ে দিয়েছি। যদিও আমার পরিবারের সঙ্গে রাজনীতির গভীর যোগ। কিন্তু কখনও রাজনীতি করতে চাইনি। এখনও আগ্রহী নই। অথচ শাসক, বিরোধী সব পক্ষের সঙ্গেই আমার খুব ভাল সম্পর্ক। জীবনের বাকি যে ক’দিন আছে, বরং টেনিস নিয়েই থাকি।
প্রশ্ন: সিআর দাসের রাজনীতি আর এখনকার রাজনীতি পাশাপাশি রাখলে কী বলবেন?
জয়দীপ: সত্যিই কি পাশাপাশি রাখা যায়? দূর্নীতি, স্বজনপোষণ বাদ দিলাম। এখন সেগুলোও ছাপিয়ে গিয়েছে ব্যক্তিগত কুৎসা, হিংসা, খেয়োখেয়িতে। এবং সর্বোপরি নীতি-আদর্শহীন রাজনীতি। এখনকার নেতারা দল বদলে সব থেকে ধারাবাহিক। পারলাম না দুটো রাজনৈতিক ছবিকে পাশাপাশি রাখতে।
প্রশ্ন: আপনার জীবনে সব থেকে বড় অনুপ্রেরণা কে?
জয়দীপ: আমার স্ত্রী সারমিন। ও না থাকলে জীবনটা এ ভাবে উপভোগ করতে পারতাম না। জীবনটা এত সুন্দর হত না।
প্রশ্ন: সাফল্য-ব্যর্থতা, পাওয়া-না পাওয়া, সব মিলিয়ে ৮০ বছরের জীবনে খুশি?
জয়দীপ: অবশ্যই। একটু বেশিই খুশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy